পাতা:রামতনু লাহিড়ী ও তৎকালীন বঙ্গসমাজ.djvu/৩২৪: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

Hrishikesbot (আলোচনা | অবদান)
পাতার অবস্থা-পরিবর্তন অউব্রা ব্যবহার করে
আফতাব বট (আলোচনা | অবদান)
সংশোধন
 
পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):
৩ নং লাইন: ৩ নং লাইন:
{{gap}}ইহার পর দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর মহাশয় কিছুদিন একান্তে ধ্যানধারণাতে যাপন করিবার উদ্দেশে সিমলা পাহাড়ে গমন করেন। র্তাহার অনুপস্থিতিকালে কেশবচন্দ্র ব্রাহ্মসমাজের প্রতিজ্ঞাপত্র স্বাক্ষর কম্বিয়া ব্রাহ্মসমাজের সভ্যশ্রেণীভূক্ত হন। দেবেন্দ্রনাথ ১৮৫৮ সালে সহরে প্রতিনিবৃত্ত হইয়া এই সংবাদে পুলকিত হইলেন; এবং তাহার যৌবন-সুহৃদ প্যারীমোহন সেনের পুত্রকে সাদরে স্বীয় শিস্যদলের মধ্যে গ্রহণ করিলেন।
{{gap}}ইহার পর দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর মহাশয় কিছুদিন একান্তে ধ্যানধারণাতে যাপন করিবার উদ্দেশে সিমলা পাহাড়ে গমন করেন। র্তাহার অনুপস্থিতিকালে কেশবচন্দ্র ব্রাহ্মসমাজের প্রতিজ্ঞাপত্র স্বাক্ষর কম্বিয়া ব্রাহ্মসমাজের সভ্যশ্রেণীভূক্ত হন। দেবেন্দ্রনাথ ১৮৫৮ সালে সহরে প্রতিনিবৃত্ত হইয়া এই সংবাদে পুলকিত হইলেন; এবং তাহার যৌবন-সুহৃদ প্যারীমোহন সেনের পুত্রকে সাদরে স্বীয় শিস্যদলের মধ্যে গ্রহণ করিলেন।


{{gap}}একদিকে কেশবচন্দ্রের ব্রাহ্মসমাজে প্রবেশ, অপরদিকে দেবেন্দ্রনাথের আধ্যাত্মিক জীবনের নব উদ্দীপনা—এই উভয়ে ব্রাহ্মসমাজ মধ্যে এক নব শক্তির সঞ্চার করিল; এবং ইহার পল্প হইতে ব্রাহ্মসমাজ নব নব কাৰ্য্যক্ষেত্রে প্রবেশ করিতে লাগিলেন। কেশবচন্দ্র ঐ সকল কাৰ্য্যের উদ্ভাবনকৰ্ত্তা ও দেবেন্দ্রনাথ পৃষ্ঠপোষক হইতে লাগিলেন। ১৮৫৯ সালে “ব্রহ্মবিদ্যালয়” নামে একটা বিদ্যালয় স্থাপিত হইল। তাহাতে দেবেন্দ্রনাথ ও কেশবচন্দ্র কালেজের ছাত্রদিগকে বাঙ্গালা ও ইংরাজীতে উপদেশ দিতে লাগিলেন। তদ্বারা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক সন্মানিত ছাত্র ব্রাহ্মসমাজের দিকে আকৃষ্ট হইলেন।
{{gap}}একদিকে কেশবচন্দ্রের ব্রাহ্মসমাজে প্রবেশ, অপরদিকে দেবেন্দ্রনাথের আধ্যাত্মিক জীবনের নব উদ্দীপনা—এই উভয়ে ব্রাহ্মসমাজ মধ্যে এক নব শক্তির সঞ্চার করিল; এবং ইহার পল্প হইতে ব্রাহ্মসমাজ নব নব কাৰ্য্যক্ষেত্রে প্রবেশ করিতে লাগিলেন। কেশবচন্দ্র ঐ সকল কাৰ্য্যের উদ্ভাবনকৰ্ত্তা ও দেবেন্দ্রনাথ পৃষ্ঠপোষক হইতে লাগিলেন। ১৮৫৯ সালে “ব্রহ্মবিদ্যালয়” নামে একটা বিদ্যালয় স্থাপিত হইল। তাহাতে দেবেন্দ্রনাথ ও কেশবচন্দ্র কালেজের ছাত্রদিগকে বাঙ্গালা ও ইংরাজীতে উপদেশ দিতে লাগিলেন। তদ্বারা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক সন্মানিত ছাত্র ব্রাহ্মসমাজের দিকে আকৃষ্ট হইলেন।


{{gap}}এই সময়ে মহাসমারোহে সিন্দুরীয় পটার গোপাল মল্লিকের বাটতে উমেশচন্দ্র মিত্র প্রণীত “বিধবা বিবাহ” নাটকের অভিনয় হয়। কেশবচন্দ্র তাহার প্রধান উদ্যোগী ও কার্যনিৰ্বাহক ছিলেন। এই অভিনয়ের বাতিকটা র্তার বাল্যকাল হইতেই ছিল। তিনি বাল্যকালে বয়স্তদিগকে লইয়া নানা বিষয়ে অভিনয় করিতেন।
{{gap}}এই সময়ে মহাসমারোহে সিন্দুরীয় পটার গোপাল মল্লিকের বাটতে উমেশচন্দ্র মিত্র প্রণীত “বিধবা বিবাহ” নাটকের অভিনয় হয়। কেশবচন্দ্র তাহার প্রধান উদ্যোগী ও কার্যনিৰ্বাহক ছিলেন। এই অভিনয়ের বাতিকটা র্তার বাল্যকাল হইতেই ছিল। তিনি বাল্যকালে বয়স্তদিগকে লইয়া নানা বিষয়ে অভিনয় করিতেন।