পাতা:উপেন্দ্রকিশোর রচনাসমগ্র.djvu/১৬৭: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
Pywikibot touch edit |
|||
পাতার অবস্থা | পাতার অবস্থা | ||
- | + | মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে | |
শীর্ষক (অন্তর্ভুক্ত হবে না): | শীর্ষক (অন্তর্ভুক্ত হবে না): | ||
১ নং লাইন: | ১ নং লাইন: | ||
{{rh||ছেলেদের রামায়ণ|১৬৭}} |
|||
পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে): | পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে): | ||
১ নং লাইন: | ১ নং লাইন: | ||
⚫ | |||
ছেলেদের রামায়ণ ১৬৭ |
|||
⚫ | |||
তারপর হনুমান কুশাসনে বসিয়া রামের সকল সংবাদ ভরতকে শুনাইয়া, শেষে বলিল, |
{{gap}}তারপর হনুমান কুশাসনে বসিয়া রামের সকল সংবাদ ভরতকে শুনাইয়া, শেষে বলিল, ‘তিনি এখন ভরদ্বাজের আশ্রমে আছেন। কাল এইখানে আসিবেন।’ |
||
আজ যদি পৃথিবীতে সুখী কেহ থাকে, তবে সে এই অযোধ্যার লোক। সুখী কেন হইবে না? চৌদ্দ বৎসর ধরিয়া যে রামের দুঃখে তাহারা চক্ষের জল ফেলিয়াছে ভাল করিয়া খায় নাই, ভাল কাপড় পরে নাই, সেই রাম এতদিনে দেশে ফিরিতেছেন। তাই আজ সকলে পথঘাট পরিষ্কার করিয়া, বাড়ি ঘর সাজাইয়া, নিশান উড়াইয়া, বাজনা বাজাইয়া রামকে দেখিতে চলিল। |
{{gap}}আজ যদি পৃথিবীতে সুখী কেহ থাকে, তবে সে এই অযোধ্যার লোক। সুখী কেন হইবে না? চৌদ্দ বৎসর ধরিয়া যে রামের দুঃখে তাহারা চক্ষের জল ফেলিয়াছে ভাল করিয়া খায় নাই, ভাল কাপড় পরে নাই, সেই রাম এতদিনে দেশে ফিরিতেছেন। তাই আজ সকলে পথঘাট পরিষ্কার করিয়া, বাড়ি ঘর সাজাইয়া, নিশান উড়াইয়া, বাজনা বাজাইয়া রামকে দেখিতে চলিল। পাল্কি চড়িয়া রাণীরা চলিলেন, ব্রাহ্মণ প্রভৃতিকে সঙ্গে লইয়া ভরত চলিলেন—তাঁহার মাথায় রামের সেই খড়মজোড়া। |
||
⚫ | |||
⚫ | তারপর ক্ষুর হাতে |
||
{{gap}}যেই রামের রথ দেখা গেল, অমনি সকলে ‘ঐ রাম!’ শব্দে আকাশ ফাটাইয়া দিল। |
|||
⚫ | |||
⚫ | যত ভাল ভাল তীর্থ আছে |
||
{{gap}}তখন যে সকলের মনে খুবই আনন্দ হইয়াছিল, তাহাতে আর সন্দেহ কি? আর, সকলেই তখন যে রামকে প্রাণ ভরিয়া আদর করিবার জন্য ব্যস্ত হইবে, তাহাও আশ্চর্য নহে। যাহারা তাঁহার চেয়ে ছোট, তাহারা তাঁহাকে প্রণাম করিয়া আশীর্বাদ লইল। রামও মা কৌশল্যা আর অন্যান্য রাণীদিগকে আর বশিষ্ঠ প্রভৃতি গুরুজনকে প্রণাম করিলেন। |
|||
⚫ | |||
বলিতে হইলে লোকে বলে, “রামের মতন রাজা!" |
|||
⚫ | |||
⚫ | {{gap}}তারপর ক্ষুর হাতে ভাল ওস্তাদ নাপিতেরা আসিয়া রামের চৌদ্দ বছরের জটা চাঁছিয়া পরিষ্কার করিল। শত্রুঘ্ন রাম লক্ষ্মণকে স্নান করাইয়া নিজ হাতে তাঁহাদিগকে সাজাইয়া দিলেন। সুগ্রীব, বিভীষণ প্রভৃতি আর যত লোক সঙ্গে আসিয়াছিল, কাহারও আদর যত্নের কোন ত্রুটি হইল না। নিজে মা কৌশল্যা যখন বানরের মেয়েদিগকে সাজাইলেন তখন কিরূপ আদর-যত্ন হইল বুঝিতেই পার। |
||
⚫ | |||
⚫ | {{gap}}যত ভাল ভাল তীর্থ আছে সকল তীর্থের জল দিয়া রামকে স্নান করানো হইল। স্নানের পর রাম রাজবেশে রত্নের পিঁড়িতে সভা আলো করিয়া বসিলেন। তাঁহার মাথায় সেই মনুর সময় অবধি যাহা অযোধ্যার রাজারা মাথায় দিয়া আসিতেছে, সেই আশ্চর্য মুকুট। দুই পাশে সাদা চামর হাতে সুগ্রীব আর বিভীষণ; পিছনে সাদা ছাতাখানি লইয়া শত্রুঘ্ন। তখন ইন্দ্রের হুকুমে পবন আসিয়া তাঁহার গলায় স্বর্গের সোনার পদ্মের মালা আর আশ্চর্য মোতির হার পরাইয়া দিলেন। |
||
⚫ | |||
{{nop}} |