|
|
পাতার অবস্থা | পাতার অবস্থা |
- | মুদ্রণ সংশোধন করা হয়নি
| + | মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে |
শীর্ষক (অন্তর্ভুক্ত হবে না): | শীর্ষক (অন্তর্ভুক্ত হবে না): |
১ নং লাইন: |
১ নং লাইন: |
|
|
{{rh||মহাভারতের কথা|৪৮১}} |
পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে): | পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে): |
১ নং লাইন: |
১ নং লাইন: |
|
মহাভারতের কথা 8br> |
|
|
পড়ি, দয়া করিয়া আমাকে আর কোথাও লইয়া যাউন।” |
|
পড়ি, দয়া করিয়া আমাকে আর কোথাও লইয়া যাউন।” |
|
|
|
|
তখন মুনি মাছটিকে সেই দীঘি হইতে তুলিয়া, গঙ্গায় নিয়া ছাড়িয়া দিলেন। কিন্তু কিছুদিন পরে, গঙ্গায়ও তাহার জায়গা কুলাইল না। তখন সে মুনিকে বলিল— মুনি ঠাকুর এখানেও আমার জায়গা হইতেছে না। আমাকে সমুদ্রে লইয়া চলুন।" |
|
{{gap}}তখন মুনি মাছটিকে সেই দীঘি হইতে তুলিয়া, গঙ্গায় নিয়া ছাড়িয়া দিলেন। কিন্তু কিছুদিন পরে, গঙ্গায়ও তাহার জায়গা কুলাইল না। তখন সে মুনিকে বলিল— মুনি ঠাকুর এখানেও আমার জায়গা হইতেছে না। আমাকে সমুদ্রে লইয়া চলুন।” |
⚫ |
তখনই, এত বড় মাছ, তাহাকে মুনি মাথায় করিয়া লইলেন। তাহার গায় এমন গন্ধ ছিল, সে গন্ধ মুনি সহিয়া রহিলেন, শ্যাওলা আর পোকার কথা তিনি মনেই করিলেন না। এইরূপে তাহাকে বহিয়া নিয়া মুনি সাগরের জলে তাহাকে ছাড়িয়া দিলেন। |
|
|
|
|
⚫ |
তখন সেই মাছ হাসিতে হাসিতে বলিল—“মুনি ঠাকুব, আপনি আমাকে এত কবিয়া বঁাচাইলেন, আমিও আপনার উপকার করিতে ভুলিব না। এখন, এক যে ভয়ানক বিপদের সময় আসিতেছে, তাহার কথা শুনুন। সৃষ্টি নষ্ট হইতে আর দেরি নাই। এই বেলা আমি যাহা বলিতেছি তাহা করুন একটা খুব বড় নৌকা প্রস্তুত করাইয়া, তাহাতে খুব মোটা, খুব শক্ত দড়ি বাধিয়া বাখিবেন। সেই নৌকায়, সকল রকমেব বীজ সঙ্গে লইয়া, সপ্তর্ষিদিগের সহিত, আপনি উঠিযা বসিযা থাকিবেন । তাবপব যখন সময় হইবে, তখন আমি আপনা হইতেই আসিয়া উপস্থিত হইব । ৩খন আমার মাথায একটা শিং থাকিবে।” |
|
|
⚫ |
{{gap}}তখনই, এত বড় মাছ, তাহাকে মুনি মাথায় করিয়া লইলেন। তাহার গায় এমন গন্ধ ছিল, সে গন্ধ মুনি সহিয়া রহিলেন, শ্যাওলা আর পোকার কথা তিনি মনেই করিলেন না। এইরূপে তাহাকে বহিয়া নিয়া মুনি সাগরের জলে তাহাকে ছাড়িয়া দিলেন। |
⚫ |
এই বলিয়া মাছ চলিয়া গেল। মুনি নৌকা প্রস্তুত করাইযা তাহাতে উঠিয়া বসিয়া রহিলেন। খানিক পবে, সেই মাছও শাল গাছের মতন উচু শিং মাথায় কবিয়া, সেইখানে আসিয়া দেখা দিল । সেই শিঙে সেই মোটা দড়ি দিয়া নৌকাখানিকে বধিয়া দিলে, আব কোন ভয় বহিল না। |
|
|
|
|
⚫ |
তারপর মেঘ ডাকিতে লাগিল; ঢেউ সকল পর্বতের মতো উচু হইয়া ছুটিতে লাগিল, অকুল সমুদ্রের ভিতবে ভয়ঙ্ক ব ঝডে পড়িয়া নৌকাখনি ঘুরপাক খাইতে লাগিল। সেই বিষম ঝড়ে সংসাবেব সকল প্রাণী ডুবিয়া মরিল, কেবল মনু আর সেই সাতজন ঋষি, সেই মাছের দয়াতে প্রাণে বাচিযা বহিলেন । |
|
|
⚫ |
{{gap}}তখন সেই মাছ হাসিতে হাসিতে বলিল—“মুনি ঠাকুর, আপনি আমাকে এত করিয়া বাঁচাইলেন, আমিও আপনার উপকার করিতে ভুলিব না। এখন, এক যে ভয়ানক বিপদের সময় আসিতেছে, তাহার কথা শুনুন। সৃষ্টি নষ্ট হইতে আর দেরি নাই। এই বেলা আমি যাহা বলিতেছি তাহা করুন একটা খুব বড় নৌকা প্রস্তুত করাইয়া, তাহাতে খুব মোটা, খুব শক্ত দড়ি বাঁধিয়া রাখিবেন। সেই নৌকায়, সকল রকমেব বীজ সঙ্গে লইয়া, সপ্তর্ষিদিগের সহিত, আপনি উঠিয়া বসিয়া থাকিবেন। তারপর যখন সময় হইবে, তখন আমি আপনা হইতেই আসিয়া উপস্থিত হইব। তখন আমার মাথায় একটা শিং থাকিবে।” |
⚫ |
শেষে জল কমিতে লাগিল। ক্রমে হিমালয়ের চুডা দেখা দিল। তখন সেই মাছ বলিল— “মুনি ঠাকুর, এই পর্বতের চুড়ায নৌকা বঁধুন।” |
|
|
|
|
⚫ |
মাছের কথায় মুনিরা সেইখানে নৌকা বাধিলেন। সেই মাছ ছিলেন ব্ৰহ্মা। তিনি এইরূপ করিয়া প্রলয়ের সময়ে সেই আটটি মুনিকে বাচাইয়া ছিলেন। |
|
|
⚫ |
{{gap}}এই বলিয়া মাছ চলিয়া গেল। মুনি নৌকা প্রস্তুত করাইয়া তাহাতে উঠিয়া বসিয়া রহিলেন। খানিক পরে, সেই মাছও শাল গাছের মতন উচু শিং মাথায় করিয়া, সেইখানে আসিয়া দেখা দিল। সেই শিঙে সেই মোটা দড়ি দিয়া নৌকাখানিকে বাঁধিয়া দিলে, আর কোন ভয় বহিল না। |
⚫ |
অদিতি আর দিতি কশ্যপের স্ত্রী ছিলেন। অদিতির পুত্র ধাতা, মিত্র আর্যমা, শক্র, বরুণ, ংশ, ভগ, বিবস্বান, পুষা, সবিতা, তুষ্টা, বিষ্ণু এই বারজন। অদিতির পুত্র বলিয়া ইহাদগকে আদিত্য বলে। দেবতারা ইহাদেব দলের লোক । |
|
|
|
|
⚫ |
দিতির পুত্র হিরণ্যকশিপু। দিতিব সন্তান বলিয়া ইহাব বংশের লোকদিগকে দৈত্য বলে। অসুরেরা ইহাদের দলের লোক। |
|
|
⚫ |
{{gap}}এরপব মেঘ ডাকিত লাগিল; ঢেউ সকল পর্বতের মত উঁচু হইয়া ছুটিতে লাগিল, অকুল সমুদ্রের ভিতরে ভয়ঙ্কর ঝড়ে পড়িয়া নৌকাখানি ঘুরপাক খাইতে লাগিল। সেই বিষম ঝড়ে সংসারের সকল প্রাণী ডুবিয়া মরিল, কেবল মনু আর সেই সাতজন ঋষি, সেই মাছের দয়াতে প্রাণে বাঁচিয়া রহিলেন। |
⚫ |
সকল দেবতাই অদিতির সন্তান নহেন, সকল অসুরও দিতির সন্তান নহে। ইহাদের সকলের পিতামাতার সংবাদ লইবার আমাদের কোন প্রয়োজন নাই। তবে, আমাদের এই |
|
|
|
|
|
উপেন্দ্ৰ—৬১ |
|
|
⚫ |
{{gap}}শেষে জল কমিতে লাগিল। ক্রমে হিমালয়ের চূড়া দেখা দিল, তখন সেই মাছ বলিল— “মুনি ঠাকুর, এই পর্বতের চূড়ায় নৌকা বাঁধুন।” |
|
|
|
|
⚫ |
{{gap}}মাছের কথায় মুনিরা সেইখানে নৌকা বাঁধিলেন। সেই মাছ ছিলেন ব্রহ্মা। তিনি এইরূপ করিয়া প্রলয়ের সময়ে সেই আটটি মুনিকে বাঁচাইয়া ছিলেন। |
|
|
|
|
|
{{C|{{larger|'''দেবতা আর অসুরের কথা'''}}}} |
|
|
|
|
⚫ |
{{gap}}অদিতি আর দিতি কশ্যপের স্ত্রী ছিলেন। অদিতির পুত্র ধাতা, মিত্র অর্যমা, শত্রু, বরুণ, অংশ, ভগ, বিবস্বান্, পূষা, সবিতা, ত্বষ্টা, বিষ্ণু এই বারজন। অদিতির পুত্র বলিয়া ইঁহাদিগকে আদিত্য বলে। দেবতারা ইঁহাদের দলের লোক। |
|
|
|
|
⚫ |
{{gap}}দিতির পুত্র হিরণ্যকশিপু। দিতির সন্তান বলিয়া ইঁহার বংশের লোকদিগকে দৈত্য বলে। অসুরেরা ইহাদের দলের লোেক। |
|
|
|
|
⚫ |
{{gap}}সকল দেবতাই অদিতির সন্তান নহে, সকল অসুরও দিতির সন্তান নহে। ইহাদের সকলের পিতামাতার সংবাদ লইবার আমাদের কোন প্রয়োজন নাই। তবে, আমাদের এই |