পাতা:উপেন্দ্রকিশোর রচনাসমগ্র.djvu/৮৫৮: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
Pywikibot touch edit |
|||
পাতার অবস্থা | পাতার অবস্থা | ||
- | + | মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে | |
শীর্ষক (অন্তর্ভুক্ত হবে না): | শীর্ষক (অন্তর্ভুক্ত হবে না): | ||
১ নং লাইন: | ১ নং লাইন: | ||
{{rh|৮৫৮|উপেন্দ্রকিশাের রচনাসমগ্র|}} |
|||
পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে): | পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে): | ||
১ নং লাইন: | ১ নং লাইন: | ||
br@br উপেন্দ্রকিশোর রচনাসমগ্র |
|||
বাঘের গল্প |
{{C|{{xx-larger|বাঘের গল্প}}}} |
||
বাঘ যে কেমন ভয়ঙ্কর জন্তু সে কথা আর আমাদিগকে বলিয়া বুঝাইতে হয় না। এই ভয়ঙ্কর জন্তু যে মাঝে মাঝে হাসির কাজও করে, সেই কথাই আমি আজ বলিতে আসিয়াছি। দুঃখের বিষয়, গল্পগুলির প্রত্যেকটিই সত্য কিনা, এ কথা ঠিক করিয়া বলিবার উপায় নাই। তবে, এইমাত্র বলিতে পারি যে, |
{{gap}}বাঘ যে কেমন ভয়ঙ্কর জন্তু সে কথা আর আমাদিগকে বলিয়া বুঝাইতে হয় না। এই ভয়ঙ্কর জন্তু যে মাঝে মাঝে হাসির কাজও করে, সেই কথাই আমি আজ বলিতে আসিয়াছি। দুঃখের বিষয়, গল্পগুলির প্রত্যেকটিই সত্য কিনা, এ কথা ঠিক করিয়া বলিবার উপায় নাই। তবে, এইমাত্র বলিতে পারি যে, যারা প্রথমে গল্পগুলি বলিয়াছিল তাহারা খুব গম্ভীরভাবেই বলিয়াছিল। |
||
বাঘের যদি কোনরকম খাবার না জোটে, তবে দু-একটা মাছ ধরিয়া খাইতে তাহার আপত্তি নাই। একটি ভদ্রলোক আমাকে বলিয়াছিলেন যে একবার তাঁহাকে নৌকায় চড়িয়া |
|||
দেখিতে পাইতেন, সে জলের ধারে ধারে চলিয়া যায়, আর মাঝে মাঝে খপ করিয়া যেন একটা কিছু ধরিয়া সেটাকে কাদায় গুজে রাখে। খানিকবাদে আবার সে ফিরিয়া আসে, আর সেই জিনিসগুলি তুলিয়া খায়। ভদ্রলোকটি ভাবিলেন, বিষয়টা কি, না দেখিলে তো নয়। |
|||
বাঘ আসিবামাত্রই তিনি বন্দুক |
{{gap}}বাঘের যদি কোনরকম খাবার না জোটে, তবে দু-একটা মাছ ধরিয়া খাইতে তাহার আপত্তি নাই। একটি ভদ্রলােক আমাকে বলিয়াছিলেন যে একবার তাঁহাকে নৌকায় চড়িয়া কয়েক মাস সুন্দরবনে থাকিতে হয়। সেই সময়ে তিনি রােজ ভােরবেলায় একটা বাঘকে দেখিতে পাইতেন, সে জলের ধারে ধারে চলিয়া যায়, আর মাঝে মাঝে খপ করিয়া যেন একটা কিছু ধরিয়া সেটাকে কাদায় গুজে রাখে। খানিকবাদে আবার সে ফিরিয়া আসে, আর সেই জিনিসগুলি তুলিয়া খায়। ভদ্রলােকটি ভাবিলেন, বিষয়টা কি, না দেখিলে তাে নয়। তিনি খুব সাহসী লােক ছিলেন, শিকার করাই ছিল তাঁর কাজ। তাই পবদিন ভােরবেলায় বাঘ আসিবামাত্রই তিনি বন্দুক হতে প্রস্তুত হইয়া রহিলেন। বাঘ শিকার ধবিয়া কাদায় গুজিতে জিতে যখন অনেক দূর চলিয়া গিয়াছে, তখন তিনিও নৌকা হইতে নামিয়া সেই পথে চলিলেন। তখন তিনি দেখিতে পাইলেন যে, বাঘ যে শিকার ধরিয়াছে, সেগুলি ছােটছােট মাছ। বাঘের মেজাজটা বােধ হয় একটু শৌখিন-গােছের ছিল, খাইতে খাইতে শিকার ধরাটা সে পছন্দ করিত না। তাই সে আগে অনেকগুলি মাছ ধরিয়াঁ লইয়া, তারপর মনের সুখে সেগুলি খাইত। যাহা হউক, সেদিন অন্তত তাহার মাছ ধরাই সার হইয়াছিল, খাইবার সুবিধা আর হয় নাই। |
||
আর-এক বাঘ এক বিলের ধারে গিয়াছিলেন, মাছ ধরিয়া খাইতে গিয়াই তিনি দেখিলেন, জলের উপরে একটা মাছ |
{{gap}}আর-এক বাঘ এক বিলের ধারে গিয়াছিলেন, মাছ ধরিয়া খাইতে গিয়াই তিনি দেখিলেন, জলের উপরে একটা মাছ ছটফট করিতেছে। বাঘ মহাশয় তাে তখনই তাহাকে কপ করিয়া গিলিয়া বসিয়াছে, সেটা যে একটা প্রকাণ্ড বঁড়শিতে গাঁথা ছিল সেদিকে খেয়াল করেন নাই। বড়শি তাে মাছের সঙ্গে সঙ্গে একেবারে তাঁহার পেটে গিয়া বিধিয়া বসিয়াছে, তারপর বাঘ মহাশয় যখন চলিয়া যাইতেছে তখন সে বলে, কোথায় যাও?' সে রাত্রে বাঘের চিৎকারে আর আশপাশের গ্রামের লােকের ঘুম হয় নাই। তার পরদিন সকালবেলায় তাহারা আসিয়া দেখে, বাঘ বঁড়শি গিলিয়া হাঁ করিয়া মরিয়া রহিয়াছে। |
||
⚫ | আর-এক বাঘ গিয়াছিল এক কুয়ার ধারে, বাছুর খাইতে, বেটা এমনি আনাড়ি ছিল যে, লাফাইয়া কোথায় বাছুরের ঘাড়ে পড়িবে, না সে কুয়ার ভিতরে। তখন সে চিৎকার! কিন্তু |
||
⚫ | |||
⚫ | {{gap}}আর-এক বাঘ গিয়াছিল এক কুয়ার ধারে, বাছুর খাইতে, বেটা এমনি আনাড়ি ছিল যে, লাফাইয়া কোথায় বাছুরের ঘাড়ে পড়িবে, না সে কুয়ার ভিতরে। তখন সে চিৎকার! কিন্তু চ্যাঁচাইলে কি হইবে? তাহাতে তাে আর কুয়া হইতে উঠিয়া আসা যাইবে না, লাভের মধ্যে বাঁশ লইয়া গ্রামের লােক আসিয়া উপস্থিত হইল। তারপর যাহ হইল, বুঝিতেই পার। |
||
⚫ |