পাতা:উপেন্দ্রকিশোর রচনাসমগ্র.djvu/৬২৫: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

Pywikibot touch edit
পাতার অবস্থাপাতার অবস্থা
-
মুদ্রণ সংশোধন করা হয়নি
+
মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে
শীর্ষক (অন্তর্ভুক্ত হবে না):শীর্ষক (অন্তর্ভুক্ত হবে না):
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
{{rh||মহাভারতের কথা|৬২৫}}
পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
{{gap}}মুনি বলিলেন, “একহাজার টাকা আমার উপযুক্ত মূল্য নহে। তুমি বিশেষ বিবেচনা
মহাভারতের কথা ٤) دوا
মুনি বলিলেন, “একহাজার টাকা আমার উপযুক্ত মূল্য নহে। তুমি বিশেষ বিবেচনা করিয়া, আমার উচিত মূল্য ইহাদিগকে দাও।”
করিয়া, আমার উচিত মূল্য ইহাদিগকে দাও।”

রাজা বলিলেন, “তবে একলক্ষ টাকা দিই?” মুনি বলিলেন, “একলক্ষ টাকাও আমার উচিত মূল্য নহে। তুমি অমাত্যগণের সহিত পরামর্শ করিয়া, আমার উচিত মূল্য ইহাদিগকে দাও।”
নহুষ বলিলেন, “তবে ইহাদিগকে এককোটি টাকা বা তাহার চেয়েও বেশি দেওয়া হউক।”
{{gap}}রাজা বলিলেন, “তবে একলক্ষ টাকা দিই?”

মুনি বলিলেন, “তাহাতেও আমার উচিত মূল্য হইবে না। তুমি ব্রাহ্মণদিগকে ডাকিয়া এ বিষয়ে পরামর্শ কর।”
{{gap}}মুনি বলিলেন, “একলক্ষ টাকাও আমার উচিত মূল্য নহে। তুমি অমাত্যগণের সহিত
রাজা বলিলেন, “ তবে আমার অর্ধেক বা সমস্ত রাজ্য দিই। তাহা হইলে বোধহয় আপনার উপযুক্ত মূল্য হইতে পারে।”
পরামর্শ করিয়া, আমার উচিত মূল্য ইহাদিগকে দাও।”
মুনি বলিলেন, “তাহাতেও আমার উপযুক্ত মূল্য হইবে না। তুমি ঋষিদিগকে জিজ্ঞাসা করিয়া, আমার উপযুক্ত মূল্য স্থির কর।”

এ কথায় নহুষ বড়ই চিন্তায় পড়িলেন। রাজ্য দিলেও যদি মুনির উপযুক্ত মূল্য না হয়, তবে আর এমন কি দিবার আছে, যাতে তাহা হইতে পারে? রাজা কত ভাবিলেন, আমাত্যেরা সকলে মিলিয়া কত পরামর্শ করিলেন, কিন্তু এ কথার উত্তর কেহই দিতে পারিলেন না! এমন সময় অতিশয় জ্ঞানী একজন ফলমূলাহারী তপস্বী সেখানে আসিয়া উপস্থিত হইলেন, তিনি রাজাকে চিন্তিত দেখিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, “মহারাজ ! আপনাকে এত চিন্তিত দেখিতেছে কেন ?"
{{gap}}নহুষ বলিলেন, “তবে ইহাদিগকে এককোটি টাকা বা তাহার চেয়েও বেশি দেওয়া
রাজা বলিলেন, “ভগবান, এই মহর্ষির উচিত মূল্য কি, তাহা ত আমি কিছুতেই স্থির করিতে পারিতেছেন না। আমার সমস্ত রাজ্য দিতে চাহিলাম, তাহাও তিনি যথেষ্ট মনে করিলেন না। ইহার উপর আর কি দেওয়া যাইতে পারে, তাহা ভাবিয়া আমি একেবারে অস্থির হইয়াছি। শীঘ্ৰ ইহার উচিত মূল্য স্থির করিতে না পারিলে হয়ত ইহার রাগ হইবে, আর আমাকে শাপ দিয়া ভস্ম করিবেন।”
হউক।”
এ কথা শুনিয়া তপস্বী বলিলেন, “টাকা কড়ি অপেক্ষা গোধনই শ্রেষ্ঠ। গরুর তুল্য ধন নাই। আপনি গরু দিলে মহর্ষির উচিত মূল্য হইতে পারে।”

তখন রাজা অতিশয় আহুদিত হইয়া চ্যবনকে বলিলেন, “ভগবন, আমি গরু দিয়া আপনাকে ক্রয় করিলাম। বোধহয়, এইবার আপনার উচিত মূল্য হইয়াছে।”
তথা হইতে উঠিয়া আসিয়া বলিলেন, “মহারাজ। এইবার যথার্থই আমার উচিত মূল্য হইয়াছে। সংসারে গরুর তুল্য আর ধন নাই।”
{{gap}}মুনি বলিলেন, “তাহাতেও আমার উচিত মূল্য হইবে না। তুমি ব্রাহ্মণদিগকে ডাকিয়া
বিষয়ে পরামর্শ কর।”
তখনই একটি গাই আনিয়া জেলেদিগকে দেওয়া হইল। গাভীটি পাইয়া জেলেরা অতিশয় বিনীত ভাবে চ্যবনকে বলিল “মুনি-ঠাকুর! সাত পা চলিতে যে সময় লাগে, ততটুকু সময় সাধুদের সঙ্গে থাকিতে পারলেই তাঁহাদের সহিত বন্ধুতা হয়। আপনার সহিত অনেক্ষণ যাবৎ আমাদের সাক্ষাৎ এবং আলাপ হইয়াছে, সুতরাং আপনি আমাদের উপরে তুষ্ট হউন। আপনি অতি মহাপুরুষ, আপনার পায়ে পড়িয়া বলিতেছি দয়া করিয়া এই গরুটি আপনি

ūto-ax
{{gap}}রাজা বলিলেন,“ তবে আমার অর্ধেক বা সমস্ত রাজ্য দিই। তাহা হইলে বােধহয়
আপনার উপযুক্ত মূল্য হইতে পারে।”

{{gap}}মুনি বলিলেন, “তাহাতেও আমার উপযুক্ত মূল্য হইবে না। তুমি ঋষিদিগকে জিজ্ঞাসা
করিয়া, আমার উপযুক্ত মূল্য স্থির কর।”

{{gap}}এ কথায় নহুষ বড়ই চিন্তায় পড়িলেন। রাজ্য দিলেও যদি মুনির উপযুক্ত মূল্য না হয়,
তবে আর এমন কি দিবার আছে, যাতে তাহা হইতে পারে? রাজা কত ভাবিলেন, অমাত্যেরা
সকলে মিলিয়া কত পরামর্শ করিলেন, কিন্তু এ কথার উত্তর কেহই দিতে পারিলেন না।

{{gap}}এমন সময় অতিশয় জ্ঞানী একজন ফলমূলাহারী তপস্বী সেখানে আসিয়া উপস্থিত
হইলেন, তিনি রাজাকে চিন্তিত দেখিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, “মহারাজ! আপনাকে এত চিন্তিত
দেখিতেছে কেন?”

{{gap}}রাজা বলিলেন, “ভগবান, এই মহর্ষির উচিত মূল্য কি, তাহা ত আমি কিছুতেই স্থির
করিতে পারিতেছে না। আমার সমস্ত রাজ্য দিতে চাহিলাম, তাহাও তিনি যথেষ্ট মনে
করিলেন না। ইহার উপর আর কি দেওয়া যাইতে পারে, তাহা ভাবিয়া আমি একেবারে
অস্থির হইয়াছি। শীঘ্র ইঁহার উচিত মূল্য স্থির করিতে না পারিলে হয়ত ইঁহার রাগ হইবে, আর
আমাকে শাপ দিয়া ভস্ম করিবেন।”

{{gap}}এ কথা শুনিয়া তপস্বী বলিলেন, “টাকা কড়ি অপেক্ষা গােধনই শ্রেষ্ঠ। গরুর তুল্য ধন
নাই। আপনি গরু দিলে মহর্ষির উচিত মূল্য হইতে পারে।”

{{gap}}তখন রাজা অতিশয় আহ্লাদিত হইয়া চ্যবনকে বলিলেন, “ভগবন্, আমি গরু দিয়া
আপনাকে ক্রয় করিলাম। বােধহয়, এইবার আপনার উচিত মূল্য হইয়াছে।”

{{gap}}চ্যবন তখনাে সেই মাছের গাদায় পড়িয়াছিলেন, রাজার কথায় তিনি আহ্লাদের সহিত
তথা হইতে উঠিয়া আসিয়া বলিলেন, “মহারাজ। এইবার যথার্থই আমার উচিত মূল্য
হইয়াছে। এ সংসারে গরুর তুল্য আর ধন নাই।”

{{gap}}তখনই একটি গাই আনিয়া জেলেদিগকে দেওয়া হইল। গাভীটি পাইয়া জেলেরা অতিশয়
বিনীত ভাবে চ্যবনকে বলিল “মুনি-ঠাকুর! সাত পা চলিতে যে সময় লাগে, ততটুকু সময়
সাধুদের সঙ্গে থাকিতে পারিলেই তাঁহাদের সহিত বন্ধুতা হয়। আপনার সহিত অনেক্ষণ
যাবৎ আমাদের সাক্ষাৎ এবং আলাপ হইয়াছে, সুতরাং আপনি আমাদের উপরে তুষ্ট হউন।
আপনি অতি মহাপুরুষ, আপনার পায়ে পড়িয়া বলিতেছি দয়া করিয়া এই গরুটি আপনি