পাতা:উপেন্দ্রকিশোর রচনাসমগ্র.djvu/১৬২: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

Pywikibot touch edit
 
পাতার অবস্থাপাতার অবস্থা
-
মুদ্রণ সংশোধন করা হয়নি
+
মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে
শীর্ষক (অন্তর্ভুক্ত হবে না):শীর্ষক (অন্তর্ভুক্ত হবে না):
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
{{rh|১৬২|উপেন্দ্রকিশাের রচনাসমগ্র|}}
পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
১৬২ উপেন্দ্রকিশোর রচনাসমগ্র
হইল। তখন আর-আর সকল রাক্ষস ভয়েই পলাইয়া গেল।
হইল। তখন আর-আর সকল রাক্ষস ভয়েই পলাইয়া গেল।

এখন আর কে যুদ্ধ করিতে যাইবে? রাবণ ছাড়া লঙ্কায় আর বড় বীর কেহ নাই। কাজেই সে অবশিষ্ট রাক্ষসদিগকে লইয়া, নিজেই যুদ্ধ করিতে আসিল। রাক্ষসেরা যত যুদ্ধ জানে, এবারে তাহার কিছুমাত্র ক্রটি করিল না। কিন্তু সে আর কতক্ষণ। রাবণের সঙ্গে ছোটখাট বীর যাহারা আসিয়াছিল তাহারা অল্প সময়ের ভিতরেই মরিয়া গেল।
{{gap}}এখন আর কে যুদ্ধ করিতে যাইবে? রাবণ ছাড়া লঙ্কায় আর বড় বীর কেহ নাই। কাজেই সে অবশিষ্ট রাক্ষসদিগকে লইয়া, নিজেই যুদ্ধ করিতে আসিল। রাক্ষসেরা যত যুদ্ধ জানে, এবারে তাহার কিছুমাত্র ত্রুটি করিল না। কিন্তু সে আর কতক্ষণ। রাবণের সঙ্গে ছোটখাট বীর যাহারা আসিয়াছিল তাহারা অল্প সময়ের ভিতরেই মরিয়া গেল।
কিন্তু রাবণ নিজে এমনি ঘোরতর যুদ্ধ করিল যে বানরেরা তাহার সামনে দাঁড়াইতে পারিল না। যুদ্ধ যাহা হইল তাহার বেশির ভাগ রাম আর লক্ষ্মণের সঙ্গে। লক্ষ্মণ রাবণের ধনুক কাটিলেন আর সারথিকেও মারিলেন। ঘোড়াগুলির জন্য তাহার কিছুকরিতে হইল না, কারণ বিভীষণ আগেই তাহদের কর্ম শেষ করিয়া রাখিয়াছিল। তাহার জন্য রাবণ বিভীষণকে শক্তি ছুড়িয়া মারে, কিন্তু লক্ষ্মণ তাহা কাটিয়া ফেলাতে বিভীষণের তাহাতে কিছু হয় নাই। তখন রাবণ আর একটা শক্তি লইল। সেটা এমনি ভয়ানক যে তাহার ভিতর হইতে ঝকঝক্‌ করিয়া আলো বাহির হইতেছে। লক্ষ্মণ দেখিলেন, বিভীষণের এবার বড়ই বিপদ। কাজেই তিনি তাহাকে বাঁচাইবার জন্য রাবণকে খুব বেশী করিয়া বাণ মারিতে লাগিলেন। তখন রাবণ কহিল, বটে বিভীষণকে বাঁচাইতে চাহিস? আচ্ছা, তবে তোকেই ইহা দিয়া মারিব।” এই বলিয়া সে সেই শক্তি লক্ষ্মণের দিকেই ছুড়িয়া মারিল। সে অস্ত্র গর্জন করিতে করিতে আসিয়া বুকে বিধিবামাত্র লক্ষ্মণ অজ্ঞান হইয়া পড়িয়া গেলেন; তাঁহার বুক হইতে তাহা বাহির করিবার জন্য বানরেরা তখনই ছুটিয়া আসিয়াছিল, কিন্তু রাবণ বাণ মারিয়া তাহাদিগকে তাহার কাছে আসিতে দিল না। তাহা দেখিয়া রাম নিজেই আসিয়া দুই হাতে সেই শক্তি টানিয়া তুলিলেন। রাবণ তাহার যতদূর সাধ্য তাঁহাকে বাণ মারিল, তিনি তাহা গ্রাহ্যও করিলেন না।

লক্ষ্মণের দুঃখে রামের বুক ফাটিয়া যাইতেছিল;কিন্তু সে দুঃখের দিকে তখন মন না দিয়া তিনি বলিলেন, লক্ষ্মণ এখন এইভাবেই থাকুক। আগে আমি এই দুষ্টকে শাস্তি দিতেছি। ” এই বলিয়া তিনি রাবণকে বাণে বাণে এমনই জব্দ করিয়া তুলিলেন যে তাহার তখন লঙ্কায় পলাইয়া যাওয়া ভিন্ন আর বঁচিবার উপায়ই রহিল না।
{{gap}}কিন্তু রাবণ নিজে এমনি ঘোরতর যুদ্ধ করিল যে বানরেরা তাহার সামনে দাঁড়াইতে পারিল না। যুদ্ধ যাহা হইল তাহার বেশির ভাগ রাম আর লক্ষ্মণের সঙ্গে। লক্ষ্মণ রাবণের ধনুক কাটিলেন আর সারথিকেও মারিলেন। ঘোড়াগুলির জন্য তাঁহার কিছু করিতে হইল না, কারণ বিভীষণ আগেই তাহাদের কর্ম শেষ করিয়া রাখিয়াছিল। তাহার জন্য রাবণ বিভীষণকে শক্তি ছুঁড়িয়া মারে, কিন্তু লক্ষ্মণ তাহা কাটিয়া ফেলাতে বিভীষণের তাহাতে কিছু হয় নাই।
রাবণ পলাইয়া গেলে পর রাম লক্ষ্মণকে লইয়া কাঁদিতে লাগিলেন। তখন সুষেণ তাঁহাকে বলিল, আপনি শান্ত হইন,লক্ষ্মণ মরেন নাই। এখনও তাঁহার বুকের কাছে ধুক্‌-ধুক্‌ করিতেছে আর চক্ষু উজ্জল রহিয়াছে।’

এইরূপে রামকে শাস্তু করিয়া সুষেণ তখনই হনুমানকে দিয়া ঔষধ আনাইল। সে ঔষধের গন্ধে লক্ষ্মণ আবার ভাল হইয়া উঠিলেন।
{{gap}}তখন রাবণ আর একটা শক্তি লইল। সেটা এমনি ভয়ানক যে তাহার ভিতর হইতে ঝক্-ঝক্ করিয়া আলো বাহির হইতেছে। লক্ষ্মণ দেখিলেন, বিভীষণের এবার বড়ই বিপদ। কাজেই তিনি তাহাকে বাঁচাইবার জন্য রাবণকে খুব বেশী করিয়া বাণ মারিতে লাগিলেন।
এদিকে রাবণ আবার আসিয়া যুদ্ধ আরম্ভ করিল। রামের সহিত তাহার ভয়ানক যুদ্ধ চলিয়াছে এমন সময় দেখা গেল যে মণি মুক্তার কাজ করা একখানি উজ্জল রথ স্বর্গ হইতে নামিয়া আসিতেছে। সেই রথের ঘোড়া ছয়টি সবুজ রঙের, তাহদের শরীরে সোনার অলঙ্কার আর গলায় মুক্তার মালা। সেই রথের সারথি মাতলি হাত যোড় করিয়া রামকে বলিল, ইন্দ্র আপনার জন্য এই রথ, ধনুক, কবচ আর অস্ত্র পাঠাইয়াছেন। এই রথে চড়িয়া আপনি রাবণকে বধ করুন। তাহ শুনিয়া রাম সেই রথে চড়িয়া যুদ্ধ করিতে লাগিলেন। সে যুদ্ধ যে কি ভয়ানক হইয়াছিল তাহ কি বলিব! রাবণ একবার ইন্দ্রের রথের নিশান

{{gap}}তখন রাবণ কহিল, ‘বটে! বিভীষণকে বাঁচাইতে চাহিস? আচ্ছ, তবে তোকেই ইহা দিয়া মারিব!’ এই বলিয়া সে সেই শক্তি লক্ষ্মণের দিকেই ছুঁড়িয়া মারিল। সে অস্ত্র গর্জন করিতে করিতে আসিয়া বুকে বিঁধিবামাত্র লক্ষ্মণ অজ্ঞান হইয়া পড়িয়া গেলেন; তাঁহার বুক হইতে তাহা বাহির করিবার জন্য বানরেরা তখনই ছুটিয়া আসিয়াছিল, কিন্তু রাবণ বাণ মারিয়া তাহাদিগকে তাঁহার কাছে আসিতে দিল না। তাহা দেখিয়া রাম নিজেই আসিয়া দুই হাতে সেই শক্তি টানিয়া তুলিলেন। রাবণ তাহার যতদূর সাধ্য তাঁহাকে বাণ মারিল, তিনি তাহা গ্রাহ্যও করিলেন না।

{{gap}}লক্ষ্মণের দুঃখে রামের বুক ফাটিয়া যাইতেছিল; কিন্তু সে দুঃখের দিকে তখন মন না দিয়া তিনি বলিলেন, ‘লক্ষ্মণ এখন এইভাবেই থাকুক। আগে আমি এই দুষ্টকে শাস্তি দিতেছি।’ এই বলিয়া তিনি রাবণকে বাণে বাণে এমনই জব্দ করিয়া তুলিলেন যে তাহার তখন লঙ্কায় পলাইয়া যাওয়া ভিন্ন আর বাঁচিবার উপায়ই রহিল না।

{{gap}}রাবণ পলাইয়া গেলে পর রাম লক্ষ্মণকে লইয়া কাঁদিতে লাগিলেন। তখন সুষেণ তাঁহাকে বলিল, ‘আপনি শান্ত হইন; লক্ষ্মণ মরেন নাই। এখনও তাঁহার বুকের কাছে ধুক্-ধুক্ করিতেছে আর চক্ষু উজ্জল রহিয়াছে।’

{{gap}}এইরূপে রামকে শান্ত করিয়া সুষেণ তখনই হনুমানকে দিয়া ঔষধ আনাইল। সে ঔষধের গন্ধে লক্ষ্মণ আবার ভাল হইয়া উঠিলেন।

{{gap}}এদিকে রাবণ আবার আসিয়া যুদ্ধ আরম্ভ করিল। রামের সহিত তাহার ভয়ানক যুদ্ধ চলিয়াছে এমন সময় দেখা গেল যে মণি মুক্তার কাজ করা একখানি উজ্জ্বল রথ স্বর্গ হইতে নামিয়া আসিতেছে। সেই রথের ঘোড়া ছয়টি সবুজ রঙের; তাহাদের শরীরে সোনার অলঙ্কার আর গলায় মুক্তার মালা। সেই রথের সারথি মাতলি হাত যোড় করিয়া রামকে বলিল, ইন্দ্র আপনার জন্য এই রথ, ধনুক, কবচ আর অস্ত্র পাঠাইয়াছে। এই রথে চড়িয়া আপনি রাবণকে বধ করুন। তাহা শুনিয়া রাম সেই রথে চড়িয়া যুদ্ধ করিতে লাগিলেন।

{{gap}}সে যুদ্ধ যে কি ভয়ানক হইয়াছিল তাহা কি বলিব। রাবণ একবার ইন্দ্রের রথের নিশান