পাতা:উপেন্দ্রকিশোর রচনাসমগ্র.djvu/৮৪৬: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
Pywikibot touch edit |
|||
পাতার অবস্থা | পাতার অবস্থা | ||
- | + | মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে | |
শীর্ষক (অন্তর্ভুক্ত হবে না): | শীর্ষক (অন্তর্ভুক্ত হবে না): | ||
১ নং লাইন: | ১ নং লাইন: | ||
{{rh|৮৪৬|উপেন্দ্রকিশাের রচনাসমগ্র|}} |
|||
পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে): | পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে): | ||
১ নং লাইন: | ১ নং লাইন: | ||
Ե՞8Ն2 উপেন্দ্রকিশোর রচনাসমগ্র |
|||
সাহেবের নাক-মুখ আঁচড়াইয়া দিল। এই আঁচড়ের দাগ সাহেব এ জীবনে আর দূর করিতে পারিলেন না। |
সাহেবের নাক-মুখ আঁচড়াইয়া দিল। এই আঁচড়ের দাগ সাহেব এ জীবনে আর দূর করিতে পারিলেন না। |
||
{{gap}}তােমাদের অনেকই বিখ্যাত হুইটিংটন সাহেবের কথা পড়িয়াছ। হুইটিংটন বাল্যকালেই পথের ভিখারি হইয়াছিলেন। দুইটিংটনের অনেক সদ্গুণ ছিল, এবং একটি অতি প্রিয় বিড়ালও ছিল। এরূপ গল্প আছে এই সকল সদগুণের জোরে এবং বিড়ালের বিশেষ সাহায্যে ইটিংটন শেষে বড়লােক হইয়াছিলেন। দুইটিংটন এবং তাঁহার বিড়ালের গল্প অতিশয় আমােদজনক; এবং যদিও ইহার সমুদয় অংশ সত্য নহে, তথাপি ইহার ভিতরে সুন্দর উপদেশ আছে। |
|||
⚫ | |||
⚫ | |||
⚫ | |||
⚫ | একবার এক |
||
⚫ | |||
⚫ | {{gap}}কোনাে ভদ্রলােকের বাড়িতে একটা বিড়ালী ছিল। বিড়ালীকে সকলেই বিশেষ ভালবাসিত। একদিন রাত্রিতে বৈঠকখানার ঘরে ঘন্টার শব্দ শুনিয়া সকলেরই ঘুম ভাঙ্গিয়া গেল। বাড়িতে চোর ঢুকিয়াছে মনে করিয়া সকলেই সশস্ত্র হইয়া বৈঠকখানার দিকে ছুটিলেন। দেখা গেল যে, বৈঠকখানার দরজা যেরূপভাবে বাহিরের দিক হইতে অর্গল দিযা রাখা হইয়াছিল ঠিক তেমনি আছে, কিন্তু ভিতর হইতে ঘন্টার শব্দ আসিতেছে। দরজা খুলিয়া দেখা গেল যে, বিড়ালী চাকরদের ডাকিবার ঘন্টার কাছে দাঁড়াইয়া ক্রমাগত তাহা নাড়িতেছে। ঘন্টাটি এমন স্থানে ছিল যে তাহাকে বাজাইতে হইলে একটু কষ্ট স্বীকার করিতে হয়। সন্ধ্যার সময় বিড়ালী ঐ ঘরে অজ্ঞাত সারে আটকা পড়িয়াছিল। বাহির হইবাৰু উপায়ান্তর না দেখিয়া অগত্যা সে এই কষ্টটুকু স্বীকার করিয়াছে। অন্যান্য দিন ঐ ঘন্টা বাজিলেই ঘরে লােক আসে, তাহা সে দেখিয়াছে। সুতরাং সে চেয়ারের উপর উঠিয়া, পিছনের দুই পায়ে দাড়াইয়া, এক হাতে ঘন্টা বাজাইতে আরম্ভ করিল। ইহার ফল কি হইল, প্রথমেই শুনিয়াছ। বিড়ালী যে কেবল ঐদিন এরূপ করিয়াছিল, তাহা নহে। যখনই ঘবে সে আটকা পড়িত, তখনই ঐ উপায় অবলম্বন করিয়া বাহিরে আসিত। |
||
⚫ | {{gap}}একবার এক বৃদ্ধা উইল করিয়া তাহার সমস্ত বিষয় তাহার ভ্রাতুত্রকে দিল। ইহার কিছুদিন পরেই বৃদ্ধার মৃত্যু হইল। ভ্রাতুস্পুত্ৰ উকিল, বৃদ্ধার অন্ত্যেষ্টির পরেই সে তাহাব ঘরে আসিয়া তাহার উইল পড়িতে লাগিল। বৃদ্ধের একটি প্রিয় বিড়াল ছিল। এই বিড়াল, বৃদ্ধাকে এত ভালােবাসিত যে, একবারও তাহার কাছছাড়া হইত না। এমন-কি, মৃত্যুর পরেও সেই মৃত শরীরে কাছে বসিয়া রহিল। বৃদ্ধার ভাইপাে যখন বৃদ্ধার ঘরে বসিয়া উইল পড়িতেছিল, সেই সময়ে বিড়ালটি অত্যন্ত উৎকণ্ঠিতের ন্যায় সেই ঘরের দরজার বাহিরে ছুটাছুটি করিতেছিল। কিছুকাল পরে যেই দরজা খােলা হইল, অমনি বিড়াল ছুটিয়া আসিয়া উকিল ভাইপাের গলা কামড়াইয়া ধরিল - অনেক কষ্টে তাহাকে ছড়ানাে হইল। এই ঘটনার আঠারাে বৎসর পরে ভাইপাের মৃত্য হইল। মৃত্যুশয্যায় সে স্বীকার করিল যে, বৃদ্ধার টাকাগুলি শীঘ্ন শীঘ্ন পাবার জন্য সে তাকে খুন করিয়াছিল। |
||
⚫ |