|
|
পাতার অবস্থা | পাতার অবস্থা |
- | মুদ্রণ সংশোধন করা হয়নি
| + | মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে |
শীর্ষক (অন্তর্ভুক্ত হবে না): | শীর্ষক (অন্তর্ভুক্ত হবে না): |
১ নং লাইন: |
১ নং লাইন: |
|
|
{{rh|৮৩৮|উপেন্দ্রকিশাের রচনাসমগ্র|}} |
পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে): | পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে): |
১ নং লাইন: |
১ নং লাইন: |
|
|
{{C|{{xx-larger|গরিলা}}}} |
|
গরিলা |
|
|
|
|
|
আফ্রিকা দেশে গরিলার বাড়ি। গরিলারা বনে থাকে। সে-সকল বনে মানুষের বড় একটা চলাফেরা নাই। সভ্য লোকেরা ত সে স্থানে যাইতে চাহেনই না, সে দেশবাসী অসভ্যেরাও গরিলার ভয়ে সেই সকল বন হইতে দূরে থাকে। শ্রীরামচন্দ্রের সৈন্যদিগের মধ্যে হনুমান মহাশয় যেরূপ ছিলেন, সেদেশী জন্তুদের মধ্যে গরিলাও সেইরূপ। রামায়ণে হনুমানের কথা যাহা পরিয়াছি তাহাতে তাহার উপর একপ্রকার ভালো ভাবই জন্মিয়াছে। আমি অনেক সময় ভাবিয়া থাকি যে হনুমান এত বড় লোক (খুড়ি, বড় বাঁদর) ছিলেন, কিন্তু হনুমান বলিলে আমরা এত চটি কেন? এ বিষয় হনুমান বেচারার একটু বিশেষ দুর্ভাগ্যই ছিল বলিতে হইবে, নতুবা হনুমান খাইয়াছেন বলিয়া কলার মৌখিক আদর কমিল কেন? মৌখিক বলিতেছি, কারণ খাইতে দিলে কাহারো যত্নের ক্রটি দেখা যায় না। যাহা হউক এ বিষয়টি আমার আলোচনার সামগ্ৰী নহে। আমি গরিলাদের কথা বলিতেছি, তোমরা তাহাতে মনোযোগ দেও। আমি বলিতেছিলাম হনুমান খুব মহাশয় ব্যাক্তি ছিলেন, কিন্তু গরিলা এত প্রধান জীব হইলেও তাহার আচার ব্যবহারগুলি ভালো নহে। |
|
{{gap}}আফ্রিকা দেশে গরিলার বাড়ি। গরিলারা বনে থাকে। সে-সকল বনে মানুষের বড় একটা চলাফেরা নাই। সভ্য লােকেরা ত সে স্থানে যাইতে চাহ্নেই না, সে দেশবাসী অসভ্যেরাও গরিলার ভয়ে সেই সকল বন হইতে দূরে থাকে। শ্রীরামচন্দ্রের সৈন্যদিগের মধ্যে নুমান মহাশয় যেরূপ ছিলেন, সেদেশী জন্তুদের মধ্যে গরিলাও সেইরূপ। রামায়ণে নুমানের কথা যাহা পরিয়াছি তাহাতে তাহার উপর একপ্রকার ভালাে ভাবই জন্মিয়াছে। আমি অনেক সময় ভাবিয়া থাকি যে সুমান এত বড় লােক (থুড়ি, বড় বাঁদর) ছিলেন, কিন্তু হনুমান বলিলে আমরা এত চটি কেন? এ বিষয় হনুমান বেচারার একটু বিশেষ দুর্ভাগ্যই ছিল বলিতে হইবে, নতুবা সুমান খাইয়াছে বলিয়া কলার মৌখিক আদর কমিল কেন? মৌখিক বলিতেছি, কারণ খাইতে দিলে কাহারাে যত্নের ত্রুটি দেখা যায় না। যাহা হউক এ বিষয়টি আমার আলােচনার সামগ্রী নহে। আমি গরিলাদের কথা বলিতেছি, তােমরা তাহাতে মনোেযােগ দেও। আমি বলিতেছিলাম নুমান খুব মহাশয় ব্যাক্তি ছিলেন, কিন্তু গরিলা এত প্রধান জীব হইলেও তাহার আচার ব্যবহারগুলি ভালাে নহে।। |
⚫ |
জাতিতে হুকু—নিবাস আফ্রিকা;এইদুই বিষয়ের মধ্যে বিশেষ আশাপ্রদ কিছুই নাই। এর পরেই চেহারা। এ বিষয়ে আমি আর অধিক কি বলিব! আমি এরূপ বলিতেছি না যে আমরা মানুষ, সুতরাং আমরা সুন্দর, আর গরিলা হুকু, সুতরাং সে কুৎসিত। সুন্দরই হউক আর কুৎসিতই হউক, দেখিতে যে অত্যন্ত ভয়ানক সে বিষয়ে কিছুমাত্র সন্দেহ নাই। |
|
|
|
|
⚫ |
গরিলা যে বনে বাস করে, সেই বনে একপ্রকার বাদাম জন্মে;এই বাদামই গরিলার প্রধান আহার। এই বাদাম এত শক্ত যে একটা হাতুড়ি দিয়া খুব জোরের সহিত ঘা না মারিলে তাহাকে ভাঙ্গা যায় না। ইহারই আধমণ ত্রিশ সের পরিমাণ অক্লেশে উদরস্থ করিয়া গরিলা প্রাত্যহিক জীবনযাত্রা নির্বাহ করে। এই বিষয়টি ভাবিলেই ইহাদের শরীরে যে কি ভয়ানক বল তাহ বুঝিতে পার। এরপর আবার তাহার স্বভাবটি। সেটি বাঘ ভল্লুকেরও অনুকরণের সামগ্রী। গরিলার দেশের লোকেরা তাহার নামেই ভয় পায়। ইহাদের উৎপাতের সম্বন্ধে বিস্তর গল্প বলা হইয়া থাকে। একবার নাকি একদল গরিলাতে আর সে দেশের কতকগুলি মানুষেতে একটা প্রকান্ড যুদ্ধ হইয়াছিল। যুদ্ধে গরিলারা জয়লাভ করিল এবং কতকগুলি মানুষকে ধরিয়া লইয়া গেল। কয়েকদিন পরে এই লোকগুলি ঘরে ফিরিয়া আসিল;গরিলারা তাহাদের পায়ের আঙ্গুল ছিড়িয়া রাখিয়া তাহাদিগকে ছাড়িয়া দিয়াছে। |
|
|
⚫ |
{{gap}}জাতিতে হুকু-নিবাস আফ্রিকা; এইদুই বিষয়ের মধ্যে বিশেষ আশাপ্রদ কিছুই নাই। এর পরেই চেহারা। এ বিষয়ে আমি আর অধিক কি বলিব! আমি এরূপ বলিতেছিনা যে আমরা মানুষ, সুতরাং আমরা সুন্দর, আর গরিলা , সুতরাং সে কুৎসিত। সুন্দরই হউক আর কুৎসিতই হউক, দেখিতে যে অত্যন্ত ভয়ানক সে বিষয়ে কিছুমাত্র সন্দেহ নাই। |
⚫ |
সেদেশীয় লোকের বিশ্বাস যে গরিলারা এক কালে মানুষই ছিল। কালক্রমে তাহদের আচার -ব্যবহার অধোগামী হওয়াতে তাহারা অসভ্যতা প্রাপ্ত হইয়া ঐরূপ ঘূণাজনক আকার পাইয়াছে। |
|
|
|
|
⚫ |
পুরুষ গরিলার হাতে অনেক সময় একটি ছোট মুগুর থাকে। সে দেশের লোকেরা বলে যে এই মুগুর লইয়া গরিলা হাতির সহিত যুদ্ধ করে। তোমরা মনে করিতে পার যে হাতি নিরীহ ভালোমানুষ, তাহার সঙ্গে গরিলার শক্ৰতা হইবার কি কারণ থাকিতে পারে? কারণ |
|
|
⚫ |
{{gap}}গরিলা যে বনে বাস করে, সেই বনে একপ্রকার বাদাম জন্মে;এই বাদামই গরিলার প্রধান আহার। এই বাদাম এত শক্ত যে একটা হাতুড়ি দিয়া খুব জোরের সহিত ঘা না মারিলে তাহকে ভাঙ্গা যায় না। ইহারই আধমণ ত্রিশ সের পরিমাণ অক্লেশে উদরস্থ করিয়া গরিলা প্রাত্যহিক জীবনযাত্রা নির্বাহ করে। এই বিষয়টি ভাবিলেই ইহাদের শরীরে যে কি ভয়ানক বল তাহা বুঝিতে পার। এরপর আবার তাহার স্বভাবটি। সেটি বাঘ ভল্লুকেরও অনুকরণের সামগ্রী। গরিলার দেশের লােকেরা তাহার নামেই ভয় পায়। ইহাদের উৎপাতের সম্বন্ধে বিস্তর গল্প বলা হইয়া থাকে। একবার নাকি একদল গরিলাতে আর সে দেশের কতকগুলি মানুষেতে একটা প্রকান্ড যুদ্ধ হইয়াছিল। যুদ্ধে গরিলারা জয়লাভ করিল এবং কতকগুলি মানুষকে ধরিয়া লইয়া গেল। কয়েকদিন পরে এই লােকগুলি ঘরে ফিরিয়া আসিল;গরিলারা তাহাদের পায়ের আঙ্গুল ছিড়িয়া রাখিয়া তাহাদিগকে ছাড়িয়া দিয়াছে। |
|
|
|
|
⚫ |
{{gap}}সেদেশীয় লােকের বিশ্বাস যে গরিলারা এক কালে মানুষই ছিল। কালক্রমে তাহাদের আচার ব্যবহার অধােগামী হওয়াতে তাহারা অসভ্যতা প্রাপ্ত হইয়া ঐরূপ ঘৃণাজনক আকার পাইয়াছে। |
|
|
|
|
⚫ |
{{gap}}পুরুষ গরিলার হতে অনেক সময় একটি ছােট মুগুর থাকে। সে দেশের লােকেরা বলে যে এই মুগুর লইয়া গরিলা হাতির সহিত যুদ্ধ করে। তােমরা মনে করিতে পার যে অতি নিরীহ ভালােমানুষ, তাহার সঙ্গে গরিলার শত্রতা হইবার কি কারণ থাকিতে পারে? কারণ |