পাতা:নেতাজী সুভাষ চন্দ্র - হেমেন্দ্রবিজয় সেন.pdf/১১: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

(কোনও পার্থক্য নেই)

০৬:৫৮, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২১ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
নেতাজী সুভাষচন্দ্র

যশােরশ্মি সূর্য্য ও পূর্ণচন্দ্রের মত ভাৱতাকাশ চির-দীপ্তিতে সমুদ্ভাসিত রাখিবে।

 জানকীনাথ নিজে অত্যন্ত তেজস্বী ছিলেন। গভর্ণমেন্ট প্লীডার এবং গভর্ণমেন্টের উপাধিধারী হইলেও তিনি কোন দিন গভর্ণমেন্টের অন্যায় কার্য্য সমর্থন করিতে পারেন নাই। আইন-অমান্য আন্দোলনের সময় গভর্ণমেন্ট যখন প্রচণ্ডভাবে দমন-নীতির প্রয়ােগ করিতে আরম্ভ করিয়াছিলেন, তখন তেজস্বী জানকীনাথ গভর্ণমেন্টের এই কার্য্যের প্রতিবাদ-স্বরূপ “রায় বাহাদুর” উপাধি বর্জ্জন করিতেও কুণ্ঠা বােধ করেন নাই। পিতার এই তেজস্বিতা এবং স্বাধীনচিত্ততা পুত্র সুভাষচন্দ্রের মধ্যে পূর্ণভাবে সংক্রমিত হইয়াছিল।

 জানকীনাথ পঁচাত্তর বৎসর বয়সে পরলােক গমন করেন। সুভাষচন্দ্রের জননী প্রভাবতী সর্ব্বাংশে স্বামীর অনুরূপ ছিলেন। তাঁহার অসামান্য দয়া, মায়া, স্নেহ প্রভৃতি চারিত্রিক সদ্‌গুণরাজি তাঁহার পুত্র-কন্যাগণের—বিশেষতঃ সুভাষচন্দ্রের মধ্যে সমুজ্জ্বলভাবে বিকশিত হইয়া উঠিয়াছিল।

 তিনি আদর্শ হিন্দু রমণী ছিলেন; কিন্তু সুশিক্ষার জন্য পুত্র-কন্যাগণের ইয়ােরােপ গমনে কখনও বাধা প্রদান করেন নাই। দীন-দরিদ্রের দুঃখ-দুর্দ্দশা দর্শনে তাঁহার হৃদয় বিগলিত হইত এবং তিনি সর্ব্বদাই মুক্তহস্তে তাহাদের দুঃখ-মােচনে নিরত থাকিতেন। পরবর্ত্তীকালে বিভিন্ন কর্ম্মক্ষেত্রে মাতার এই পরদুঃখ-কাতরতাও সুভাষচন্দ্রের মধ্যে আত্ম-বিকাশ করিয়াছিল।