পাতা:মাঝির ছেলে - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৭: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
সম্পাদনা সারাংশ নেই ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা |
|||
পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে): | পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে): | ||
১ নং লাইন: | ১ নং লাইন: | ||
ছোটখাট স্টীমার ঘাট |
ছোটখাট স্টীমার ঘাট আটখামার । নদী এখানে খুব চওড়া । কুয়াশা যখন নদীর বুকে একটুও নেই, এপারে দাঁড়িয়ে ওপারের দিকে তাকালে মনে হবে নদীর ওপার বুঝি পিছিয়ে পিছিয়ে দূরে গিয়ে চােখের সামনে জমাটি-বাঁধা কুয়াশার মত ঝাপসা হয়ে আসছে । |
||
{{ফাঁক}}সারাদিনে মোটে তিনটি স্টীমার ভেড়ে |
{{ফাঁক}}সারাদিনে মোটে তিনটি স্টীমার ভেড়ে আটখামারে । সকালে, দুপুরে আর সন্ধ্যার পর । যাত্রী আর মালপত্র ওঠে নামে এত কম যে স্টীমার কোম্পানীর পরিচালকেরা তাদের টাইমটেবল দেখে আটখামার নামটা একবোরে তুলে দেবার কথাটাও মাঝে মাঝে ভাবেন । |
||
{{ফাঁক}}একদিন সকালে ঘাটের কাছে ছোট একটি নৌকার গলুই-এ বসে হারু মাঝির ভাইপো নাগা খেসারির ডাল |
{{ফাঁক}}একদিন সকালে ঘাটের কাছে ছোট একটি নৌকার গলুই-এ বসে হারু মাঝির ভাইপো নাগা খেসারির ডাল চিবোচ্ছিল । আকাশ বেয়ে সূর্য সবে হাতখানেক ওপরে উঠেছে, স্টীমার আসতে অনেক দেরি । মাঝ নদীতে একটি স্টীমার দেখা যাচ্ছে, কিন্তু এ স্টীমার ঘাটের ধারে কাছেও ভিড়বে না, দূর দিয়ে চলে যাবে । কোথায় যাবে কে জানে ? সারাদিন কত জাহাজ যায় নদী দিয়ে, রাত্রে কত জাহাজ থেকে সার্চ লাইটের তীব্র আলো এসে চোখ ঝলসে দেয়, তারা কোথা থেকে আসে আর কোথায় যায় জানতে এমন ইচ্ছা করে নাগার ! |
||
{{ফাঁক}}পাশে একটি নৌকা এসে ভিড়ল, করমতলার তালুকদার যাদববাবুর |
{{ফাঁক}}পাশে একটি নৌকা এসে ভিড়ল, করমতলার তালুকদার যাদববাবুর নৌকা । যাদববাবু ব্যস্তভাবে ছই-এর ভেতর থেকে বেরিয়ে এসে লাফ দিয়ে তীরে উঠলেন,—হাসিমুখে মাথাটা একটু কাত করে নাগার অস্তিত্ব স্বীকার করে নিয়ে, মনে যাতে তার কষ্ট না হয় যে তাকে তিনি একেবারে গ্রাহ্যই করলেন না । প্রথম দেখলে যাদববাবুকে মোটা মনে হয়, আর বিস্ময় জাগে যে এমন মোটা মানুষটার মানানসই ভুঁড়ি কোথায় গেল ? তারপর বুঝা যায়, তিনি ঠিক মোটা নন, একটু ঢিলধরা জবরদস্ত পালোয়ানী চেহারা বলে মোটা মনে হয় । এককালে তিনি নাকি মস্ত কুস্তিগীর ছিলেন, কুস্তি ছেড়ে দেবার পর শরীরটা নরম হয়ে গেছে । |