পাতা:তিতাস একটি নদীর নাম.djvu/৩১৬: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

আফতাব বট (আলোচনা | অবদান)
পাইউইকিবট স্পর্শ সম্পাদনা
 
পাতার অবস্থাপাতার অবস্থা
-
মুদ্রণ সংশোধন করা হয়নি
+
মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে
শীর্ষক (অন্তর্ভুক্ত হবে না):শীর্ষক (অন্তর্ভুক্ত হবে না):
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
{{rh|৩০৪||তিতাস একটি নদীর নাম}}
পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
ঘনঘন তুফানের ঠেলায় বেড়াগুলি মুচড়াইয়া গিয়াছে। পুরুষের ছন আনিবে মূলি আনিবে, বঁাশ আনিবে বেত আনিবে--অানিয়া ঘরতুয়ার ঠিক করিয়া দিবে, তারপর মেয়ে-বেীরা তিতাসের পারের নরম সোদাল মাটি আনিয়া ধা’র-পিড় ঠিক করিবে, লেপিবে পুছিবে, আরসির মত ঝকঝকে তক্তকে করিবে-- তাতেও কোন-না পনর দিন লাগিবে ? বাকি পনর দিনের মধ্যে সাত দিনে কথা কাপড় কাচিবে, চাটাই মাছর ধুইবে, তারপর সাতদিন বাকি থাকিতে তেল-সাবান মাখিয়া দেবী হইয়া বসিয়া থাকিবে—দিন আবার ফুরায় না ! “কি লা উদি, কথা কস না যে ? দিন ফুরায় না ? একটু আগে এই মেয়েটি তাকে সাত পাক ঘুরিয়াছে ; পঞ্চপ্রদীপ তার কপালের কাছখানে ঠেকাইয়া লইয়া তাহা আবার নিজের কপালে ঠেকাইয়াছে, কতকগুলি খই আর অতসী ফুল তার মাথার উপর ছিটাইয়া দিয়াছে—সত্যিকারের বিবাহের মতই ভাবভঙ্গি দেখাইয়াছে—অথচ অনেক অর্থহীন অনুষ্ঠানের মত ইহা একটি পূজাবিশেষের অনুষ্ঠান মাত্র। কিন্তু কি মজার অনুষ্ঠান ! সাত বছর আগের কথা মনে করাইয়া দেয়। সেদিন উদয়তারার সামনে বসিয়া ছিল, অজানা একটা নূতন পুরুষ মানুষ—চুলদাড়ি সুন্দর করিয়া ছাট, মাথায় জবজবে তেল দিয়া বাকী টেরি কাটা—নূতন কাপড়ে তাকে সেদিন দেবতার মত দেখা গিয়াছিল। বাস্তবিক বিবাহের দিনে পুরুষ মানুষকে কত সুন্দরই না দেখায়। তাকেও
ঘনঘন তুফানের ঠেলায় বেড়াগুলি মুচড়াইয়া গিয়াছে। পুরুষেরা ছন আনিবে মূলি আনিবে, বাঁশ আনিবে বেত আনিবে—আনিয়া ঘরদুয়ার ঠিক করিয়া দিবে, তারপর মেয়ে-বৌরা তিতাসের পারের নরম সোঁদাল মাটি আনিয়া ধা’র-পিঁড়া ঠিক করিবে, লেপিবে পুঁছিবে, আরসির মত ঝক্‌ঝকে তক্‌তকে করিবে—তাতেও কোন্-না পনর দিন লাগিবে? বাকি পনর দিনের মধ্যে সাত দিনে কাঁথা কাপড় কাঁচিবে, চাটাই মাদুর ধুইবে, তারপর সাতদিন বাকি থাকিতে তেল-সাবান মাখিয়া দেবী হইয়া বসিয়া থাকিবে—দিন আবার ফুরায় না!
{{gap}}‘কি লা উদি, কথা কস্ না যে? দিন ফুরায় না!’
{{gap}}একটু আগে এই মেয়েটি তাকে সাত পাক ঘুরিয়াছে; পঞ্চপ্রদীপ তার কপালের কাছখানে ঠেকাইয়া লইয়া তাহা আবার নিজের কপালে ঠেকাইয়াছে, কতকগুলি খই আর অতসী ফুল তার মাথার উপর ছিটাইয়া দিয়াছে—সত্যিকারের বিবাহের মতই ভাবভঙ্গি দেখাইয়াছে—অথচ অনেক অর্থহীন অনুষ্ঠানের মত ইহা একটি পূজাবিশেষের অনুষ্ঠান মাত্র। কিন্তু কি মজার অনুষ্ঠান! সাত বছর আগের কথা মনে করাইয়া দেয়। সেদিন উদয়তারার সামনে বসিয়া ছিল, অজানা একটা নূতন পুরুষ মানুষ—চুলদাড়ি সুন্দর করিয়া ছাঁটা, মাথায় জবজবে তেল দিয়া বাঁকা টেরি কাটা—নূতন কাপড়ে তাকে সেদিন দেবতার মত দেখা গিয়াছিল। বাস্তবিক বিবাহের দিনে পুরুষ মানুষকে কত সুন্দরই না দেখায়। তাকেও