পাতা:মুর্শিদাবাদ কাহিনী.djvu/৩৬৬: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

NasirkhanBot (আলোচনা | অবদান)
Content fix.
বট অনাকাঙ্ক্ষিত ফাঁক সরাচ্ছে, কোন সমস্যা?
পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
{{gap}}দশালা বন্দোবস্তের সময় আরও অনেক রহস্য প্রকাশিত হইয়া পড়ে। দশসালা বন্দোবস্তের বিবরণে দেখা যায় যে, দেবীসিংহের দেওয়ান (সম্ভবতঃ হররাম ) টেপার চৌধুরাণীদের বাটীতে স্ত্রী-পদাতিক পাঠাইয়া বলপূর্বক রাজস্ব বৃদ্ধি করিয়া লয়।<ref>Glazier's Report on Rungpore, p. 22.</ref> এইরূপ অনেক অত্যাচার প্রকাশ পাইয়াছিল।
{{gap}}দশালা বন্দোবস্তের সময় আরও অনেক রহস্য প্রকাশিত হইয়া পড়ে। দশসালা বন্দোবস্তের বিবরণে দেখা যায় যে, দেবীসিংহের দেওয়ান (সম্ভবতঃ হররাম) টেপার চৌধুরাণীদের বাটীতে স্ত্রী-পদাতিক পাঠাইয়া বলপূর্বক রাজস্ব বৃদ্ধি করিয়া লয়।<ref>Glazier's Report on Rungpore, p. 22.</ref> এইরূপ অনেক অত্যাচার প্রকাশ পাইয়াছিল।


{{gap}}দেবীসিংহ যেরূপ ললামহর্ষণ অত্যাচার করিয়াছিলেন, তাহাতে তাহার কিছুমাত্র দণ্ড হয় নাই। তিনি যে অপরিমিত সম্পত্তি উপার্জন করিয়াছিলেন, দরিদ্র প্রজাদিগের সর্বস্ব অপহরণ করিয়া যে পুঞ্জীকৃত অর্থরাশিতে আপনার ভাণ্ডার পূর্ণ করিয়াছিলেন, তাহারই কিছু কিছু ব্যয় হইয়াছিল মাত্র। কোম্পানীর কর্মচারীদিগকে বশীভূত করিবার জন্য তাহাকে কিঞ্চিত্র অর্থ ব্যয় করিতে হয় বটে, তথাপি অবশিষ্ট যে সমস্ত সম্পত্তি ছিল, তাহাতেই তিনি তৎকালে সম্পত্তিশালী লােকদিগের মধ্যে গণনীয় হইয়া অবশেষে রাজোপাধিতে ভূষিত হন।<ref>কিন্তু বাের্ড অব রেভিনিউতে প্রেরিত মুর্শিদাবাদের কালেক্টরের ১৮০৫ সালের ৩০শে এপ্রিল তারিখের পত্রে তাহাকে মহারাজ বলিয়া উল্লেখ করা হইয়াছে দেখা যায়। Hunters Bengal Records, Vol. IV, p. 228.</ref> কোম্পানীর বিচারে তিনি মুক্তিলাভ করিয়াছিলেন বটে, কিন্তু যাঁহার সর্বদর্শী চক্ষুর সমক্ষে একটি সামান্য তৃণও উপেক্ষিত হয় না, তাহার বিচারে যে তিনি অব্যাহতি পান নাই, তাহা মুক্তকণ্ঠে বলিতে পারা যায়।
{{gap}}দেবীসিংহ যেরূপ ললামহর্ষণ অত্যাচার করিয়াছিলেন, তাহাতে তাহার কিছুমাত্র দণ্ড হয় নাই। তিনি যে অপরিমিত সম্পত্তি উপার্জন করিয়াছিলেন, দরিদ্র প্রজাদিগের সর্বস্ব অপহরণ করিয়া যে পুঞ্জীকৃত অর্থরাশিতে আপনার ভাণ্ডার পূর্ণ করিয়াছিলেন, তাহারই কিছু কিছু ব্যয় হইয়াছিল মাত্র। কোম্পানীর কর্মচারীদিগকে বশীভূত করিবার জন্য তাহাকে কিঞ্চিত্র অর্থ ব্যয় করিতে হয় বটে, তথাপি অবশিষ্ট যে সমস্ত সম্পত্তি ছিল, তাহাতেই তিনি তৎকালে সম্পত্তিশালী লােকদিগের মধ্যে গণনীয় হইয়া অবশেষে রাজোপাধিতে ভূষিত হন।<ref>কিন্তু বাের্ড অব রেভিনিউতে প্রেরিত মুর্শিদাবাদের কালেক্টরের ১৮০৫ সালের ৩০শে এপ্রিল তারিখের পত্রে তাহাকে মহারাজ বলিয়া উল্লেখ করা হইয়াছে দেখা যায়। Hunters Bengal Records, Vol. IV, p. 228.</ref> কোম্পানীর বিচারে তিনি মুক্তিলাভ করিয়াছিলেন বটে, কিন্তু যাঁহার সর্বদর্শী চক্ষুর সমক্ষে একটি সামান্য তৃণও উপেক্ষিত হয় না, তাহার বিচারে যে তিনি অব্যাহতি পান নাই, তাহা মুক্তকণ্ঠে বলিতে পারা যায়।