পাতা:আমি কেন ঈশ্বরে বিশ্বাস করিনা - প্রবীর ঘোষ.pdf/১১৯: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

সম্পাদনা সারাংশ নেই
বট অনাকাঙ্ক্ষিত ফাঁক সরাচ্ছে, কোন সমস্যা?
পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):
৮ নং লাইন: ৮ নং লাইন:
{{center|O}}
{{center|O}}


{{gap}}দেবীভাগবত-এ দেখুন |৯ঃ১|, সেখানে বলা হয়েছে, নারীরা জোঁকের মত সতত পুরুষের রক্তপান করে থাকে। মূর্খ পুরুষ তা বুঝতে পারে না, কেননা তারা নারীর অভিনয়ে মুগ্ধ হয়ে পড়ে । পুরুষ যাকে পত্নী মনে করে,
{{gap}}দেবীভাগবত-এ দেখুন |৯ঃ১|, সেখানে বলা হয়েছে, নারীরা জোঁকের মত সতত পুরুষের রক্তপান করে থাকে। মূর্খ পুরুষ তা বুঝতে পারে না, কেননা তারা নারীর অভিনয়ে মুগ্ধ হয়ে পড়ে। পুরুষ যাকে পত্নী মনে করে,
সেই পত্নী সুখসম্ভোগ দিয়ে বীর্য এবং কুটিল প্রেমালাপে ধন ও মন সবই হরণ করে।
সেই পত্নী সুখসম্ভোগ দিয়ে বীর্য এবং কুটিল প্রেমালাপে ধন ও মন সবই হরণ করে।


১৬ নং লাইন: ১৬ নং লাইন:
নিজের দেহ বা সম্পত্তির উপরে আর কোনও অধিকার না থাকে।"
নিজের দেহ বা সম্পত্তির উপরে আর কোনও অধিকার না থাকে।"


{{gap}}মনু মনে করতেন, নারী নির্গুণ । তিনি স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন, “নদী যেমন সমুদ্রের সঙ্গে মিলনে নােনা হয়, নারীও তেমন ; যেমন পুরুষের সঙ্গে বিবাহ হয়, তেমন পুরুষের গুণযুক্ত হয়।" [৯ঃ২২ মনুসংহিতা]
{{gap}}মনু মনে করতেন, নারী নির্গুণ। তিনি স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন, “নদী যেমন সমুদ্রের সঙ্গে মিলনে নােনা হয়, নারীও তেমন ; যেমন পুরুষের সঙ্গে বিবাহ হয়, তেমন পুরুষের গুণযুক্ত হয়।" [৯ঃ২২ মনুসংহিতা]


{{gap}}একমাত্র হিন্দু ধর্মীয় বিধানে নারীর অবিবাহিত থাকা নিষিদ্ধ। বিয়ে ছাড়া নারীর মুক্তি নেই। হিন্দু ধর্মগ্রন্থ মহাভারতে আছে ঋষি কুণির কন্যা সারাজীবন ধর্মপথে থেকে মৃত্যুশয্যায় জানতে পারলেন, চূড়ান্ত ধর্মপালনও একজন নারীর স্বর্গলাভের পক্ষে যথেষ্ট নয়। স্বর্গ প্রাপ্তির জন্য তাকে বিয়ে করতেই হবে। পুরুষদের কিন্তু স্বর্গে যেতে ‘চিরকুমার' থাকা কোনও বাধা নয়।
{{gap}}একমাত্র হিন্দু ধর্মীয় বিধানে নারীর অবিবাহিত থাকা নিষিদ্ধ। বিয়ে ছাড়া নারীর মুক্তি নেই। হিন্দু ধর্মগ্রন্থ মহাভারতে আছে ঋষি কুণির কন্যা সারাজীবন ধর্মপথে থেকে মৃত্যুশয্যায় জানতে পারলেন, চূড়ান্ত ধর্মপালনও একজন নারীর স্বর্গলাভের পক্ষে যথেষ্ট নয়। স্বর্গ প্রাপ্তির জন্য তাকে বিয়ে করতেই হবে। পুরুষদের কিন্তু স্বর্গে যেতে ‘চিরকুমার' থাকা কোনও বাধা নয়।


{{gap}}হিন্দু ধর্মের বিধানে পুরুষতন্ত্র বিধবা নারীকে যেভাবে গ্রাস করতে উদ্যত, তেমনটি পৃথিবীর আর কোনও প্রধান ধর্মগুলাের মধ্যে দেখা যায় না। মনুসংহিতা নির্দেশ দিচ্ছে {৫ঃ১৫৭] : “পতির মৃত্যুর পর পত্নী ফলমূলের
{{gap}}হিন্দু ধর্মের বিধানে পুরুষতন্ত্র বিধবা নারীকে যেভাবে গ্রাস করতে উদ্যত, তেমনটি পৃথিবীর আর কোনও প্রধান ধর্মগুলাের মধ্যে দেখা যায় না। মনুসংহিতা নির্দেশ দিচ্ছে {৫ঃ১৫৭] : “পতির মৃত্যুর পর পত্নী ফলমূলের
স্বল্পাহার দ্বারা দেহ ক্ষয় করবে, তবু পর পুরুষের নাম করবে না।" পত্নীর মৃত্যুর পর পতি কী করবে, তারও নির্দেশ আছে মনুর বিধানে । মনুসংহিতা বলছে (৫ঃ১৬৮]ঃ “পতির মৃত্যু হলে দাহ ও অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া শেষে পুরুষ আবার বিয়ে করবে।”
স্বল্পাহার দ্বারা দেহ ক্ষয় করবে, তবু পর পুরুষের নাম করবে না।" পত্নীর মৃত্যুর পর পতি কী করবে, তারও নির্দেশ আছে মনুর বিধানে। মনুসংহিতা বলছে (৫ঃ১৬৮]ঃ “পতির মৃত্যু হলে দাহ ও অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া শেষে পুরুষ আবার বিয়ে করবে।”