পাতা:তিতাস একটি নদীর নাম.djvu/৩১০: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

সম্পাদনা সারাংশ নেই
পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):
৩ নং লাইন: ৩ নং লাইন:
</poem></div>
</poem></div>


{{gap}}দুই একজনে দোহার ধরিয়াছিল, যুৎসই করিতে না পারিয়া ছাড়িয়া দিল। ছাড়িল না শুধু অনন্ত। সুরটা অনুকরণ করিয়া বেশ কায়দা করিয়াই তান ধরিয়াছিল সে। মোটা মোটা সব গলা মাঝপথে অবশ হইয়া যাওয়াতে তার সরু শিশুগলা পায়ের তলায় মাটি-ছাড়া হইয়া বায়ুর সমুদ্রে কাঁপিতে কাঁপিতে ডুরিয়া গেল। তার দিকে প্রসন্ন দৃষ্টিতে চাহিয়া বাবাজী বনমালীকে বলিলেন, ‘পুরান সুর। কিন্তু বড় জমাটি। আইজকালের মানুষ শ্বাসই রাখতে পারে না, এসব সুর তারা গাইব কি। যারা গাইত তারা দরাজ গলায় টান দিলে তিতাসের ঐ-পারের লোকের ঘুম ভাঙ্গত। কর্ণে করত মধু বরিষণ। অখন সব হালকা সুর। হরিবংশ গান, ভাইটাল্ সুরের গান অখন নয়া বংশের লোকে গাইতে পারে না, গাঁওয়ে গাঁওয়ে যে দুইচার জন পুরান গাতক অখনো আছে, তারা গায়, আর গলার জোর দেইখ্যা জোয়ান মানুষ চমকায়! সোজা একটা লাচারী তোল বনমালী।’
{{gap}}দুই একজনে দোহার ধরিয়াছিল, যুৎসই করিতে না পারিয়া ছাড়িয়া দিল। ছাড়িল না শুধু অনন্ত। সুরটা অনুকরণ করিয়া বেশ কায়দা করিয়াই তান ধরিয়াছিল সে। মোটা মোটা সব গলা মাঝপথে অবশ হইয়া যাওয়াতে তার সরু শিশুগলা পায়ের তলায় মাটি-ছাড়া হইয়া বায়ুর সমুদ্রে কাঁপিতে কাঁপিতে ডুবিয়া গেল। তার দিকে প্রসন্ন দৃষ্টিতে চাহিয়া বাবাজী বনমালীকে বলিলেন, ‘পুরান সুর। কিন্তু বড় জমাটি। আইজকালের মানুষ শ্বাসই রাখতে পারে না, এসব সুর তারা গাইব কি। যারা গাইত তারা দরাজ গলায় টান দিলে তিতাসের ঐ-পারের লোকের ঘুম ভাঙ্গত। কর্ণে করত মধু বরিষণ। অখন সব হালকা সুর। হরিবংশ গান, ভাইটাল্ সুরের গান অখন নয়া বংশের লোকে গাইতে পারে না, গাঁওয়ে গাঁওয়ে যে দুইচার জন পুরান গাতক অখনো আছে, তারা গায়, আর গলার জোর দেইখ্যা জোয়ান মানুষ চমকায়! সোজা একটা লাচারী তোল বনমালী।’


{{gap}}বনমালী সহজভাবেই তুলিল—
{{gap}}বনমালী সহজভাবেই তুলিল—