পাতা:মুর্শিদাবাদ কাহিনী.djvu/৩৩৪: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

আফতাব বট (আলোচনা | অবদান)
পাইউইকিবট স্পর্শ সম্পাদনা
Nasirkhan (আলোচনা | অবদান)
পাতার অবস্থাপাতার অবস্থা
-
মুদ্রণ সংশোধন করা হয়নি
+
মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে
শীর্ষক (অন্তর্ভুক্ত হবে না):শীর্ষক (অন্তর্ভুক্ত হবে না):
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
{{rh|৩২৮|মুর্শিদাবাদ-কাহিনী|৩২৮}}
{{rh|৩২৮|মুর্শিদাবাদ-কাহিনী|}}
পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
গঙ্গাগােবিন্দের প্রতি এক্ষণে তাহার কোন বিরুদ্ধ ভাব নাই।<ref>Ibid</ref> এইরূপ অনেক স্থলে গঙ্গাগােবিন্দ হেস্টিংসসাহেবের জন্য লাঞ্ছনার হস্ত হইতে নিষ্কৃতি পাইয়াছিলেন।
৩২৮ মুর্শিদাবাদ-কাহিনী

গঙ্গাগোবিন্দের প্রতি এক্ষণে তাহার কোন বিরুদ্ধ ভাব নাই। “ এইরূপ অনেক স্থলে গঙ্গাগোবিন্দ হেস্টিংসসাহেবের জন্য লাঞ্ছনার হস্ত হইতে নিস্কৃতি পাইয়াছিলেন । আর এক সময়ে গঙ্গাগোবিন্দর্তাহার পুত্র প্রাণকৃষ্ণ এক জাল ব্যাপারে লিপ্ত ছিলেন বলিয়া অভিযুক্ত হন । কিন্তু ভাগ্যবলে সেবারও লাঞ্ছনা ও অবমাননার হস্ত হইতে উভয়েই নিস্কৃতি পাইয়াছিলেন। ১৭৮২ খ্রীঃ অব্দে হিজলীর ফৌজদারের উকীল গোলাম আশরফ নবাব মহম্মদ রেজা খাঁ মজঃফরজঙ্গের নামে কতকগুলি দাখিল জাল করায় ধৃত হয়। রেজা খাঁ যে সময়ে ফৌজদারী আদালতের প্রধান কর্তা ছিলেন, সেই সময়ে তাহার অধীন কর্মচারীদিগের বেতনের জন্য ঐ সকল দাখিলা দেওয়া হয় বলিয়া জাল করা হয় । গোলাম আশরফ ইহাতে প্রাণকৃষ্ণকে বিজড়িত করিয়া ফেলে । তৎকালে সরকারপক্ষের ফৌজদারী বিচারের তত্ত্বাবধায়ক উইলেসসাহেব এক মাসের উপর এই বিষয়ের অনুসন্ধান করিয়া সমিতির নিকট আপনার মন্তব্য প্রেরণ করেন । তাহতে প্রাণকৃষ্ণকে অব্যাহতি দিয়া গোলাম আশরফকেই দোষী স্থির করা হয়। র্তাহার মন্তব্যানুসারে গোলাম আশরফ দাওরা সোপর্দ হয় । গোলাম আশরফ তাহার হাজতে অবস্থানকালে পুনর্বার প্রাণকৃষ্ণ ও গঙ্গাগোবিন্দ উভয়ের বিরুদ্ধে গবর্নর জেনারেলের নিকট এক আবেদনপত্র প্রেরণ করে । এই বিষয়ের অনুসন্ধানের জন্য রাজস্ব-সমিতির সভ্যগণের মধ্যে চালস উইলকিন্স, জেম্স গ্রান্ট, জোনাথান ডনকান এবং জন হোয়াইটকে লইয়া একটি অনুসন্ধান সমিতি গঠিত হয় । ১২ই এপ্রিল হইতে র্তাহারা এবিষয়ের তদন্ত আরম্ভ করেন । র্তাহারা গোলাম আশরফের প্রত্যেক সাক্ষীকে জেরার উপর জেরা করিয়া তাহদের সাক্ষ্য অগ্রাহ্য করিয়া ২৩শে গোলাম আশরফের নিকট প্রকাশ করেন যে, ১৫ দিনের মধ্যে যদি সে অন্য সাক্ষী আনয়ন করিতে না পারে, তাহা হইলে তাহারা তাহাদিগের মন্তব্য রাজস্বসমিতির নিকট পাঠাইতে বাধ্য হইবেন । গোলাম আশরফ উপায়ান্তর না দেখিয়া পুনর্বার সাক্ষীর চেষ্টা দেখিতে লাগিল । ৭ই জুন সে তিন জন সাক্ষী লইয়া যায়। কিন্তু সে সাক্ষীর প্রমাণ গ্রাহ্য না করিয়া, র্তাহারা তাহাদিগকে মিথ্যাসাক্ষী স্থির করিয়া সমিতিকে অবগত করান। সমিতি সরকারী পক্ষের তৎকালীন সর্বপ্রধান কেন্সিলী সাবৃজন্সন ডেকে এই সকল মিথ্যাসাক্ষীর দণ্ডবিধানাথ তাহদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উপস্থিত করিতে আদেশ দেন । দুই জন দাওরা সোপর্দ হয় ; তন্মধ্যে একজনকে শাস্তি ভোগ করিতে হইয়াছিল । অনুসন্ধানসমিতি ক্ৰমান্বয়ে আপনাদের অনুসন্ধান চালাইতে লাগিলেন। অবশেষে আগস্ট মাসে র্তাহারা তাহদের অনুসন্ধানের পূর্ণ বিবরণ সমিতির নিকট উপস্থিত করেন। তাহাতে দেওয়ান গঙ্গাগোবিন্দ ও প্রাণকৃষ্ণকে সম্পূর্ণরূপে অব্যাহতি দেওয়া হয় ।২৬
{{gap}}আর এক সময়ে গঙ্গাগােবিন্দতাহার পুত্র প্রাণকৃষ্ণ এক জাল ব্যাপারে লিপ্ত ছিলেন বলিয়া অভিযুক্ত হন। কিন্তু ভাগ্যবলে সেবারও লাঞ্ছনা ও অবমাননার হস্ত হইতে উভয়েই নিষ্কৃতি পাইয়াছিলেন। ১৭৮২ খ্রীঃ অব্দে হিজলীর ফৌজদারের উকীল গােলাম আশরফ নবাব মহম্মদ রেজা খাঁ মজঃফরজঙ্গের নামে কতকগুলি দাখিল জাল করায় ধৃত হয়। রেজা খাঁ যে সময়ে ফৌজদারী আদালতের প্রধান কর্তা ছিলেন, সেই সময়ে তাহার অধীন কর্মচারীদিগের বেতনের জন্য ঐ সকল দাখিলা দেওয়া হয় বলিয়া জাল করা হয়। গােলাম আশরফ ইহাতে প্রাণকৃষ্ণকে বিজড়িত করিয়া ফেলে। তৎকালে সরকারপক্ষের ফৌজদারী বিচারের তত্ত্বাবধায়ক উইলেসসাহেব এক মাসের উপর এই বিষয়ের অনুসন্ধান করিয়া সমিতির নিকট আপনার মন্তব্য প্রেরণ করেন। তাহাতে প্রাণকৃষ্ণকে অব্যাহতি দিয়া গােলাম আশরফকেই দোষী স্থির করা হয়। তাহার মন্তব্যানুসারে গােলাম আশরফ দাওরা সােপর্দ হয়। গােলাম আশরফ তাহার হাজতে অবস্থানকালে পুনর্বার প্রাণকৃষ্ণ ও গঙ্গাগােবিন্দ উভয়ের বিরুদ্ধে গবর্নর জেনারেলের নিকট এক আবেদনপত্র প্রেরণ করে। এই বিষয়ের অনুসন্ধানের জন্য রাজস্ব-সমিতির সভ্যগণের মধ্যে চালস উইলকিন্স, জেম্‌স গ্রান্ট, জোনাথান ডকান এবং জন হােয়াইটকে লইয়া একটি অনুসন্ধান সমিতি গঠিত হয়। ১২ই এপ্রিল হইতে তাহারা এবিষয়ের তদন্ত আরম্ভ করেন। তাহারা গােলাম আশরফের প্রত্যেক সাক্ষীকে জেরার উপর জেরা করিয়া তাহাদের সাক্ষ্য অগ্রাহ্য করিয়া ২৩শে গােলাম আশরফের নিকট প্রকাশ করেন যে, ১৫ দিনের মধ্যে যদি সে অন্য সাক্ষী আনয়ন করিতে না পারে, তাহা হইলে তাহারা তাহাদিগের মন্তব্য রাজস্বসমিতির নিকট পাঠাইতে বাধ্য হইবেন।
S6 Ibid. su Calcutta Review, 1874. Kandi Family.

{{gap}}গােলাম আশরফ উপায়ান্তর না দেখিয়া পুনর্বার সাক্ষীর চেষ্টা দেখিতে লাগিল। ৭ই জুন সে তিন জন সাক্ষী লইয়া যায়। কিন্তু সে সাক্ষীর প্রমাণ গ্রাহ্য না করিয়া, তাহারা তাহাদিগকে মিথ্যাসাক্ষী স্থির করিয়া সমিতিকে অবগত করান। সমিতি সরকারী পক্ষের তৎকালীন সর্বপ্রধান কৌলিলী সাৰ্বজন ডেকে এই সকল মিথ্যাসাক্ষীর দণ্ডবিধানার্থ তাহাদের বিরুদ্ধে অভিযােগ উপস্থিত করিতে আদেশ দেন। দুই জন দাওর সােপর্দ হয় ; তন্মধ্যে একজনকে শাস্তি ভােগ করিতে হইয়াছিল। অনুসন্ধানসমিতি ক্রমান্বয়ে আপনাদের অনুসন্ধান চালাইতে লাগিলেন। অবশেষে আগস্ট মাসে তাহারা তাহাদের অনুসন্ধানের পূর্ণ বিবরণ সমিতির নিকট উপস্থিত করেন। তাহাতে দেওয়ান গঙ্গাগােবিন্দ ও প্রাণকৃষ্ণকে সম্পূর্ণরূপে অব্যাহতি দেওয়া হয়।<ref>Calcutta Review, 1874. Kandi Family.</ref>