পাতা:আমি কেন ঈশ্বরে বিশ্বাস করিনা - প্রবীর ঘোষ.pdf/১৩৬: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
|||
পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে): | পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে): | ||
১ নং লাইন: | ১ নং লাইন: | ||
{{gap}}'দেশ' পত্রিকায় এমন |
{{gap}}'দেশ' পত্রিকায় এমন বালখিল্যবৎ উদাহরণ হাজির করা দেখে আমার সাথী দেবকুমার হালদার হেসে গড়াগড়ি দিয়ে বলেছিলেন, “ব্যাখ্যা খুঁজে বের করবই ভাবলে যে কোনও কিছু থেকেই টেনে-টুনে একটা যা হােক ব্যাখ্যা হাজির করা যায়-ই। |
||
{{gap}}“ধরাে, একজন মাতালকে জিজ্ঞেস করলে-'বিশ্ব-ব্রহ্মাণ্ডের মডেল বিষয়ে তােমার কোনও ধারণা আছে? |
{{gap}}“ধরাে, একজন মাতালকে জিজ্ঞেস করলে-'বিশ্ব-ব্রহ্মাণ্ডের মডেল বিষয়ে তােমার কোনও ধারণা আছে? |
||
৫ নং লাইন: | ৫ নং লাইন: | ||
{{gap}}“মাতাল তােমার কথার জবাব না দিয়ে বােতল বের করল। তারপর ঢক-ঢক করে গলায় ঢালল গােটা বােতলের গলিত আগুন। ফাঁকা বােতলটা নামিয়ে রেখে এলাে-মেলাে পায়ে বেরিয়ে গেল। |
{{gap}}“মাতাল তােমার কথার জবাব না দিয়ে বােতল বের করল। তারপর ঢক-ঢক করে গলায় ঢালল গােটা বােতলের গলিত আগুন। ফাঁকা বােতলটা নামিয়ে রেখে এলাে-মেলাে পায়ে বেরিয়ে গেল। |
||
{{gap}} |
{{gap}}"মাতালের এই ঘটনার মধ্যে থেকেও বিশ্ব-ব্রহ্মাণ্ডের বাস্তব মডেলের সঙ্গে মিল খুঁজে বের করা যায়, বের করার তাগিদ থাকলে। |
||
{{gap}}বিশ্ব-ব্রহ্মাণ্ড শূন্য থেকে সৃষ্টি, সেটা বােঝাতেই মাতাল শূন্য হাত বােতলে পূর্ণ করেছিল। ব্রহ্মাণ্ড সঙ্কুচিত হতে হতে |
{{gap}}"বিশ্ব-ব্রহ্মাণ্ড শূন্য থেকে সৃষ্টি, সেটা বােঝাতেই মাতাল শূন্য হাত বােতলে পূর্ণ করেছিল। ব্রহ্মাণ্ড সঙ্কুচিত হতে হতে শূন্যে পরিণত হবে বােঝাতেই মাতাল তার গলায় শেষ মদ-বিন্দু ঢেলে বােতল শূন্য করেছিল। এবং নামিয়ে রেখেছিল বােতল।" |
||
১৪ নং লাইন: | ১৪ নং লাইন: | ||
ফতেহ মােহাম্মদ পেশায় বিজ্ঞানী। নিবাস, পাকিস্তানে। কোয়ান্টাম মেকানিকস-এর থেকে শুরু করে জিন, সবই পবিত্র মুসলিম ধর্মগ্রন্থ কোরআনের আলােকে অনুধাবন করা যায়—এই প্রসঙ্গে একটি ঢাউস বই লিখেছেন মােহাম্মদ সাহেব। প্রকাশক, পাকিস্তানের সামরিক পুস্তক ক্লাব। সরকার বইটির দারুণ প্রশংসা |
ফতেহ মােহাম্মদ পেশায় বিজ্ঞানী। নিবাস, পাকিস্তানে। কোয়ান্টাম মেকানিকস-এর থেকে শুরু করে জিন, সবই পবিত্র মুসলিম ধর্মগ্রন্থ কোরআনের আলােকে অনুধাবন করা যায়—এই প্রসঙ্গে একটি ঢাউস বই লিখেছেন মােহাম্মদ সাহেব। প্রকাশক, পাকিস্তানের সামরিক পুস্তক ক্লাব। সরকার বইটির দারুণ প্রশংসা |
||
করেছে। বইটিতে ব্যাখ্যা সহকারে দেখানাে হয়েছে আধুনিক বিজ্ঞানের প্রতিটি আবিষ্কারই নানা রূপকের আকারে রয়েছে কোরআনে । লেখক নানা যুক্তি দিয়ে প্রমাণ করতে চেয়েছেন (অনেক মুসলিম ধর্ম-বিশ্বাসীদের মতে প্রমাণ করে ছেড়েছেন), |
করেছে। বইটিতে ব্যাখ্যা সহকারে দেখানাে হয়েছে আধুনিক বিজ্ঞানের প্রতিটি আবিষ্কারই নানা রূপকের আকারে রয়েছে কোরআনে । লেখক নানা যুক্তি দিয়ে প্রমাণ করতে চেয়েছেন (অনেক মুসলিম ধর্ম-বিশ্বাসীদের মতে প্রমাণ করে ছেড়েছেন), 'ব্ল্যাক হােল' বা 'কৃষ্ণ গহ্বর' হল কেনআন বর্ণিত 'দোজখ' বা |
||
নরক। |
নরক। |
||
{{gap}}পারভেজ |
{{gap}}পারভেজ আমিরালী হুদোভয় পাকিস্তানের বিশিষ্ট পরমাণু পদার্থবিদ। আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড-এর এম. আই. টি. থেকে পি-এইচ. ডি.। ইতালির ট্রায়েস্টে আই. সি. পি. টি.-তে সম্মানীয় অতিথি বিজ্ঞানী হিসেবে কাজ করছেন। ১৯৮৪ সালে তাঁর একটি প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়। প্রবন্ধের বিষয়—পাকিস্তানে ইসলামি মৌলবাদের উত্থান ও বিজ্ঞানের আদর্শগত সংকট। প্রবন্ধে লেখক এক জায়গায় বলেছেন, “পাকিস্তানে একটি ক্রমবর্ধমান নতুন আন্দোলন হাজির হয়েছে, ইসলামি ধর্ম-বিশ্বাসকে বিজ্ঞান বলে প্রতিষ্ঠিত করার আন্দোলন। |