পাতা:মুর্শিদাবাদ কাহিনী.djvu/৪০: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
Bodhisattwa (আলোচনা | অবদান) |
|||
পাতার অবস্থা | পাতার অবস্থা | ||
- | + | মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে | |
পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে): | পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে): | ||
১ নং লাইন: | ১ নং লাইন: | ||
পদ লাভ করেন। তিনি জগৎশেঠ ফতেচাঁদ, প্রধান মন্ত্রী হাজী আহম্মদ ও রায়রায়ান আলমচাঁদের পরামর্শানুসারে সমস্ত রাজকার্য নির্বাহ করিতেন। শেঠেরা বাঙ্গলার রাজস্ববিভাগের পোদ্দারী পদে নিযুক্ত থাকায়, সুজা উদ্দীন ফতেচাঁদের দ্বারা ১ কোটি ৫o লক্ষ টাকার রাজস্ব দিল্লীতে প্রেরণ করেন।<ref>Riyaz-us-salatin, p. 290.</ref> যতদিন সুজা উদ্দীন জীবিত ছিলেন, ততদিন ফতেচাঁদের পরামর্শ ব্যতীত কোন |
পদ লাভ করেন। তিনি জগৎশেঠ ফতেচাঁদ, প্রধান মন্ত্রী হাজী আহম্মদ ও রায়রায়ান আলমচাঁদের পরামর্শানুসারে সমস্ত রাজকার্য নির্বাহ করিতেন। শেঠেরা বাঙ্গলার রাজস্ববিভাগের পোদ্দারী পদে নিযুক্ত থাকায়, সুজা উদ্দীন ফতেচাঁদের দ্বারা ১ কোটি ৫o লক্ষ টাকার রাজস্ব দিল্লীতে প্রেরণ করেন।<ref>{{smaller|Riyaz-us-salatin, p. 290.}}</ref> যতদিন সুজা উদ্দীন জীবিত ছিলেন, ততদিন ফতেচাঁদের পরামর্শ ব্যতীত কোন কার্যই করেন নাই। তিনি মৃত্যুকালে স্বীয় পুত্র সরফরাজ খাঁকে জগৎশেঠ ও রায়রায়ানের পরামর্শ গ্রহণ করিয়া যাবতীয় রাজকার্য পরিচালনের উপদেশ দিয়া যান। |
||
{{gap}}সরফরাজ ১৭৩৯ খ্রীঃ অব্দে মুর্শিদাবাদের |
{{gap}}সরফরাজ ১৭৩৯ খ্রীঃ অব্দে মুর্শিদাবাদের মস নদে উপবিষ্ট হন। তিনি অত্যন্ত অস্থিরচিত্ত ও ইন্দ্রিয়াসক্ত হওয়ায়, জগৎশেঠ বা রায়রায়ানের পরামর্শ গ্রহণ করিতেন না। অধিকন্তু তাঁহাদিগকে অবজ্ঞা করিয়া সময়ে সময়ে অবমানিত করিতে চেষ্টা পাইতেন। সুজা উদ্দীনের সময় হইতে হাজী মহম্মদ প্রধান মন্ত্রীর ও তাঁহার ভ্রাতা আলিবর্দী খা ঁআজিমাবাদের শাসনকর্তার পদে নিযুক্ত ছিলেন। সকলে অবমানিত হওয়ায়, হাজী আহম্মদ, আলমচাঁদ ও জগৎশেঠ পরামর্শ করিয়া, সরফরাজের পরিবর্তে আলিবর্দীকে সিংহাসন প্রদানের চেষ্টা করিয়াছিলেন। তাঁহাদের পরামর্শ অবশেষে কার্যেও পরিণত হয়। |
||
{{gap}} |
{{gap}}শেঠবংশীয়েরা ফতেচাঁদের সহিত নবাব সরফরাজের মনোবিবাদের এইরূপ কারণ নির্দেশ করিয়া থাকেন। মুর্শিদকুলী খাঁর মৃত্যুসময়ে শেঠদিগের নিকট তাঁহার নিজের যে ৭ কোটি টাকা গচ্ছিত ছিল, এ পর্যন্ত তাহা প্রত্যর্পিত না হওয়ায়, সরফরাজ ফতেচাঁদকে অত্যন্ত পীড়াপীড়ি করিতে থাকেন; এমন কি, তাঁহার প্রতি অপমানসূচক বাক্য পর্যন্ত প্রয়োগ করিয়াছিলেন। তজ্জন্য সেই বৃদ্ধ জগৎশেঠ দুর্মতি নবাবকে পদচ্যুত করিতে কৃতসঙ্কম্প হন। কিন্তু ইংরেজ ঐতিহাসিকগণ এই বিবাদের অন্য কারণ নির্দেশ করেন। তাঁহারা বলেন যে, বৃদ্ধ ফতেচাঁদ স্বীয় পৌত্র মহাতপ রায়ের<ref>{{smaller|অর্মে ফতেচাঁদের পুত্র বলিয়া উল্লেখ করিয়াছেন। কিন্তু হলওয়েলের গ্রন্থে ফতেচাঁদের পৌত্র মহাতপ রায়ের বিবাহের কথাই আছে।}}</ref> সহিত একটি কিঞ্চিন্ন্যূন একাদশবর্ষীয়া বালিকার পরিণয় প্রদান করিয়াছিলেন। তাহার ন্যায় রূপবতী কন্যা তৎকালে এতদঞ্চলে দৃষ্ট হইত না। বালিকাবয়সেও তাহার রূপের ছটা জোৎস্নালহরীর ন্যায় ক্রীড়া করিয়া বেড়াইত। তাহার সৌন্দর্যের কথা সরফরাজের কর্ণগোচর হওয়ায়, তিনি কৌতুহল-পরবশ হইয়া সেই বালিকাকে দেখিবার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। নবাব প্রথমতঃ, জগৎশেঠকে তজ্জন্য অনুরোধ করিয়া পাঠান। নবাবের অনুরোধ শুনিয়া, সেই অশীতিপর বৃদ্ধের মস্তকে যেন অশনিপাত হইল। তিনি নবাবকে বিরত হইতে বিশেষ করিয়া অনুরোধ করিলেন। এরূপ করিলে, তাঁহার বংশে কলঙ্ক ঘটিবে ও তাঁহাকে জাত্যাংশে হেয় হইতে হইবে |