পাতা:উপেন্দ্রকিশোর রচনাসমগ্র.djvu/৮৪৭: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

Pywikibot touch edit
Nasirkhan (আলোচনা | অবদান)
পাতার অবস্থাপাতার অবস্থা
-
মুদ্রণ সংশোধন করা হয়নি
+
মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে
শীর্ষক (অন্তর্ভুক্ত হবে না):শীর্ষক (অন্তর্ভুক্ত হবে না):
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
{{rh||বিবিধ প্রবন্ধ|৮৪৭}}
পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
সন্তানটিকে সে বড় ভালােবাসিত। সেই ছেলেটির সঙ্গে সে খেলা করিত এবং তাহার সকলপ্রকার অত্যাচার সে অতিশয় ভালােমানুষের ন্যায় সহ্য করিত। এইরূপে অনেকদিন চলিয়া গেল। অবশেষে ছেলেটির বসন্ত রােগ হইল। প্রথম কয়েকদিন বিড়ালটি কিছুতেই তাহার বিছানার পাশ ঘড়িয়া যাইতে চাহিল না। ব্যারাম যখন বাড়িয়া চলিল, তখন বিড়ালটিকে স্থানান্তরিত করিয়া এক ঘরে তালা দিয়া রাখিতে হইল। ছেলেটি মারা গেল। বিড়ালকে ছাড়িয়া দিবামাত্র সে উৰ্দ্ধশ্বাসে দৌড়িয়া তাহার খেলার সঙ্গীকে দেখিতে আসিল কিন্তু ইহার পুর্বেই তাহার মৃত শরীর সে ঘর হইতে স্থানান্তরিত করা হইয়াছিল। তাহার পর সে বাড়িময় ছােটাছুটি করিয়া অবশেষে সে ঘরে মৃতদেহ রাখা হইয়াছিল সেই ঘরে আসিল। এই স্থানে সে শশাকে অধীর হইয়া শুইয়া রহিল। তাহাকে আবার তালা দিয়া রাখিবার দরকার হইল। ছেলেটিকে গাের দেওয়ার পরে বিড়ালটিকে দেখা গেল না। পনেরােদিন পরে নিতান্ত জীর্ণ শীর্ণ হইয়া সেই বালকটি যে ঘরে মারা গিয়াছিল, সেই ঘরে বিড়াল ফিরিয়া আসিল। এরূপ অবস্থায়ও তাহাকে কিছু খাওয়ান গেল না। তাহার সংগীকে না দেখিয়া সে করুণস্বরে চিৎকার করিতে করিতে বাহির হইয়া গেল। অবশেষে যখন ক্ষুধায় মৃতপ্রায় হইল, তখন খাইবার সময় কোনােপ্রকারে ঘরে আসিত, কিছু আহার করিয়াই আবার চলিয়া যাইত। অন্য সময় সে কোথায় থাকিত কেহই জানিত না। অবশেষে একদিন তাহার পশ্চাৎ যাইয়া দেখা গেল যে, সে সেই বালকটির গােরের পাশে পড়িয়া থাকে। এই পরিবারটি ঐ স্থানে পাঁচ বৎসর কাল ছিলেন। এই দীর্ঘকাল ব্যাপিয়া সেই বিড়ালটিকে সেই বালকের গােরের পাশে দিনরাত পড়িয়া থাকিতে দেখা গিয়াছিল। এই ঘটনার পর হইতে ঐ বিড়ালটির উপরে সকলেরই অতিশয় ভালােবাসা জন্মিয়া গিয়াছিল, এমনকি তাহাকে একপ্রকার ভক্তির ভাবে দেখা হইত।
বিবিধ প্রবন্ধ by8ዒ

সন্তানটিকে সে বড় ভালোবাসিত। সেই ছেলেটির সঙ্গে সে খেলা করিত এবং তাহার সকলপ্রকার অত্যাচার সে অতিশয় ভালোমানুষের ন্যায় সহ্য করিত। এইরূপে অনেকদিন চলিয়া গেল। অবশেষে ছেলেটির বসন্ত রোগ হইল। প্রথম কয়েকদিন বিড়ালটি কিছুতেই তাহার বিছানার পাশ ছাড়িয়া যাইতে চাহিল না। ব্যারাম যখন বাড়িয়া চলিল, তখন বিড়ালটিকে স্থানান্তরিত করিয়া এক ঘরে তালা দিয়া রাখিতে হইল। ছেলেটি মারা গেল। বিড়ালকে ছাড়িয়া দিবামাত্র সে উদ্ধশ্বাসে দৌড়িয়া তাহার খেলার সঙ্গীকে দেখিতে আসিল কিন্তু ইহার পূর্বেই তাহার মৃত শরীর সে ঘর হইতে স্থানান্তরিত করা হইয়াছিল। তাহার পর সে বাড়িময় ছোটাছুটি করিয়া অবশেষে সে ঘরে মৃতদেহ রাখা হইয়াছিল সেই ঘরে আসিল। এই স্থানে সে শোকে অধীর হইয়া শুইয়া রহিল। তাহাকে আবার তালা দিয়া রাখিবার দরকার হইল। ছেলেটিকে গোর দেওযার পরে বিড়ালটিকে দেখা গেল না। পনেরোদিন পরে নিতান্ত জীর্ণ শীর্ণ হইয়া সেই বালকটি যে ঘরে মারা গিয়াছিল, সেই ঘরে বিড়াল ফিরিয়া আসিল। এরূপ অবস্থায়ও তাহাকে কিছু খাওয়ান গেল না। তাহার সংগীকে না দেখিয়া সে করুণস্বরে চিৎকার করিতে করিতে বাহিব হইয়া গেল। অবশেষে যখন ক্ষুধায় মৃতপ্রায় হইল, তখন খাইবার সময় কোনোপ্রকারে ঘরে আসিত, কিছু আহার করিয়াই আবার চলিয়া যাইত। অন্য সময় সে কোথায় থাকিত কেহই জানিত না। অবশেষে একদিন তাহার পশ্চাৎ যাইয়া দেখা গেল যে, সে সেই বালকটির গোরের পাশে পড়িয়া থাকে। এই পরিবারটি ঐ স্থানে পাঁচ বৎসর কাল ছিলেন। এই দীর্ঘকাল ব্যাপিয়া সেই বিড়ালটিকে সেই বালকের গোরের পাশে দিনরাত পড়িয়া থাকিতে দেখা গিয়াছিল। এই ঘটনার পর হইতে ঐ বিড়ালটির উপরে সকলেরই অতিশয ভালোবাসা জন্মিয়া গিয়াছিল, এমন-কি তাহাকে একপ্রকার ভক্তির ভাবে দেখা হইত।

টিয়াপাখি
{{C|{{xx-larger|টিয়াপাখি}}}}
অনেকেই পাখি পুষিয়া থাকেন। বোধহয় পাঠকবর্গের কাহারো কাহারো একটি টিয়াপাখিও আছে। ইহাদের সম্বন্ধে আজ আমরা কিছু বলিব। টিয়াপাখি অনেক জাতীয় আছে। ইহাদিগকে প্রধান চারি শ্রেণীতে ভাগ করা যাইতে পারে। ১ কাকাতুয়া, ২ টিয়া, ৩ নুরি, ৪ মরু। উহাদের মধ্যে প্রথম তিন শ্রেণীর টিয়াই আমরা এদেশে সচরাচর দেখিয়া থাকি। চতুর্থ শ্রেণীর পাখিগুলির বাসস্থান আমেরিকা। এই সকল পাখি সাধারণত খুব বড় এবং উজ্জ্বল রঙ-বিশিষ্ট হয়, কিন্তু ইহাদের চেহারা তত সুন্দব নহে। আমরা সচরাচর যে-সকল টিয়া দেখিতে পাই, তাহারাও আবার সকলে এদেশীয় নহে। অতিশয় সুন্দর পাখিগুলি প্রায়ই

নিকট অধিক মূল্য লইয়া বিক্রয় করে। পাখিওয়ালারা আবার অধিকতর লাভ করিয়া এখানকার শৌখিন লোকদিগকে সে-সকল পাখি গছাইয়া দেয়। ভালো ভালো কাকাতুয়া এবং নুরিগুলি প্রায়ই অস্ট্রেলিয়া হইতে আইসে। আমাদের দেশী যে-সকল টিয়া, তাহার মধ্যে সাধারণত
{{gap}}অনেকেই পাখি পুষিয়া থাকেন। বােধহয় পাঠকবর্গের কাহারাে কাহারাে একটি টিয়াপাখিও আছে। ইহাদের সম্বন্ধে আজ আমরা কিছু বলিব। টিয়াপাখি অনেক জাতীয় আছে। ইহাদিগকে প্রধান চারি শ্রেণীতে ভাগ করা যাইতে পারে। ১ কাকাতুয়া, ২ টিয়া, ৩ নুরি, ৪ মরু। উহাদের মধ্যে প্রথম তিন শ্রেণীর টিয়াই আমরা এদেশে সচরাচর দেখিয়া থাকি। চতুর্থ শ্রেণীর পাখিগুলির বাসস্থান আমেরিকা। এই সকল পাখি সাধারণত খুব বড় এবং উজ্জ্বল রঙ বিশিষ্ট হয়, কিন্তু ইহাদের চেহারা তত সুন্দব নহে। আমরা সচরাচর যে-সকল টিয়া দেখিতে পাই, তাহারাও আবার সকলে এদেশীয় নহে। অতিশয় সুন্দর পাখিগুলি প্রায়ই অস্ট্রেলিয়া হইতে আসিয়া থাকে, জাহাজী গােরারা অনেক সময়ে অস্ট্রেলিয়া হইয়া আসিবার সময় এক-একটি পাখি কিনিয়া আনে, এবং কলিকাতা আসিয়া টিরেটীবাজারে পাখিওয়ালাদের নিকট অধিক মূল্য লইয়া বিক্রয় করে। পাখিওয়ালারা আবার অধিকতর লাভ করিয়া এখানকার শৌখিন লােকদিগকে সে-সকল পাখি গছইয়া দেয়। ভালাে ভালাে কাকাতুয়া এবং নুরিগুলি প্রায়ই অস্ট্রেলিয়া হইতে আইসে। আমাদের দেশী যেসকল টিয়া, তাহার মধ্যে সাধারণত