পাতা:সিরাজদ্দৌলা - অক্ষয়কুমার মৈত্রেয়.pdf/২৬২: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
অ বট অনাকাঙ্ক্ষিত ফাঁক সরাচ্ছে, কোন সমস্যা? |
অ বট অনাকাঙ্ক্ষিত ফাঁক সরাচ্ছে, কোন সমস্যা? |
||
পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে): | পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে): | ||
৫ নং লাইন: | ৫ নং লাইন: | ||
সেনাপতি শওকতজঙ্গের সম্মুখে আসিয়া করযােড়ে নিবেদন |
সেনাপতি শওকতজঙ্গের সম্মুখে আসিয়া করযােড়ে নিবেদন |
||
—“জাঁহাপনা! এ কিরূপ সমরকৌশল? আমরা |
—“জাঁহাপনা! এ কিরূপ সমরকৌশল? আমরা |
||
দাক্ষিণাত্যে নিজাম-উল-মােলকের অধীনে অনেক যুদ্ধ যুঝিয়াছি |
দাক্ষিণাত্যে নিজাম-উল-মােলকের অধীনে অনেক যুদ্ধ যুঝিয়াছি; |
||
কিন্তু এমন যুদ্ধ ত কখনও দেখি নাই। যাহার যাহা ইচ্ছা সে |
কিন্তু এমন যুদ্ধ ত কখনও দেখি নাই। যাহার যাহা ইচ্ছা সে |
||
তাহাই করিতেছে |
তাহাই করিতেছে; যে যেদিকে পারিতেছে সেইপথেই পলায়ন |
||
করিতেছে ! এমন করিয়া কতক্ষণ শত্রুসেনার গতিরােধ |
করিতেছে ! এমন করিয়া কতক্ষণ শত্রুসেনার গতিরােধ |
||
করিবেন? গােলন্দাজদিগকে সম্মুখে সাজাইয়া দিয়া তাহার |
করিবেন? গােলন্দাজদিগকে সম্মুখে সাজাইয়া দিয়া তাহার |
||
পশ্চাতে অশ্বারােহী রাখিয়া যথাশাস্ত্র যুদ্ধব্যাপারে অগ্রসর হউন।” |
পশ্চাতে অশ্বারােহী রাখিয়া যথাশাস্ত্র যুদ্ধব্যাপারে অগ্রসর হউন।” |
||
শওকতজঙ্গের তরুণহৃদয়ে এই উপদেশবাক্য তীব্র তীরের মত বিঁধিয়া |
শওকতজঙ্গের তরুণহৃদয়ে এই উপদেশবাক্য তীব্র তীরের মত বিঁধিয়া |
||
পড়িল তিনি স্ফুরিতাধরে গৰ্জন করিয়া উঠিলেন |
পড়িল তিনি স্ফুরিতাধরে গৰ্জন করিয়া উঠিলেন;-“যাও ! যাও ! |
||
আমাকে আর যুদ্ধ শিখাইতে আসিও না। নিজাম-উল-মােক গাধা! |
আমাকে আর যুদ্ধ শিখাইতে আসিও না। নিজাম-উল-মােক গাধা! |
||
তাই সে তােমাদের কথা শুনিয়া সেনাচালনা করিত। আমি এই |
তাই সে তােমাদের কথা শুনিয়া সেনাচালনা করিত। আমি এই |
||
২৩ নং লাইন: | ২৩ নং লাইন: | ||
পদাতিসেনা সম্মুখে দাঁড়াইয়া তাহার কামান চালনার প্রতিবন্ধক হইতে- |
পদাতিসেনা সম্মুখে দাঁড়াইয়া তাহার কামান চালনার প্রতিবন্ধক হইতে- |
||
ছিল, তাহাদিগকে পশ্চাতে ফেলিয়া শ্যামসুন্দর কামান লইয়া সম্মুখে |
ছিল, তাহাদিগকে পশ্চাতে ফেলিয়া শ্যামসুন্দর কামান লইয়া সম্মুখে |
||
অগ্রসর হইলেন। শ্যামসুন্দর একজন প্রভুভক্ত মসিজীবী হিন্দু |
অগ্রসর হইলেন। শ্যামসুন্দর একজন প্রভুভক্ত মসিজীবী হিন্দু; |