পাতা:নেতাজী সুভাষ চন্দ্র - হেমেন্দ্রবিজয় সেন.pdf/১০: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

(কোনও পার্থক্য নেই)

০৬:৪৯, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২১ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
নেতাজী সুভাষচন্দ্র

বাংলাদেশ ত্যাগ করিয়া সুদূর কটকে ব্যবহারাজীবের কার্য্যে যােগদান করেন। এই স্থানে ভাগ্যলক্ষ্মীর অপার করুণা তাঁহার উপর বর্ষিত হইতে থাকে। ধীরে-ধীরে তিনি স্থানীয় উকিলগণের শীর্ষস্থান অধিকার করিয়া বার-লাইব্রেরীর নেতৃত্ব এবং গভর্নমেন্ট প্লীডারের পদ পর্য্যন্ত লাভ করিয়াছিলেন। তাঁহার কার্য্যে সন্তুষ্ট হইয়া গভর্নমেন্ট তাহাকে “রায় বাহাদুর” উপাধি দ্বারা সমলংকৃত করেন।

 জানকীনাথ নিজে যেরূপ বিদ্বান্ ও বিদ্যোৎসাহী ছিলেন, তিনি স্বীয় পুত্রগণকেও অনুরূপভাবে শিক্ষিত করিবার প্রয়াস পান। ব্যবহারাজীবের কার্য্যে উপার্জ্জিত বিপুল অর্থ তিনি পুত্রগণের সুশিক্ষার জন্য অকাতরে ব্যয় করিয়াছেন। তাঁহার আটটি পুত্র এবং ছয়টি কন্যার মধ্যে দুইটি পুত্র এবং চারিটি কন্যা পূর্ব্বেই পরলােক গমন করিয়াছেন; অবশিষ্ট ছয়টি পুত্রের নাম—সতীশচন্দ্র, শরৎচন্দ্র, সুধীরচন্দ্র, সুরেশচন্দ্র, সুনীলচন্দ্র এবং সুভাষচন্দ্র।

 জানকীনাথ পুত্রগণের প্রত্যেককে শিক্ষাদানের জন্য ইয়ােরোপে পাঠাইতে দ্বিধা বােধ করেন নাই; কারণ, তিনি বুঝিয়াছিলেন,-পাশ্চাত্ত্য শিল্প, বিজ্ঞান ও শিক্ষা আয়ত্ত করিতে না পারিলে, এবং যে সমস্ত জাতি বর্ত্তমান জগতে প্রভাব বিস্তার করিয়া বড় হইয়াছে তাহাদের সংস্পর্শে না আসিলে, জগতের বুকে মানুষের মত দাঁড়ান সম্ভব নহে।

 জানকীনাথের ইচ্ছা আজ পরিপূর্ণ হইয়াছে—তাঁহার সকল পুত্রই কৃতবিদ্য; তম্মধ্যে দুই পুত্র—সুভাষচন্দ্র ও শরৎচন্দ্রের