পাতা:আমি কেন ঈশ্বরে বিশ্বাস করিনা - প্রবীর ঘোষ.pdf/১৪৫: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

(কোনও পার্থক্য নেই)

১৭:২৮, ৩ নভেম্বর ২০২০ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

কথা জানালেন (এ সেই মেঘের মধ্যে বাঘ, নৌকো, মানুষের মুখ ইত্যাদিকে অনুভব করার মত ব্যাপার।)।

 বিজ্ঞান পেশার সঙ্গে যুক্ত যে সব বিজ্ঞানী বিজ্ঞানের থেকে অনেক বেশি দূরে সরে গিয়ে ঈশ্বর অস্তিত্বের পক্ষে উল্টো-পাল্টা বক্তব্য রাখেন, তাঁদের সম্পর্কে আমরা ম্যুনিখ-এর মাক্স প্ল্যাংক ইনস্টিটিউটের সেই কথার সুরে সুর মিলিয়ে বলতে পারি-কল্পনায় আপনারা বিজ্ঞানের থেকে এতটাই দূরে সরে গিয়ে এমন সব উদ্ভট বক্তব্য রেখেছেন, যাতে শুধুমাত্র আপনাদের সুনাম নয়, বিজ্ঞানের সুনামও নষ্ট হচ্ছে।


ধর্মবিশ্বাসী বিজ্ঞানীরা বেজায় রকম সংখ্যালঘু, তবু প্রচারে বিশাল


এখানে অবশ্য মূল প্রসঙ্গ বিজ্ঞানী বা বিজ্ঞানের সুনামের নয়। মূল প্রসঙ্গ বা সমস্যা অন্য জায়গায়। প্রিয় পাঠক-পাঠিকা একটু ভাবুন তো, পাশ্চাত্যের দেশগুলোতে সাধারণ শিক্ষা ও বিজ্ঞান শিক্ষার উন্নতির জন্য যখন শতকরা পঞ্চাশ ভাগের বেশি মানুষ যখন প্রচলিত প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মে বিশ্বাস করে না (এনসাইক্লোপিডিয়ার ৯০ দশকের যে কোনও সংস্করণে চোখ বোলালেই এই বিষয়ে বিস্তৃত জানতে পারবেন), ধর্মে ও ঈশ্বরে বিশ্বাসী বিজ্ঞানীরা যখন প্রচণ্ড রকম সংখ্যালঘু, তখন আঙুলে গোনা কিছু পাশ্চাত্যের বিজ্ঞানীদের ঈশ্বর-বিশ্বাসের পক্ষে করা মন্তব্য বা বক্তব্যকে বিশাল করে প্রচার করা হচ্ছে কেন? পাশ্চাত্যে ঈশ্বর বিশ্বাসী বিজ্ঞানীদের সংখ্যা কেমন, এবিষয়ে নির্ভরযোগ্য পরিসংখ্যান এই মুহূর্তে হাতের কাছে না থাকলেও আছে আধুনিক পদার্থবিদ্যার আইনস্টাইনোত্তর যুগের অন্যতম সবচেয়ে খ্যাতিমান নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী স্টিফেন ভাইনবার্গের একটি মন্তব্যঃ

 “খুব কম বিজ্ঞানীই ঈশ্বরতত্ত্বের প্রতি মনোযোগ দেন। আমি দু'জন জেনারেল রিলেটিভিস্টকে জানি, যাঁরা ধর্মপ্রাণ রোমান ক্যাথলিক; জনাকয়েক তত্ত্বীয় পদার্থবিদ যাঁরা ইহুদি ধর্মে বিশ্বাস-টিশ্বাস করেন; একজন পরীক্ষামূলক পদার্থবিদ যিনি খ্রিস্টধর্মে নতুনভাবে দীক্ষিত হয়েছেন; একজন তত্ত্বীয় পদার্থবিদ যিনি ধর্মপ্রাণ মুসলমান; এবং একজন গাণিতিক পদার্থবিদ যিনি ইংলন্ডের চার্চ থেকে পবিত্র আদেশ নিয়েছেন। সন্দেহ নেই, এমন ধার্মিক বিজ্ঞানী নিশ্চয়ই আছেন, যাঁদের আমি চিনি না বা যাঁরা নিজের মত নিজের কাছেই রাখেন। তবু নিজের পর্যবেক্ষণ থেকে আমি যতদূর বলতে পারি, আজকালকার বেশিরভাগ পদার্থবিদই একজন বলিয়ে-কইয়ে নাস্তিক হিসেবে নাম কেনার খাতিরেও ধর্ম নিয়ে যথেষ্ট আগ্রহ দেখান না।” {ড্রিমস অফ এ ফাইনাল থিয়োরি, ভিন্টেজ, ১৯৯৩; পৃষ্ঠা ২০৫}

১৪৫