পাতা:আমি কেন ঈশ্বরে বিশ্বাস করিনা - প্রবীর ঘোষ.pdf/১১৩: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

(কোনও পার্থক্য নেই)

০৭:২৪, ৩ নভেম্বর ২০২০ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

 এইসব ধর্মগুলাে কতটা মানবিক, কতটা মানবতার মূর্ত প্রতীক, তা জানতে আমাদের ফিরে তাকাতে হবে ধর্মের বিধানগুলাের দিকে।


 হিন্দু ধর্মীয় বিধানে নারী জন্ম-পরাধীন, চির-পরাধীন । মনুর বিধানে |৯ঃ৩) আছেঃ

  পিতা রক্ষতি কৌমারে ভর্ত্তা রক্ষতি যৌবনে।

  রক্ষন্তি স্থবিরে পুত্রা না স্ত্রী স্বাতন্ত্র্যমর্হতি।।

 অর্থাৎ নারীকে-

 পিতা রক্ষা করবে কুমারীকালে, স্বামী রক্ষা করবে যৌবনে।

 বার্ধক্যে রক্ষা করবে পুত্ররা, স্ত্রী স্বাধীনতার যােগ্য নয়।।


 হঠাৎ মনুর বিধান টানলাম কেন ? মনুর বিধান কি হিন্দু ধর্মীয় বিধান, যেমন মুসলিম ধর্মীয় বিধান কোরান বা হাদিস ? এমন প্রশ্নের উত্তরে-হ্যাঁ, তাই। মনু কে ? হিন্দু ধর্মে বিশ্বাসীরা মনে করেন, মনু কোনও রমণীর গর্ভজাত নন, ব্রহ্মার দেহ থেকে উদ্ভূত। এই হেতু তিনি ব্রহ্মাপুত্র বলে বিবেচিত হওয়ার পাশাপাশি 'স্বয়ম্ভু' মনু বলেও পরিচিত। মনুর স্ত্রী শতরূপা, ছেলে প্রিয়ব্রত ও উত্তানপাদ। কন্যা–আকুতি, দেবহুতি ও প্রসূতি। এঁদের ছেলে-মেয়েদের থেকেই নাকি মানুষ বা মানবজাতির বিস্তার। মনুর বংশধর বলেই নাকি এই প্রাণীদের নাম হয়েছিল 'মানুষ' বা ‘মানব'।

 মনু স্মৃতিশাস্ত্র অধ্যয়ন করেন ব্রহ্মার কাছে। এই স্মৃতিশাস্ত্রই ধর্মশাস্ত্র বা প্রাচীন আইনের বিধান। অর্থাৎ হিন্দু আইনের বিধান ছিল সৃষ্টির দেবতা ব্রক্ষারই চিন্তার ফসল।

 মনুর বিধানে মানুষ বিভক্ত হয়েছিল সরাসরি দুটি ভাগে—'পুরুষ' ও নারী'। পুরুষকে প্রভুর ভূমিকায় এবং নারীকে ক্রীতদাসীর চেয়েও অধম, ধর্ষিতার চেয়েও অত্যাচারিতা এবং গৃহপালিত পশুর চেয়েও হীন ভূমিকায় নামিয়ে এনেছিল মনুর আইন অর্থাৎ হিন্দু ধর্মীয় আইন।

O

  মনুর বিধানে মানুষ বিভক্ত হয়েছিল সরাসরি দুটি ভাগে- 'পুরুষ' ও

  নারী'। পুরুষকে প্রভুর ভূমিকায় এবং নারীকে ক্রীতদাসীর চেয়েও অধম,

  ধর্ষিতার চেয়েও অত্যাচারিতা এবং গৃহপালিত পশুর চেয়েও হীন

  ভূমিকায় নামিয়ে এনেছিল মনুর আইন অর্থাৎ হিন্দু ধর্মীয় আইন।

O


 মনুর পদাঙ্ক অনুসরণ করে হিন্দু ধর্মগ্রন্থগুলাে একইভাবে নারীকে চূড়ান্তভাবে শােষণ করতে নানা উপদেশ প্রয়ােগ করেছে, নানা নীতিকথার নামে দুর্নীতি ছড়াতে চেয়েছে।

 শিক্ষা আনে চেতনার মুক্তি, যা দাসত্ব থেকে মুক্ত হতে উদ্বুদ্ধ করতে পারেআমি কেন ঈশ্বরে বিশ্বাস করি না—৮

১১৩