পাতা:উপেন্দ্রকিশোর রচনাসমগ্র.djvu/৬৩২: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

Pywikibot touch edit
পাতার অবস্থাপাতার অবস্থা
-
মুদ্রণ সংশোধন করা হয়নি
+
মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে
শীর্ষক (অন্তর্ভুক্ত হবে না):শীর্ষক (অন্তর্ভুক্ত হবে না):
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
{{rh|৬৩২|উপেন্দ্রকিশাের রচনাসমগ্র|}}
পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
{{C|{{larger|'''গৌতমীর ক্ষমা'''}}}}
\eరిచి উপেন্দ্রকিশোর রচনাসমগ্র

গৌতমীর ক্ষমা
পূর্বকালে গৌতমী নামে এক অতি দয়াশীলা ধর্মপরায়ণা এবং বুদ্ধিমতী ব্রাহ্মণী ছিলেন। অন্ধের যষ্টির ন্যায় একটিমাত্র অতি গুণবান পুত্র ভিন্ন এ সংসারে তাঁহার আর কেহই ছিল না। দুঃখিনী মাতার সেই পুত্রটিকে একদিন এক দুষ্ট সৰ্প দংশন পূর্বক সংহার করিল।
{{gap}}পূর্বকালে গৌতমী নামে এক অতি দয়াশীলা ধর্মপরায়ণা এবং বুদ্ধিমতী ব্রাহ্মণী ছিলেন। অন্ধের যষ্টির ন্যায় একটিমাত্র অতি গুণবান পুত্র ভিন্ন এ সংসারে তাঁহার আর কেহই ছিল না। দুঃখিনী মাতার সেই পুত্রটিকে একদিন এক দুষ্ট সর্প দংশন পূর্বক সংহার করিল।

দৈবাৎ সেই সময়ে সেইখান দিয়া এক ব্যাধ যাইতেছিল, তাহার নাম অৰ্জুন, অর্জুন সেই দুষ্ট সপকে তাহার নিষ্ঠুর কার্য শেষ করিয়া আর পলায়ন করিবার অবসর দিল না। সে ক্রোধে অস্থির হইয়া তখনই তাহাকে বন্ধন করতঃ গৌতমীর নিকটে উপস্থিত করিল।
{{gap}}দৈবাৎ সেই সময়ে সেইখান দিয়া এক ব্যাধ যাইতেছিল, তাহার নাম অর্জুন, অর্জুন সেই দুষ্ট সর্পকে তাহার নিষ্ঠুর কার্য শেষ করিয়া আর পলায়ন করিবার অবসর দিল না। সে ক্রোধে অস্থির হইয়া তখনই তাহাকে বন্ধন করতঃ গৌতমীর নিকটে উপস্থিত করিল।
গৌতমীর নিকটে আসিয়া ব্যাধ বলিল, “মা! এই দুষ্ট সাপ আপনার পুত্রকে বধ করিয়াছে এখন বলুন, ইহাকে কেমন করিয়া মারিব, পোড়াইয়া ফেলিব, না কাটিয়া খন্ডখন্ডকরিব?” ব্যাধের কথায় গৌতমী কাঁদিতে কাঁদিতে বলিলেন, “বাছা! ইহাকে মারিয়া এখন আমার কি লাভ হইবে? আমার পুত্রের আয়ু শেষ হওয়াতেই তাহার মৃত্যু হইয়াছে, সর্প কেবল উপলক্ষ মাত্র। সুতরাং তুমি ইহাকে ছড়িয়া দাও।”

ব্যাধ বলিল, “মা! এই দুষ্টকে ছড়িলে সে হয়ত আরো কত লোককে কামড়াইবে। সুতরাং ইহাকে বধ করাই উচিত হইতেছে।”
{{gap}}গৌতমীর নিকটে আসিয়া ব্যাধ বলিল, “মা! এই দুষ্ট সাপ আপনার পুত্রকে বধ করিয়াছে। এখন বলুন, ইহাকে কেমন করিয়া মারিব, পোড়াইয়া ফেলিব, না কাটিয়া খন্ড খন্ড করিব?”
গৌতমী বলিলেন, “বাছা! ইহাকে মারিলে ত আমার পুত্র ফিরিয়া পাইব না। আর এ কাজে আমার কোন পুণ্যও হইবে না। সুতরাং আমি ইহাকে ক্ষমা করিতেছি।”

এই সকল শুনিয়া সেই সপ ব্যাধকে কহিল, “ভাই, মৃত্যু আমাকে পাঠাইয়াছেন, তাই আমি এই বালককে কামড়াইয়াছি। ইহাতে আমার কি দোষ? দোষ যদি থাকে তবে সেই
{{gap}}ব্যাধের কথায় গৌতমী কাঁদিতে কাঁদিতে বলিলেন, “বাছা! ইহাকে মারিয়া এখন আমার কি লাভ হইবে? আমার পুত্রের আয়ু শেষ হওয়াতেই তাহার মৃত্যু হইয়াছে, সর্প কেবল উপলক্ষ মাত্র। সুতরাং তুমি ইহাকে ছাড়িয়া দাও।”
মৃত্যুর।

ব্যাধ বলিল, “হইতে পারে, মৃতুই তোমাকে পাঠাইয়াছেন, কিন্তু মারিয়াছত তুমি। মৃত্যুর যদি দোষ থাকে তাহ পাঠাইবার দোষ মাত্র, মারিবার দোষ তাঁহার নহে, সে দোষ তোমারই।” সপ কহিল, “আমি ত কেবল আজ্ঞা পালন করিয়াছি মাত্র, দোষ কেন আমার হইবে ? মৃত্যু আমাকে না পাঠাইলে কখনই আমি এই বালককে বধ করিতাম না। তোমরা যে পুরোহিতকে দিয়া পূজা করাও, তাহার ফল ত তোমরাই পাও। পুরোহিত ত পান না। তেমনি মৃত্যু যদি আমাকে দিয়া কোন কাজ করান, তাহার ফল তাঁহারই পাইতে হয়, আমার তাহাতে কোন ভাগ নাই।”
{{gap}}ব্যাধ বলিল, “মা! এই দুষ্টকে ছাড়িলে সে হয়ত আরো কত লোককে কামড়াইবে। সুতরাং ইহাকে বধ করাই উচিত হইতেছে।”
এইরূপ তর্ক হইতেছে এমন সময় মৃত্যু সেখানে আসিয়া বললেন, “বালকের মৃত্যুর কাল হইয়াছিল, তাই আমি তাহাকে পাঠাইয়াছিলাম। আমরা সকলেই কালের অধীন, সুতরাং আমারই বা দোষ কি? দোষ ত কালের।”

তাহা শুনিয়া ব্যাধ বলিল, “বুঝিয়াছি। তোমরা দুজনেই যত অনিষ্টের মূল। তোমাদের মত এমন নিষ্ঠুর দুষ্ট লোক আর কোথাও নাই।”
{{gap}}গৌতমী বলিলেন, “বাছা! ইহাকে মারিলে ত আমার পুত্র ফিরিয়া পাইব না। আর এ কাজে আমার কোন পুণ্যও হইবে না। সুতরাং আমি ইহাকে ক্ষমা করিতেছি।”
এ সময়ে কাল যদি তথায় আসিয়া মীমাংসা করিয়া না দিতেন, তাহা হইলে এ তর্ক কোথায় গিয়া শেষ হইত, কে জানে? কাল আসিয়া বলিলেন, “তোমরা কেন এত বিবাদ

{{gap}}এই সকল শুনিয়া সেই সর্প ব্যাধকে কহিল, “ভাই, মৃত্যু আমাকে পাঠাইয়াছে, তাই আমি এই বালককে কামড়াইয়াছি। ইহাতে আমার কি দোষ? দোষ যদি থাকে তবে সেই মৃত্যুর।”

{{gap}}ব্যাধ বলিল, “হইতে পারে, মৃত্যুই তোমাকে পাঠাইয়াছে, কিন্তু মারিয়াছ ত তুমি। মৃত্যুর যদি দোষ থাকে তাহ পাঠাইবার দোষ মাত্র, মারিবার দোষ তাহার নহে, সে দোষ তোমারই।”

{{gap}}সর্প কহিল, “আমি ত কেবল আজ্ঞা পালন করিয়াছি মাত্র, দোষ কেন আমার হইবে? মৃত্যু আমাকে না পাঠাইলে কখনই আমি এই বালককে বধ করিতাম না। তোমরা যে পুরোহিতকে দিয়া পূজা করাও, তাহার ফল ত তোমরাই পাও। পুরোহিত ত পান না। তেমনি মৃত্যু যদি আমাকে দিয়া কোন কাজ করান, তাহার ফল তাঁহারই পাইতে হয়, আমার তাহাতে কোন ভাগ নাই।”

{{gap}}এইরূপ তর্ক হইতেছে, এমন সময় মৃত্যু সেখানে আসিয়া বলিলেন, “বালকের মৃত্যুর কাল হইয়াছিল, তাই আমি তাহাকে পাঠাইয়াছিলাম। আমরা সকলেই কালের অধীন, সুতরাং আমারই বা দোষ কি? দোষ ত কালের।”

{{gap}}তাহ শুনিয়া ব্যাধ বলিল, “বুঝিয়াছি। তোমরা দুজনেই যত অনিষ্টের মূল। তোমাদের মত এমন নিষ্ঠুর দুষ্ট লোক আর কোথাও নাই।”

{{gap}}এ সময়ে কাল যদি তথায় আসিয়া মীমাংসা করিয়া না দিতেন, তাহা হইলে এ তর্ক কোথায় গিয়া শেষ হইত, কে জানে? কাল আসিয়া বলিলেন, “তোমরা কেন এত বিবাদ