পাতা:সিরাজদ্দৌলা - অক্ষয়কুমার মৈত্রেয়.pdf/১৪২: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বট পরিষ্কার করছে, কোন সমস্যা?
বট পরিষ্কার করছে, কোন সমস্যা?
পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
{{gap}}আরমানী বণিকদিগের মধ্যে খোজা বাজিদের নাম নানা কারণে বাঙ্গালার ইতিহাসে স্থানলাভ করিয়াছে। তিনি লবণের ব্যবসায়ে একাধিপত্য লাভ করিয়া পদগগৗরবে সকলের নিকটেই সম্মানাস্পদ হইয়া উঠিয়াছিলেন; এবং তজ্জন্য নবাব-দরবার হইতে “ফখরু-অল-তোজ্জার” অর্থাৎ ‘বণিকগৌরব” উপাধি লাভ করিয়া এ দেশে যথেষ্ট ক্ষমতাশালী হইয়াছিলেন।
{{gap}}আরমানী বণিকদিগের মধ্যে খোজা বাজিদের নাম নানা কারণে বাঙ্গালার ইতিহাসে স্থানলাভ করিয়াছে। তিনি লবণের ব্যবসায়ে একাধিপত্য লাভ করিয়া পদগগৗরবে সকলের নিকটেই সম্মানাস্পদ হইয়া উঠিয়াছিলেন; এবং তজ্জন্য নবাব-দরবার হইতে “ফখরু-অল-তোজ্জার” অর্থাৎ ‘বণিকগৌরব” উপাধি লাভ করিয়া এ দেশে যথেষ্ট ক্ষমতাশালী হইয়াছিলেন।


{{gap}}হিন্দু বণিকদিগের মধ্যে উমাচরণের নাম ‘উমিচাঁদ” বলিয়া ইংরাজলিখিত ইতিহাসমাত্রেই চিরপরিচিত হইয়া রহিয়াছে। <ref>উমিচাঁদ বিকৃত নাম। পুরাতনগ্রন্থে আমিরাচাঁদ ও আমিসচাঁদ নাম এবং হস্টারের এ উমাচরণ নাম দেখা গিয়াছে। নবাবী আমলের বালার ইতিহাসে অমিচার নাম পরিগৃহীত হইয়াছে। এরূপ ক্ষেত্রে সহ প্রচলিত উমিচাঁদ নাম বিকৃত হলেও গ্রহণ করা ভাল।</ref>ইংরাজেরা ইহাকে ধূর্ত্ততার প্রতিমূর্ত্তি বলিয়া লোকসমাজে প্রতিপন্ন করিবার জন্য। যথেষ্ট আয়াস স্বীকার করিয়া গিয়াছেন; এবং সুললিত-পদবিন্যাসনিপুণ লর্ড মেকলে আবার বর্ণনাটি সর্বাঙ্গসুন্দর করিবার জন্য তাহাকে ‘ধূর্ত্ত বাঙ্গালী” বলিয়া পরিচয় দিতেও ইতস্ততঃ করেন নাই। উমিচাঁদ বাঙ্গালী ছিলেন না। তিনি পশ্চিমাঞ্চলের হিন্দুবণিক, কেবল বাঙ্গালা বিহারে বাণিজ্য করিবার জন্যই বাঙ্গালা দেশে বাস করিতেন। উমিচাঁদকে ‘বণিক” বলিয়া পরিচয় দিলে, সম্পূর্ণ পরিচয় দেওয়া হয় না। তাহার শত-সৌধ-বিভূষিত, বিচিত্র রাজপুরী, তাহার কুসুমধামসজ্জিত সুবিখ্যাত পুপোদ্যান, তাঁহার মণিমাণিক্যখচিত ব্রজভাণ্ডার, তাহার সশস্ত্র সৈনিক-বেষ্টিত সুগঠিত সিংহদ্বার দেখিয়া, অন্যের কথা দূরে, থাকুক, ইংরাজেরাও তাঁহাকে একজন রাজা বলিয়াই মনে করি-
{{gap}}হিন্দু বণিকদিগের মধ্যে উমাচরণের নাম ‘উমিচাঁদ” বলিয়া ইংরাজলিখিত ইতিহাসমাত্রেই চিরপরিচিত হইয়া রহিয়াছে।<ref>উমিচাঁদ বিকৃত নাম। পুরাতনগ্রন্থে আমিরাচাঁদ ও আমিসচাঁদ নাম এবং হস্টারের এ উমাচরণ নাম দেখা গিয়াছে। নবাবী আমলের বালার ইতিহাসে অমিচার নাম পরিগৃহীত হইয়াছে। এরূপ ক্ষেত্রে সহ প্রচলিত উমিচাঁদ নাম বিকৃত হলেও গ্রহণ করা ভাল।</ref>ইংরাজেরা ইহাকে ধূর্ত্ততার প্রতিমূর্ত্তি বলিয়া লোকসমাজে প্রতিপন্ন করিবার জন্য। যথেষ্ট আয়াস স্বীকার করিয়া গিয়াছেন; এবং সুললিত-পদবিন্যাসনিপুণ লর্ড মেকলে আবার বর্ণনাটি সর্বাঙ্গসুন্দর করিবার জন্য তাহাকে ‘ধূর্ত্ত বাঙ্গালী” বলিয়া পরিচয় দিতেও ইতস্ততঃ করেন নাই। উমিচাঁদ বাঙ্গালী ছিলেন না। তিনি পশ্চিমাঞ্চলের হিন্দুবণিক, কেবল বাঙ্গালা বিহারে বাণিজ্য করিবার জন্যই বাঙ্গালা দেশে বাস করিতেন। উমিচাঁদকে ‘বণিক” বলিয়া পরিচয় দিলে, সম্পূর্ণ পরিচয় দেওয়া হয় না। তাহার শত-সৌধ-বিভূষিত, বিচিত্র রাজপুরী, তাহার কুসুমধামসজ্জিত সুবিখ্যাত পুপোদ্যান, তাঁহার মণিমাণিক্যখচিত ব্রজভাণ্ডার, তাহার সশস্ত্র সৈনিক-বেষ্টিত সুগঠিত সিংহদ্বার দেখিয়া, অন্যের কথা দূরে, থাকুক, ইংরাজেরাও তাঁহাকে একজন রাজা বলিয়াই মনে করি-