পাতা:বিদ্যাসাগর-প্রসঙ্গ.pdf/৭৬: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

সম্পাদনা সারাংশ নেই
 
পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
প্রধান শিক্ষক সুবিখ্যাত অক্ষয়কুমার দত্তের উপর, এবং নিম্নশ্রেণীর ভার ছিল—দ্বিতীয় শিক্ষক মধুসূদন বাচস্পতির উপর। ৭১টি ছাত্র লইয়া প্রথম স্কুল খোলা হয়; তম্মধ্যে ৬০জনকে মাসিক পাঁচ টাকা বৃত্তি দেওয়া হইত। ১৭ বছরের কম, অথবা ৪৫ বছরের বেশী, বয়সী ছাত্রদের ভর্ত্তি করা হইত না। প্রথম প্রথম কেবল উচ্চ জাতির লোককেই লওয়া হইত। ‘বোধোদয়’, ‘নীতিবোধ’, ‘শকুন্তলা’, ‘কাদম্বরী’, ‘চারুপাঠ’ ও ‘বাহ্যবস্ত্তু’ পড়ানো হইত। ভূগোল, পদার্থবিদ্যা ও প্রাণিবিজ্ঞান সম্বন্ধেও পাঠ দেওয়া হইত। মাসে মাসে পরীক্ষা লইবার ব্যবস্থা ছিল। অমনোেযোগী ছাত্ররা বিদ্যালয় হইতে বিতাড়িত, এবং পাঠে অগ্রসর ছাত্ররা শিক্ষকরূপে নির্বাচিত হইত।
প্রধান শিক্ষক সুবিখ্যাত অক্ষয়কুমার দত্তের উপর, এবং নিম্নশ্রেণীর ভার
ছিল—দ্বিতীয় শিক্ষক মধুসূদন বাচস্পতির উপর। ৭১টি ছাত্র লইয়া
প্রথম স্কুল খােলা হয়; তম্মধ্যে ৬০জনকে মাসিক পাঁচ টাকা বৃত্তি দেওয়া
হইত। ১৭ বছরের কম, অথবা ৪৫ বছরের বেশী, বয়সী ছাত্রদের
ভর্ত্তি করা হইত না। প্রথম প্রথম কেবল উচ্চ জাতির লােককেই লওয়া
হইত। ‘বােধোদয়’, ‘নীতিবােধ’, ‘শকুন্তলা’, ‘কাদম্বরী’, ‘চারুপাঠ’
ও ‘বাহ্যবস্ত্তু’ পড়ানাে হইত। ভূগোল, পদার্থবিদ্যা ও প্রাণিবিজ্ঞান
সম্বন্ধেও পাঠ দেওয়া হইত। মাসে মাসে পরীক্ষা লইবার ব্যবস্থা ছিল।
অমনোেযােগী ছাত্ররা বিদ্যালয় হইতে বিতাড়িত, এবং পাঠে অগ্রসর
ছাত্ররা শিক্ষকরূপে নির্বাচিত হইত।


{{gap}}১৮৫৬, জানুয়ারি মাসের মধ্যেই বিদ্যাসাগর তাঁহার এলাকার প্রত্যেক জেলায় পাঁচটি করিয়া স্কুল স্থাপন করতে সমর্থ হইয়াছিলেন। বিদ্যালয়-পিছু মাসে ৫০৲ টাকা করিয়া খরচ পড়িত। বিদ্যালয়-গৃহ গ্রামবাসীর ব্যয়ে নির্মিত হইয়াছিল। ইন্‌স্পেক্টর অফ্ পাবলিক ইন্‌স্ট্রাক্‌শনের নির্দ্দেশ ছিল, ছয়মাস পর্যন্ত ছাত্রদের নিকট হইতে বেতন লওয়া হইবে না, তাহার পর কিন্তু সম্ভব হইলে মাহিনা আদায় করা হইবে।
{{gap}}১৮৫৬, জানুয়ারি মাসের মধ্যেই বিদ্যাসাগর তাঁহার এলাকার
প্রত্যেক জেলায় পাঁচটি করিয়া স্কুল স্থাপন করতে সমর্থ হইয়াছিলেন।
বিদ্যালয়-পিছু মাসে ৫০৲ টাকা করিয়া খরচ পড়িত। বিদ্যালয়-গৃহ
গ্রামবাসীর ব্যয়ে নির্মিত হইয়াছিল। ইন্‌স্পেক্টর অফ্ পাবলিক
ইন্‌স্ট্রাক্‌শনের নির্দ্দেশ ছিল, ছয়মাস পর্যন্ত ছাত্রদের নিকট হইতে বেতন
লওয়া হইবে না, তাহার পর কিন্তু সম্ভব হইলে মাহিনা আদায় করা
হইবে।


{{gap}}অক্লান্তকর্ম্মা ঈশ্বরচন্দ্র কলিকাতা সংস্কৃত কলেজ, নর্ম্মাল স্কুল, চারি জেলার মডেল স্কুল ও বাংলা পাঠশালার তত্ত্বাবধান করিতে লাগিলেন। ১৮৫৬, নভেম্বর মাসে তিনি যে পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন, ভারত সরকারের নির্দ্দেশে, পূর্ব্বতন নাম বদলাইয়া সে পদের নাম হইল—দক্ষিণ-বাংলার বিদ্যালয়-সমুহের স্পেশ্যাল্ ইন্‌স্পেক্টর।<ref>''Education Cons. 27 Nov. 1856,'' No. 92: 16 Ocir. 1856, Nos. 65-66.</ref>
{{gap}}অক্লান্তকৰ্ম্মা ঈশ্বরচন্দ্ৰ কলিকাতা সংস্কৃত কলেজ, নর্ম্মাল স্কুল, চারি
{{nop}}
জেলার মডেল স্কুল ও বাংলা পাঠশালার তত্ত্বাবধান করিতে লাগিলেন।
১৮৫৬, নভেম্বর মাসে তিনি যে পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন, ভারত সরকারের
নির্দ্দেশে, পূর্ব্বতন নাম বদলাইয়া সে পদের নাম হইল—দক্ষিণ-বাংলার
বিদ্যালয়-সমুহের স্পেশ্যাল্ ইন্‌স্পেক্টর।<ref>{{smaller|''Education Cons. 27 Nov. 1856,'' No. 92: 16 Ocir. 1856,
Nos. 65-66.}}</ref>