পাতা:রামতনু লাহিড়ী ও তৎকালীন বঙ্গসমাজ.djvu/৪২৮: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

Hrishikesbot (আলোচনা | অবদান)
পাতার অবস্থা-পরিবর্তন অউব্রা ব্যবহার করে
আফতাব বট (আলোচনা | অবদান)
সংশোধন
 
পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
{{gap}}বন্ধুকে বর্জনের কারণ যে আমাদের নিকট কোনও প্রকারেই বলিলেন ন, তাহার মধ্যেও একটু কথা আছে। এ সম্বন্ধে তাহার নিয়ম এই ছিল যে, ষে কোনও ব্যক্তির বিরুদ্ধে তাহার যাহা কিছু বলিবার থাকিত, তাহ সহজে সে ব্যক্তির অসাক্ষাতে অপরকে বলিতেন না। তাহার সম্মুখে তাহাকে বলিতেন, তাহাতে ফলাফল কিছুই গণনা করিতেন না। এজন্ত র্তাহার পরিচিত আত্মীয়দিগের মধ্যে কেহ কিছু অন্তঃস্থ করিলে র্তাহাকে অতিশয় ডরাইতেন। কারণ, তিনি বলিবার সময় কিছুই মনের ভাব গোপন করিতেন না।
{{gap}}বন্ধুকে বর্জনের কারণ যে আমাদের নিকট কোনও প্রকারেই বলিলেন ন, তাহার মধ্যেও একটু কথা আছে। এ সম্বন্ধে তাহার নিয়ম এই ছিল যে, ষে কোনও ব্যক্তির বিরুদ্ধে তাহার যাহা কিছু বলিবার থাকিত, তাহ সহজে সে ব্যক্তির অসাক্ষাতে অপরকে বলিতেন না। তাহার সম্মুখে তাহাকে বলিতেন, তাহাতে ফলাফল কিছুই গণনা করিতেন না। এজন্ত র্তাহার পরিচিত আত্মীয়দিগের মধ্যে কেহ কিছু অন্তঃস্থ করিলে র্তাহাকে অতিশয় ডরাইতেন। কারণ, তিনি বলিবার সময় কিছুই মনের ভাব গোপন করিতেন না।


{{gap}}আর এক দিনের কথা স্মরণ আছে। একদিন প্রাতে লাহিড়ী মহাশয়ের সহিত গঙ্গার ধারে বেড়াইতে গিয়াছিলাম। ঘরে ফিরিবার সময়ে পথে তিনি বললেন—“একজন সাধু পুরুষকে দেখে আজকার দিনট-সার্থক করবে?” আমি বলিলাম—“এর চেয়ে মুখের বিষয় আর কি আছে?” তখন তিনি আমাকে একজন খ্ৰীষ্টীয় পাদরীর নিকট লইয়া গেলেন। সেখানে উপস্থিত হইয়া যে ভাবে তাহাকে আলিঙ্গন করিলেন, ও তাহার প্রতি যে প্রীতি ও শ্রদ্ধা প্রকাশ করিলেন, তাহ দেখিয়া আমি মুগ্ধ হইয়া গেলাম। ফলতঃ লাহিড়ী মহাশয় যেখানেই অকৃত্রিম সাধুতা দেখিতেন সেইখানেই অকপটে আপনার প্রীতি ও শ্রদ্ধা দিতেন। র্তাহার কাছে হিন্দু, মুসলমান, খ্ৰীষ্টীয়ান বিচার ছিল না। অনেক দিন এরূপ হইয়াছে, তিনি কৃষ্ণনগর হইতে সহরে আসিয়াছেন, শুনিয়া আমরা তাহার অন্বেষণে বাহির হইলাম, গিয়া দেখি তিনি বাবু শু্যামাচরণ বিশ্বাসের বাড়ী দুই দিন রহিয়াছেন, অথবা কালীচরণ ঘোষের বাড়ীতে আছেন, অথবা কোনও খ্ৰীষ্টীয় বন্ধুর অতিথি হইয়। রহিয়াছেন। সৰ্ব্বশ্রেণীর, সৰ্ব্বসম্প্রদায়ের, মধ্যে র্তাহার বন্ধু ছিল; সকল শ্রেণীর লোককেই তিনি ভালবাসিতেন। এই তাহার চরিত্রের আর একটা গুণ, যাহা দেখিয়া আমরা বড়ই মুগ্ধ হইতাম।
{{gap}}আর এক দিনের কথা স্মরণ আছে। একদিন প্রাতে লাহিড়ী মহাশয়ের সহিত গঙ্গার ধারে বেড়াইতে গিয়াছিলাম। ঘরে ফিরিবার সময়ে পথে তিনি বললেন—“একজন সাধু পুরুষকে দেখে আজকার দিনট-সার্থক করবে?” আমি বলিলাম—“এর চেয়ে মুখের বিষয় আর কি আছে?” তখন তিনি আমাকে একজন খ্ৰীষ্টীয় পাদরীর নিকট লইয়া গেলেন। সেখানে উপস্থিত হইয়া যে ভাবে তাহাকে আলিঙ্গন করিলেন, ও তাহার প্রতি যে প্রীতি ও শ্রদ্ধা প্রকাশ করিলেন, তাহ দেখিয়া আমি মুগ্ধ হইয়া গেলাম। ফলতঃ লাহিড়ী মহাশয় যেখানেই অকৃত্রিম সাধুতা দেখিতেন সেইখানেই অকপটে আপনার প্রীতি ও শ্রদ্ধা দিতেন। র্তাহার কাছে হিন্দু, মুসলমান, খ্ৰীষ্টীয়ান বিচার ছিল না। অনেক দিন এরূপ হইয়াছে, তিনি কৃষ্ণনগর হইতে সহরে আসিয়াছেন, শুনিয়া আমরা তাহার অন্বেষণে বাহির হইলাম, গিয়া দেখি তিনি বাবু শু্যামাচরণ বিশ্বাসের বাড়ী দুই দিন রহিয়াছেন, অথবা কালীচরণ ঘোষের বাড়ীতে আছেন, অথবা কোনও খ্ৰীষ্টীয় বন্ধুর অতিথি হইয়। রহিয়াছেন। সৰ্ব্বশ্রেণীর, সৰ্ব্বসম্প্রদায়ের, মধ্যে র্তাহার বন্ধু ছিল; সকল শ্রেণীর লোককেই তিনি ভালবাসিতেন। এই তাহার চরিত্রের আর একটা গুণ, যাহা দেখিয়া আমরা বড়ই মুগ্ধ হইতাম।


{{gap}}১২৭৭ বঙ্গাব্দ (১৮৭৭ - ৩রা আষাঢ় দিবসে কৃষ্ণনগরে তাহার তৃতীয় পুত্র বিনয়কুমারের জন্ম হয়। তৎপুৰ্ব্বে ১৮৬৬ সালে আর একটী পুত্র সন্তান জন্মিয় অল্প বয়সেই ভাগলপুরে অবস্থিতিকালে গতামু হয়।
{{gap}}১২৭৭ বঙ্গাব্দ (১৮৭৭ - ৩রা আষাঢ় দিবসে কৃষ্ণনগরে তাহার তৃতীয় পুত্র বিনয়কুমারের জন্ম হয়। তৎপুৰ্ব্বে ১৮৬৬ সালে আর একটী পুত্র সন্তান জন্মিয় অল্প বয়সেই ভাগলপুরে অবস্থিতিকালে গতামু হয়।