পাতা:তিতাস একটি নদীর নাম.djvu/৩২৫: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

আফতাব বট (আলোচনা | অবদান)
পাইউইকিবট স্পর্শ সম্পাদনা
পাতার অবস্থাপাতার অবস্থা
-
মুদ্রণ সংশোধন করা হয়নি
+
মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে
শীর্ষক (অন্তর্ভুক্ত হবে না):শীর্ষক (অন্তর্ভুক্ত হবে না):
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
{{rh|তিতাস একটি নদীর নাম||৩১৩}}
পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
তােমার, তবু ভালা। মানুষে কয়, তীর্থের মধ্যে কাশী ইষ্টির মধ্যে মাসী, ধানের মধ্যে খামা কুটুমের মধ্যে মামা।’—বলিয়া হঠাৎ মেয়েটি কোথায় চলিয়া গেল।
রাষ্টতে দেও-দৈত্য যদি দেখা দিত। কও না, কি কইরা তুমি থাকৃত এক্লা— ‘সে এক পরস্তাবের কথা। কইতে গেলে তিনদিন লাগব । তোমরার গাওয়ে আমারে লইয়া যাইবা ? সেই নাওখান দেখাইবা ? ‘আচ্ছা নিয়া যামু। ‘নিবা যে, তোমার মাসী অামারে আদর করব ত তোমার মত ? ‘হ, তোমারে করব আদর । আমারেই বইক্যা বাইর কইরা ग्निल ? ‘কও কি ! বাইর কইরা দিল, আর ডাইক্যা ঘরে নিল না ? ‘না ? তবে গিয়া কাম নাই। তুমি আমরার বাড়িতেই চল। কেউ তোমারে বাইর কইরা দিব না। যদি দেয়ও, আমি তোমারে ডাইক্যা ঘরে নিমু। কথাগুলি অনস্তর খুব ভাল লাগিল। একঘর ভরতি লোকের মধ্যে থাকিতে খুব ভাল লাগিবে। সেখানে দশটি লোকে দশ রকমের কথা বলিবে, বিশ হাতে কাজ করিবে, দশমুখে গল্প করিবে—একটা কলরবে মুখরিত থাকিবে ঘরখানা। তার মধ্যে এই চঞ্চল মেয়েটি তার সঙ্গে খেলা করিবে, জালবোনা মাছধরা খেলা। অনন্ত সত্যিকারের জেলে হইয়া নৌকাতে না উঠা পর্যন্ত তাকে এই খেলার মধ্য দিয়াই জাল ফেলা জাল তোলা আয়ত্ত করিতে হইবে ।

{{gap}}অনন্ত মনে মনে ভাবিল, বাব্বা, খুব যে শিলােক ছাড়ে। উদয়তারার কাছে একবার নিয়া গেলে মন্দ হয় না।

{{gap}}একটু পরেই পূজামণ্ডপের সামনে মেয়েটির সহিত আবার দেখা হইল।

{{gap}}‘আচ্ছা, আমারে তােমার মাসীর বাড়ি লইয়া যাইবা?’

{{gap}}‘কেমনে লইয়া যামু। অনেক দূর যে। নাওয়ে গেলে এক দুপুরের পথ।’

{{gap}}‘মানুষে কি মানুষেরে দূরের দেশে লইয়া যায় না?’

{{gap}}‘যায়। কিন্তু অখন যায় না। বৈশাখ মাসে তিতাসের পারে মেলা হয়। তখন লইয়া যায়। অনেক দূর থাইক্যা অনেক মানুষ তখন অনেক মানুষেরে লইয়া যায়!’

{{gap}}‘তখন আমরেও লইয়া যাইও। কেমুন?’

{{gap}}‘আমারত নাও নাই। আচ্ছা বনমালীরে কইয়া রাখুম। তার নাওয়ে যাইতে পারবা।’

{{gap}}‘পরের নাওয়ে বাবা যাইতে দিলে ত?’

{{gap}}‘খালের টেকের ভাঙ্গা নাওয়ের খােড়ল থাইক্যা সাতদিনের উপাসী মানুষেরে যে-জন বাইর কইরা আনল, তারে কও তুমি পর! কি যে তুমি কও।’

{{gap}}মেয়েটির চোখমুখ উজ্জ্বল হইয়া উঠিল, ‘খালের টেকে ভাঙ্গা নাওয়ের খােড়লে তুমি থাকতা, ডর করত না তােমার?