পাতা:নেতাজী সুভাষ চন্দ্র - হেমেন্দ্রবিজয় সেন.pdf/১৬: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

→‎মুদ্রণ সংশোধন করা হয়নি: "{{gap}}গুরুর এই দুইটি সদ্গুণ—কামল ও কঠোরের অপূৰ্ব্ব সংমিশ্র..." দিয়ে পাতা তৈরি
(কোনও পার্থক্য নেই)

০৭:২১, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২১ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
নেতাজী সুভাষচন্দ্র

 গুরুর এই দুইটি সদ্গুণ—কামল ও কঠোরের অপূৰ্ব্ব সংমিশ্রণশিষ্য সুভাষচন্দ্রে সম্পূর্ণরূপে প্রতিফলিত হইয়াছিল । মহাকবি ভবভূতির ভাষায় বলা যায়, তিনি ছিলেন--

“বাপি কঠোরাণি মৃদুনি কুসুমাপি।
লােকোত্তরাণাং চেতাংসি কোহি বিজ্ঞাতুমীশ্বরঃ।”

 ১৯১৩ খৃষ্টাব্দে সুভাষচন্দ্র কটক ঝাভেশা কলেজিয়েট স্কুল হইতে ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষা প্রদান করেন। এই পরীক্ষায় তিনি কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করিয়া বৃত্তি লাভ করেন। এইবার মহানদীর তীর হইতে বাসভূমি জাহ্নবীর তীরে পরিবর্তিত হইল—কটক ত্যাগ করিয়া তিনি বিদ্যাশিক্ষাৰ্থ কলিকাতা আগমন করিলেন এবং প্রেসিডেন্সী কলেজে ভর্তি হইলেন।

 প্রেসিডেন্সী কলেজে আই. এ. পড়িবার সময় স্বামী বিবেকানন্দের ন্যায় তিনিও তাহার বুকের মাঝে কি এক নিদারুণ অশান্তি ও অতৃপ্তি অনুভব করিতে লাগিলেন! কন্টক-শষ্যায় সঁহার ভবিষ্যৎ বিশ্রাম, তিনি কি কখনও ধনীর দুলালের ন্যায় তৃপ্তি লাভ করিতে পারেন? শীঘ্রই তাহার মনােজগতে এক ধৰ্ম্মভাবের প্রাবল্য উপস্থিত হইল। বাহ্যজগতে পার্থিব বিষয়ে উন্নতি অপেক্ষা আত্মার মুক্তি উজ্জ্বলতর হইয়া ফুটিয়া উঠিল। গৃহে বাস ভঁহার নিকট বন্ধনরূপে দেখা দিল।

 যে রহস্য মীমাংসার জন্য বুদ্ধদেব একদিন রাজ্যৈখৰ্য্য ত্যাগ করিয়া ভিক্ষু সাজিয়াছিলেন, যে ভূমানন্দের প্রত্যাশায়