পাতা:মাঝির ছেলে - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৪: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
পাতার অবস্থা | পাতার অবস্থা | ||
- | + | বৈধকরণ | |
পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে): | পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে): | ||
১ নং লাইন: | ১ নং লাইন: | ||
এতটুকু একটা |
এতটুকু একটা নৌকার বদলে ওই কলের জাহাজ চালাতে সাহায্য করতে পারত ! |
||
{{gap}}‘সমুদ্রযাত্রাও য্যান তর |
{{gap}}‘সমুদ্রযাত্রাও য্যান তর অদেষ্টে দেখি নাগা ? হ, সমুদ্রেও তর যাওন লাগব ।’ |
||
{{gap}}আরও কয়েকটি কথা চক্রবর্তী মশায় |
{{gap}}আরও কয়েকটি কথা চক্রবর্তী মশায় বললেন । তার মধ্যে প্রধান কথাটা এই যে, এক জায়গায় স্থির হয়ে থাকা নাগার কপালে নেই । এক জায়গা থেকে ক্ৰমাগত তাকে অন্য জায়গায় ঘুরে বেড়াতে হবে । কিন্তু মাঝির পক্ষে সেটা আশ্চৰ্য কি ! মাঝির কাজই হ’ল এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় ঘুরে বেড়ানো-বিশেষ করে কলের জাহাজের মাঝির । |
||
{{gap}}চক্রবর্তীকে প্ৰণাম করে নাগা বিদায় |
{{gap}}চক্রবর্তীকে প্ৰণাম করে নাগা বিদায় নিল । হারু মাঝি নৌকায় ছিল না, আশেপাশে কোথায় যেন গেছে । একজন চেনা মাঝির নৌকা রামতলার দিকে যাবে, ছাড়বার উপক্রম করছিল, হারুমাঝি ফিরবার আগেই নাগা সে-নৌকায় রওনা হয়ে গেল । |
||
{{gap}}নাগাকে দেখে যাদববাবু খুশী হয়ে বললেন, |
{{gap}}নাগাকে দেখে যাদববাবু খুশী হয়ে বললেন, ‘আইছস্ ? ভাল করছস ! তর জিনিসপত্তর কই ?’ |
||
{{gap}} |
{{gap}}‘আমার কিছু নাই, কর্তা ।’ |
||
{{c|তিন}} |
{{c|তিন}} |
||
যাদববাবুর বাড়ি এসে নাগার জগৎটাই যেন বদলে |
যাদববাবুর বাড়ি এসে নাগার জগৎটাই যেন বদলে গেল । পেটের ভাবনা তো এখন আর তাকে ভাবতে হয় না । ‘কি খাব, কি খাব’ এই চিন্তার জেলখানায় সে যেন এতদিন কয়েদী হয়ে ছিল, এখন ছাড়া পেয়ে চারিদিকে তাকিয়ে দেখবার সুযোগ পেয়েছে । মানুষ থেকে শুরু করে ঘরবাড়ি, মাঠঘাট, নদী সব যেন খোলস ছেড়ে নতুন হয়ে উঠেছে তার কাছে । নতুন, কিন্তু অচেনা নয় । সাত সমুদ্র তের নদীর পারে কোন স্বপ্নের দেশে তো সে আসেনি, আগেও সে করমতলায় আসা-যাওয়া করেছে । এখানকার অনেক মানুষ তার পরিচিত । একটু সহজ স্নেহ-মমতা, |