পাতা:তিতাস একটি নদীর নাম.djvu/৩২৮: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

আফতাব বট (আলোচনা | অবদান)
পাইউইকিবট স্পর্শ সম্পাদনা
পাতার অবস্থাপাতার অবস্থা
-
মুদ্রণ সংশোধন করা হয়নি
+
মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে
শীর্ষক (অন্তর্ভুক্ত হবে না):শীর্ষক (অন্তর্ভুক্ত হবে না):
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
{{rh|৩১৬||তিতাস একটি নদীর নাম}}
পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
মাসী তার একান্তই অসহায়। তিক্তবিরক্ত বাপ মার অনাত্মীয় পরিবেশে সে নিতান্তই অসহায়। অতীতের সঙ্গে তার বর্তমানের যে যােগ-সূত্র আছে, ভবিষ্যতের দিকে পা বাড়াইয়া সে-সূত্র ছিন্ন বিচ্ছিন্ন। একটা নগণ্য খড়কুটার মতই সেও সময়ের মহাস্রোতে ভাসিয়া চলিয়াছে। তিতাসের জলে হাজারাে খড়কুটা ভাসিয়া যায়; কিন্তু কোন না কোন মালাের জালে তারা আটকা পড়িবেই পড়িবে। কিন্তু মাসীর ভবিষ্যৎ কোন অবলম্বনের গায়েই আটকা পড়িবে না। আর উদয়তারা? অনেক বেদনা তার মনে জমা হইয়া আছে, কিন্তু বড় কঠিন এ নারী। হাস্য পরিহাসে, প্রবাদে শ্লোকে সব বেদনা ঢাকিয়া সে নারী সব সময়ে মুখের হাসি নিয়া চলে। তাহাকে জব্দ করিবে এমন দুঃখ বুঝি বিধাতাও সৃষ্টি করিতে পারে নাই। মাসী তার মত সকল দুঃখকে অগ্রাহ্য করিয়া চলিবার ক্ষমতা পাইল না কেন? হায়, তাহা যদি সে পাইত, অনন্তর মন অনেক ভাবনা হইতে নিষ্কৃতি পাইত। আর এই হাস্যচঞ্চল মেয়েটি। এর জীবন সবে শুরু হইয়াছে। সে নিজে যেমন চাঁদের রােশনি, তেমনি অনেক থমথমে আকাশের তারাকে সে কাননের ফুলের মত বোঁটায় আঘাত করিয়া ফুটাইয়া ছিটাইয়া হাসাইতে মাতাইতে সক্ষম। সে যদি সব সময় তার সঙ্গে সঙ্গে থাকিতে পারিত। তবে তার মনের ম্লানিমাটুকু একটু একটু করিয়া ক্ষয় হইয়া যাইত।
মেয়েটির চোখ দুটি নাচিয়া উঠিল, “তোমার গলায় যে মালা দিলাম ; কারো কাছে কইও না কইলাম ।’ ‘কইলে কি হইব ? ‘তোমারে বর বইল্য মানুষে ঠাট্টা করব । ‘দূর । আমি কি শ্যামসুন্দর বেপারী, আমার কি ঐ লকম বড় বড় দাড়ি আছে যে আমারে বর কইব ! ‘বরের বুঝি লম্বা দাড়ি থাকে ? মিথুকি । ‘আমি নিজের চোখে দেখলাম । মা অামারে সাথে কইর নিয়া দেখাইছিল। আরো কত লোকে দেখতে গেছিল । তারা কইল, এতদিন পরে বরের মত বর দেইখ্যা নয়ন সার্থক করলাম।” ও, বুঝঝি। বুড়া, বুড়া বর। সে ত বুড়া কিন্তু তুমি ত বুড়া না ? অনন্ত বুড়া কিনা ভাবিয়া দেখিতে গিয়া সব গোলমাল করিয়া ফেলিল। এমন সময় ডাক আসিল, “কইলো অনস্তবালা, ও সোণার-মা !? মায়ের আহবান। আতুরে মেয়ে । মা তাকে ডাকিতে দুইটি নামই ব্যবহার করেন। খাওয়ার সময় হইয়াছে। তার আগে নাইবার জন্য এই আহবান । অন্য একটি মেয়ে সাপলা চিরিয়া বোতল বানাইয়াছে, তাতে গ্রন্থি পরাইতেছিল। সে মাথা না তুলিয়াই ছড়া কাটিল 'অনন্ত বালা, সোণার মালা, যখনি পরি তখনি ভালা । ‘দেখলা ত, অামার নাম কতজনে জানে। আমার নাম

{{gap}}মেয়েটি হঠাৎ হাসিতে ফাটিয়া পড়িল। অনন্ত চম্‌কাইয়া উঠিয়া বলিল, ‘হাস কেনে?’
{{nop}}