পাতা:রামতনু লাহিড়ী ও তৎকালীন বঙ্গসমাজ.djvu/৪৪২: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

Hrishikesbot (আলোচনা | অবদান)
পাতার অবস্থা-পরিবর্তন অউব্রা ব্যবহার করে
আফতাব বট (আলোচনা | অবদান)
সংশোধন
 
পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
{{gap}}বাস্তবিক ! এই বিশ্বাসী সাধুপুরুষ শোক জয় করিয়াছিলেন। আমি একজন বন্ধুর মুখে শুনিয়াছি যে ইন্দুমতীর মৃত্যুর কিছুদিন পরে একদিন লাহিড়ী মহাশয়ের অনুরোধ ক্রমে ইন্দুর শ্রীদ্ধোপলক্ষে ঈশ্বরোপাসনা হইল। উপাসনার মধ্যে লাহিড়ী মহাশয় হঠাৎ “ইন্দু বলিয়। দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলিয়৷ উঠিয়া গেলেন; পরে দেখা গেল যে বস্ত্রাঞ্চলে নিজের অশ্র মুছিতেছেন। উপাসনা ভাঙ্গিলে উক্ত” বন্ধুটকে বলিলেন—“দেখ আমরা হাজার ঈশ্বরকে মঙ্গলময় বলি না কেন কাজে তাকে মঙ্গলময় বলিয়া ধরা কত কঠিন! আমি মাজ ইন্দুর জন্ত কেঁদে অবিশ্বাস প্রকাশ করলাম; এটা কি সত্যু নয়, আমার ইন্দু এখন তার মঙ্গল ক্রোড়ে আছে, তবে কাদি কেন?” বলিয়৷ এই ক্ষণিক শোক প্রকাশের জন্ত বহু দুঃখ প্রকাশ করিতে লাগিলেন। তৎপরেই ধীর স্থির, স্বকৰ্ত্তব্যসাধনে তৎপর।
{{gap}}বাস্তবিক ! এই বিশ্বাসী সাধুপুরুষ শোক জয় করিয়াছিলেন। আমি একজন বন্ধুর মুখে শুনিয়াছি যে ইন্দুমতীর মৃত্যুর কিছুদিন পরে একদিন লাহিড়ী মহাশয়ের অনুরোধ ক্রমে ইন্দুর শ্রীদ্ধোপলক্ষে ঈশ্বরোপাসনা হইল। উপাসনার মধ্যে লাহিড়ী মহাশয় হঠাৎ “ইন্দু বলিয়। দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলিয়৷ উঠিয়া গেলেন; পরে দেখা গেল যে বস্ত্রাঞ্চলে নিজের অশ্র মুছিতেছেন। উপাসনা ভাঙ্গিলে উক্ত” বন্ধুটকে বলিলেন—“দেখ আমরা হাজার ঈশ্বরকে মঙ্গলময় বলি না কেন কাজে তাকে মঙ্গলময় বলিয়া ধরা কত কঠিন! আমি মাজ ইন্দুর জন্ত কেঁদে অবিশ্বাস প্রকাশ করলাম; এটা কি সত্যু নয়, আমার ইন্দু এখন তার মঙ্গল ক্রোড়ে আছে, তবে কাদি কেন?” বলিয়৷ এই ক্ষণিক শোক প্রকাশের জন্ত বহু দুঃখ প্রকাশ করিতে লাগিলেন। তৎপরেই ধীর স্থির, স্বকৰ্ত্তব্যসাধনে তৎপর।


{{gap}}এদিকে ইন্দুমতী চলিয়া গেলে নবকুমার প্রাণে এমনি আঘাত পাইলেন যে র্তার জীবনের দিন ফুরাইয়া আসিতে লাগিল। সেই যে তিনি মৌনাবলম্বন করিলেন, সেই হইতে আর কেহ তাহাকে ভাল করিয়া হাসিতে দেখে নাই। ইন্দু তাহার জন্য কি করিয়াছে, পড়িয়া পড়িয়া তাহাই আয়ুপূৰ্ব্বিক ভাবিতে লাগিলেন। শেষ অবস্থায় তাহার মেজাজ খারাপ হইয়া ইন্দুকে কি ক্লেশ দিয়াছেন তাহা বোধ হয় চিন্তা করিতে লাগিলেন। মধ্যে মধ্যে দেখা যাইত তিনি বালিশে মুখ গুজিয়া আছেন, চক্ষের জলে বালিশ ভিজিয়া যাইতেছে। একবার তাহার শ্যুর পার্শ্বে একথও কাগজ কুড়াইয়া পাওয়া গেল, তাহাতে দেখা গেল সেই রুগ্ন, দুৰ্ব্বল ও ক্ষীণ হস্তে যেন কি লিখিতেছিলেন—অধিক .লিখিতে পারেন নাই। O! darling Sister ! বুলিয়া আরম্ভ করিয়ী সামান্ত দুই এক ছত্র লিখিয়াছেন। এ শোক নবকুমার সামলাইয়া উঠিতে পারিলেন না। ভাটার জলের স্তায় তাহারও জীবনের শক্তি তিল তিল করিয়া ফুরাইয়া আসিতে লাগিল। পিতা খাতা ও আত্মীয় স্বজনের সহস্ৰ চেষ্টা ও শুশ্লষাতে কিছু করিতে পারিল না। “অবশেষে ১৮৭৮ সালের ১৫ই সেপ্টেম্বর সেই দিন উপস্থিত হইল, যে দিন নবকুমারকে ৭ হারাইতে হইল।
{{gap}}এদিকে ইন্দুমতী চলিয়া গেলে নবকুমার প্রাণে এমনি আঘাত পাইলেন যে র্তার জীবনের দিন ফুরাইয়া আসিতে লাগিল। সেই যে তিনি মৌনাবলম্বন করিলেন, সেই হইতে আর কেহ তাহাকে ভাল করিয়া হাসিতে দেখে নাই। ইন্দু তাহার জন্য কি করিয়াছে, পড়িয়া পড়িয়া তাহাই আয়ুপূৰ্ব্বিক ভাবিতে লাগিলেন। শেষ অবস্থায় তাহার মেজাজ খারাপ হইয়া ইন্দুকে কি ক্লেশ দিয়াছেন তাহা বোধ হয় চিন্তা করিতে লাগিলেন। মধ্যে মধ্যে দেখা যাইত তিনি বালিশে মুখ গুজিয়া আছেন, চক্ষের জলে বালিশ ভিজিয়া যাইতেছে। একবার তাহার শ্যুর পার্শ্বে একথও কাগজ কুড়াইয়া পাওয়া গেল, তাহাতে দেখা গেল সেই রুগ্ন, দুৰ্ব্বল ও ক্ষীণ হস্তে যেন কি লিখিতেছিলেন—অধিক .লিখিতে পারেন নাই। O! darling Sister ! বুলিয়া আরম্ভ করিয়ী সামান্ত দুই এক ছত্র লিখিয়াছেন। এ শোক নবকুমার সামলাইয়া উঠিতে পারিলেন না। ভাটার জলের স্তায় তাহারও জীবনের শক্তি তিল তিল করিয়া ফুরাইয়া আসিতে লাগিল। পিতা খাতা ও আত্মীয় স্বজনের সহস্ৰ চেষ্টা ও শুশ্লষাতে কিছু করিতে পারিল না। “অবশেষে ১৮৭৮ সালের ১৫ই সেপ্টেম্বর সেই দিন উপস্থিত হইল, যে দিন নবকুমারকে ৭ হারাইতে হইল।