পাতা:উপেন্দ্রকিশোর রচনাসমগ্র.djvu/৩৯৩: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

সম্পাদনা সারাংশ নেই
 
পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):
৩ নং লাইন: ৩ নং লাইন:
{{gap}}কেনা। তা দাদা, যদি দেবে তবে এমন একখানা বেহালা দাও যে, যে তার আওয়াজ শুনবে তাকেই তিড়িং তিড়িং করে নাচতে হবে।
{{gap}}কেনা। তা দাদা, যদি দেবে তবে এমন একখানা বেহালা দাও যে, যে তার আওয়াজ শুনবে তাকেই তিড়িং তিড়িং করে নাচতে হবে।


{{gap}}দূত। (ঝুলি হইতে বেহালা বাহির করিযা)। এই নে।
{{gap}}দূত। (ঝুলি হইতে বেহালা বাহির করিয়া)। এই নে।


{{gap}}কেনা। বাঃ। বেশ হল, আমাকে ত সঙ্গে সঙ্গে নাচতে হবে না?
{{gap}}কেনা। বাঃ। বেশ হল, আমাকে ত সঙ্গে সঙ্গে নাচতে হবে না?
১১ নং লাইন: ১১ নং লাইন:
{{gap}}কেনা। তুমিই যে ফুর্তি করতে বললে দাদা!
{{gap}}কেনা। তুমিই যে ফুর্তি করতে বললে দাদা!


{{gap}}দূত। আমি আগে যাই, তাবপব করিস।
{{gap}}দূত। আমি আগে যাই, তাবপর করিস।


{{gap}}কেনা। আ — চ্ছা।
{{gap}}কেনা। আ — চ্ছা।
২৭ নং লাইন: ২৭ নং লাইন:
{{gap}}কেনা। আজ্ঞে, আমি আপনার বকেয়া চাক্র কেনারাম, মাইনে চুকিয়ে দিয়েছেন বলে কি এমন মনিবকে ভুলতে পাবি? আপনাকে বাজনা শুনিয়ে আমার বেয়ালা সার্থক হল। (পুনরায় দ্বিগুণ উৎসাহে বাদন)
{{gap}}কেনা। আজ্ঞে, আমি আপনার বকেয়া চাক্র কেনারাম, মাইনে চুকিয়ে দিয়েছেন বলে কি এমন মনিবকে ভুলতে পাবি? আপনাকে বাজনা শুনিয়ে আমার বেয়ালা সার্থক হল। (পুনরায় দ্বিগুণ উৎসাহে বাদন)


{{gap}}বেচা (নৃত্য)! কি মুশকিল। বাবা কেনাবাম, রক্ষে কবো বাবা। এ কি বাজনা যে শুনলেই নাচতে হয়! বাবা আর কাজ নেই, আমি খুব খুশি হয়েছি, এই টাকার থলি তোমায় দিচ্ছি, তোমার মাইনে এ থেকে পুষিয়ে নাও, দোহাই বাবা, আমায় নাচিও না। (টাকার থলি কেনারামের হাতে প্রদান।)
{{gap}}বেচা (নৃত্য)! কি মুশকিল। বাবা কেনারাম, রক্ষে করো বাবা। এ কি বাজনা যে শুনলেই নাচতে হয়! বাবা আর কাজ নেই, আমি খুব খুশি হয়েছি, এই টাকার থলি তোমায় দিচ্ছি, তোমার মাইনে এ থেকে পুষিয়ে নাও, দোহাই বাবা, আমায় নাচিও না। (টাকার থলি কেনারামের হাতে প্রদান।)


{{gap}}কেনা (বিনীত অভিবাদন করিয়া)। আজ্ঞে, না হবে কেন? আপনার মত মনিব না হলে গুণ কে বোঝে! দেখছি বেয়ালার আওয়াজে আপনার ‘কানে খাট’র ব্যারামটাও বেশ সেরে গেল। ভাল ভাল, আর এ ব্যারামের সুত্রপাত দেখলে আমায় খবর দেবেন, আমি বেয়ালা নিয়ে এসে চিকিৎসা করব। (দীর্ঘ অভিবাদন করিয়া প্রস্থান)
{{gap}}কেনা (বিনীত অভিবাদন করিয়া)। আজ্ঞে, না হবে কেন? আপনার মত মনিব না হলে গুণ কে বোঝে! দেখছি বেয়ালার আওয়াজে আপনার ‘কানে খাট’র ব্যারামটাও বেশ সেরে গেল। ভাল ভাল, আর এ ব্যারামের সুত্রপাত দেখলে আমায় খবর দেবেন, আমি বেয়ালা নিয়ে এসে চিকিৎসা করব। (দীর্ঘ অভিবাদন করিয়া প্রস্থান)