পাতা:রামতনু লাহিড়ী ও তৎকালীন বঙ্গসমাজ.djvu/৪০৪: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

Hrishikesbot (আলোচনা | অবদান)
পাতার অবস্থা-পরিবর্তন অউব্রা ব্যবহার করে
আফতাব বট (আলোচনা | অবদান)
সংশোধন
 
পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
গণকে আশীৰ্ব্বাদ করিয়া গেলেন। ক্রমে ঐ সমাজ একটা স্বতন্ত্র বাড়ী ভাড়া করিয়া সেখানে উঠিয়া গেল।
গণকে আশীৰ্ব্বাদ করিয়া গেলেন। ক্রমে ঐ সমাজ একটা স্বতন্ত্র বাড়ী ভাড়া করিয়া সেখানে উঠিয়া গেল।


{{gap}}কেশবচন্দ্ৰ দেখিলেন তাহার সঙ্গের লোক দুই ভাগ হইয়া যায়, অনেক চিন্তা ওঁ প্রার্থনানন্তর তিনি ভারতবর্ষীয় ব্রহ্মমন্দিরের এক পাশ্বে স্ত্রীস্বাধীনতাপক্ষীয় পরিবার সকলের মহিলাগণের জন্ত পর্দার বাহিরে আসন নির্দেশ করিলেন। তাহ এক কোণে ও রেলের মধ্যে হওয়াতে যদিও ঐ দলের সকলের প্রীতিপ্রদ হইল না, তথাপি দাস মহাশয়ের পরামর্শানুসারে গাঙ্গুলি ভায়ার দল তাহতেই সন্তুষ্ট হইয়া, কিছুদিন পরেই স্বতন্ত্র সমাজ তুলিয়া দিলেন; এবং পুনরায় ব্ৰহ্মমন্দিরের উপাসনাতে আসিতে লাগিলেন।
{{gap}}কেশবচন্দ্ৰ দেখিলেন তাহার সঙ্গের লোক দুই ভাগ হইয়া যায়, অনেক চিন্তা ওঁ প্রার্থনানন্তর তিনি ভারতবর্ষীয় ব্রহ্মমন্দিরের এক পাশ্বে স্ত্রীস্বাধীনতাপক্ষীয় পরিবার সকলের মহিলাগণের জন্ত পর্দার বাহিরে আসন নির্দেশ করিলেন। তাহ এক কোণে ও রেলের মধ্যে হওয়াতে যদিও ঐ দলের সকলের প্রীতিপ্রদ হইল না, তথাপি দাস মহাশয়ের পরামর্শানুসারে গাঙ্গুলি ভায়ার দল তাহতেই সন্তুষ্ট হইয়া, কিছুদিন পরেই স্বতন্ত্র সমাজ তুলিয়া দিলেন; এবং পুনরায় ব্ৰহ্মমন্দিরের উপাসনাতে আসিতে লাগিলেন।


{{gap}}ইহার পয়ে ১৮৭২ সালে কেশবচন্দ্র সেন মহাশয় “ভারত আশ্রম” স্থাপন করিয়া তাহাতে বয়ঃস্থ মহিলাদিগের জন্ত একটা স্কুল খুললেন। ব্রাহ্ম-পরিবার সকলের অনেক মহিলা তাহাতে ছাত্রী হইলেন। কিন্তু ঐ বিদ্যালয় স্ত্রীস্বাধীনতা পক্ষীয়দিগের মনঃপুত হইল না। কারণ ঐ বিদ্যালয়ে কেশববাৰু মহিলাদিগের শিক্ষার যে আদর্শ অবলম্বন করিয়াছিলেন, তাহা স্ত্রীস্বাধীনতা পক্ষায়গণের মতে প্রকৃত আদর্শ অপেক্ষ হান ছিল। কেশবচন্দ্র নারীদিগকে উচ্চ গণিত, জ্যামিতি লজিক, প্রভৃতি বিশ্ববিদ্যালয়েয় অবলম্বিত অনেক বিষয় শিক্ষা দেওয়া আবশ্যক বোধ করিতেন না। তিনি শিক্ষা বিষয়ে পুরুষে ওঁ নারীতে ভেদ রাখিতে চাহিতেন। নারীগণকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রীতি অনুসারে শিক্ষা দেওয়া উচিত বোধ করিতেন না। অপর পক্ষ ইহার বিরোধী ছিলেন। তাহারা নারীদিগকেও বিশ্ববিদ্যালরের অবলম্বত উচ্চশিক্ষা দিতে চাহতেন। স্বতরাং তাহার দ্বারকানাথ গাঙ্গুলির উদ্যোগে এবং দুর্গামোহন দাস মহাশয়ের অর্থসাহায্যে, অনুমান ১৮৭৩ সালে, কলিকাতার সন্নিহিত বালিগঞ্জ নামক স্থানে, কুমারী এক্রয়েডকে তত্ত্বাবধায়িকা করিয়', হিন্দু-মহিলা-বিদ্যালয় নামে নারীগণের উচ্চশিক্ষার জন্ত এক বোঁড়িং স্কুল স্থাপন করিলেন।
{{gap}}ইহার পয়ে ১৮৭২ সালে কেশবচন্দ্র সেন মহাশয় “ভারত আশ্রম” স্থাপন করিয়া তাহাতে বয়ঃস্থ মহিলাদিগের জন্ত একটা স্কুল খুললেন। ব্রাহ্ম-পরিবার সকলের অনেক মহিলা তাহাতে ছাত্রী হইলেন। কিন্তু ঐ বিদ্যালয় স্ত্রীস্বাধীনতা পক্ষীয়দিগের মনঃপুত হইল না। কারণ ঐ বিদ্যালয়ে কেশববাৰু মহিলাদিগের শিক্ষার যে আদর্শ অবলম্বন করিয়াছিলেন, তাহা স্ত্রীস্বাধীনতা পক্ষায়গণের মতে প্রকৃত আদর্শ অপেক্ষ হান ছিল। কেশবচন্দ্র নারীদিগকে উচ্চ গণিত, জ্যামিতি লজিক, প্রভৃতি বিশ্ববিদ্যালয়েয় অবলম্বিত অনেক বিষয় শিক্ষা দেওয়া আবশ্যক বোধ করিতেন না। তিনি শিক্ষা বিষয়ে পুরুষে ওঁ নারীতে ভেদ রাখিতে চাহিতেন। নারীগণকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রীতি অনুসারে শিক্ষা দেওয়া উচিত বোধ করিতেন না। অপর পক্ষ ইহার বিরোধী ছিলেন। তাহারা নারীদিগকেও বিশ্ববিদ্যালরের অবলম্বত উচ্চশিক্ষা দিতে চাহতেন। স্বতরাং তাহার দ্বারকানাথ গাঙ্গুলির উদ্যোগে এবং দুর্গামোহন দাস মহাশয়ের অর্থসাহায্যে, অনুমান ১৮৭৩ সালে, কলিকাতার সন্নিহিত বালিগঞ্জ নামক স্থানে, কুমারী এক্রয়েডকে তত্ত্বাবধায়িকা করিয়', হিন্দু-মহিলা-বিদ্যালয় নামে নারীগণের উচ্চশিক্ষার জন্ত এক বোঁড়িং স্কুল স্থাপন করিলেন।


{{gap}}দুর্গামোহন বাবু এই স্কুলে স্বীয় কন্যাদিগকে দিলেন। কেবল তাঁহা নহে, তাহার পত্নী এই স্কুলের বালিকাদিগের অনেকের মাতৃস্থান অধিকার করিলেন। छूैौद्ध निरन उंॉशब्र शृंश् বালিকাদের বিশ্রাম ও বিনোদনের স্থান হইত। সে সময়ে তাহার ভবনে পদার্পণ কয়িলেই দেখা য়াইত যে ব্রহ্মময়ী স্বীয় ও অপরের কম্ভাবৃন্দে পরিবৃত হইয়া রহিয়াছেন। তাহাকে আবেষ্টন করিয়া তাহদের কি মানন্দ। তিfও তাহ:দর কল্যাণ চিন্তাতে নিমগ্ন। কোণু ময়ের ভবিষ্যৎ
{{gap}}দুর্গামোহন বাবু এই স্কুলে স্বীয় কন্যাদিগকে দিলেন। কেবল তাঁহা নহে, তাহার পত্নী এই স্কুলের বালিকাদিগের অনেকের মাতৃস্থান অধিকার করিলেন। छूैौद्ध निरन उंॉशब्र शृंश् বালিকাদের বিশ্রাম ও বিনোদনের স্থান হইত। সে সময়ে তাহার ভবনে পদার্পণ কয়িলেই দেখা য়াইত যে ব্রহ্মময়ী স্বীয় ও অপরের কম্ভাবৃন্দে পরিবৃত হইয়া রহিয়াছেন। তাহাকে আবেষ্টন করিয়া তাহদের কি মানন্দ। তিfও তাহ:দর কল্যাণ চিন্তাতে নিমগ্ন। কোণু ময়ের ভবিষ্যৎ