পাতা:টোকিও বেতার বক্তৃতা - সুভাষচন্দ্র বসু.ogg: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
|||
পাতার অবস্থা | পাতার অবস্থা | ||
- | + | মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে | |
পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে): | পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে): | ||
১৯ নং লাইন: | ১৯ নং লাইন: | ||
{{gap}}আজ আমি ভারতের সীমান্ত হইতে বেশি দূরে নই। আপনারা জানেন যে ১৯৪১ সালের জানুয়ারি মাস হইতে আজ পর্যন্ত আমার গতিবিধি কেহ রোধ করিতে পারে নাই। অতএব আমি যেদিন ভারতের সীমান্ত পুনরায় অতিক্রম করিয়া দেশে ফিরিব এবং স্বাধীনতা-সংগ্রামের শেষ অধ্যায়ে যোগদান করিব, সেদিনও কোন পার্থিব শক্তি আমার পথ রোধ করিতে পারিবে না। |
{{gap}}আজ আমি ভারতের সীমান্ত হইতে বেশি দূরে নই। আপনারা জানেন যে ১৯৪১ সালের জানুয়ারি মাস হইতে আজ পর্যন্ত আমার গতিবিধি কেহ রোধ করিতে পারে নাই। অতএব আমি যেদিন ভারতের সীমান্ত পুনরায় অতিক্রম করিয়া দেশে ফিরিব এবং স্বাধীনতা-সংগ্রামের শেষ অধ্যায়ে যোগদান করিব, সেদিনও কোন পার্থিব শক্তি আমার পথ রোধ করিতে পারিবে না। |
||
{{gap}}স্বদেশবাসী বন্ধুগণ, পরিশেষে যে সব সাথী আজ অন্তরীণের অথবা কারাবাসের লাঞ্ছনা ও নির্যাতন ভোগ করিতেছেন, আপনাদের মারফত দিয়া আমি তাঁহাদের নিকট আমার সাদর অভিনন্দন ও প্রীতিপূর্ণ শুভ ইচ্ছা প্রেরণ করিতে চাই। তাঁহারা যেন মনের উৎসাহ, আনন্দ, বুদ্ধি না হারান, তাঁহাদের গিয়া বলুন যে মাতৃভূমির সম্মান ও মর্যাদা তাঁহারাই রক্ষা করিয়াছেন। তাঁহাদের লাঞ্ছনা ও নির্যাতন পৃথিবীকে জানাইয়া দিয়াছে যে পরাধীন ভারতবাসী আজ ইংরাজের সহিত সংগ্রামে নিরত। আমরা যাহারা আজ ভারতের বাহিরে কাজ করিতেছি, আমরা তাঁহাদের গর্বে গর্বিত। প্রতিদিন তাঁহাদের কথা আমরা চিন্তা করি এবং তাঁহাদের উদ্দেশ্যে প্রীতি ও শ্রদ্ধার অঞ্জলি নিবেদন করি। আবার তাঁহাদের নিকট গিয়া বলুন যে তাঁহাদের এই |
{{gap}}স্বদেশবাসী বন্ধুগণ, পরিশেষে যে সব সাথী আজ অন্তরীণের অথবা কারাবাসের লাঞ্ছনা ও নির্যাতন ভোগ করিতেছেন, আপনাদের মারফত দিয়া আমি তাঁহাদের নিকট আমার সাদর অভিনন্দন ও প্রীতিপূর্ণ শুভ ইচ্ছা প্রেরণ করিতে চাই। তাঁহারা যেন মনের উৎসাহ, আনন্দ, বুদ্ধি না হারান, তাঁহাদের গিয়া বলুন যে মাতৃভূমির সম্মান ও মর্যাদা তাঁহারাই রক্ষা করিয়াছেন। তাঁহাদের লাঞ্ছনা ও নির্যাতন পৃথিবীকে জানাইয়া দিয়াছে যে পরাধীন ভারতবাসী আজ ইংরাজের সহিত সংগ্রামে নিরত। আমরা যাহারা আজ ভারতের বাহিরে কাজ করিতেছি, আমরা তাঁহাদের গর্বে গর্বিত। প্রতিদিন তাঁহাদের কথা আমরা চিন্তা করি এবং তাঁহাদের উদ্দেশ্যে প্রীতি ও শ্রদ্ধার অঞ্জলি নিবেদন করি। আবার তাঁহাদের নিকট গিয়া বলুন যে তাঁহাদের এই বিরাট দুঃখ ও ত্যাগ কখনও ব্যর্থ হইতে পারে না। ভারত পুনরায় স্বাধীন হইবেই হইবে। এবং স্বাধীনতার সূর্য উদয়ের খুব বেশি বিলম্বও নাই। স্বাধীন ভারতে সকল কারাগারের লৌহকবাট উন্মুক্ত হইবে এবং ভারতমাতার শ্রেষ্ঠ সন্তানেরা তখন কারাপ্রকোষ্ঠের অন্ধকার হইতে মুক্তি ও আনন্দের নির্মল আলোকে বাহির হইয়া জয়মাল্যে ভূষিত হইবেন। |
||
ইনক্লাব জিন্দাবাদ! আজাদ হিন্দ জিন্দাবাদ! |
ইনক্লাব জিন্দাবাদ! আজাদ হিন্দ জিন্দাবাদ! |
||
{{nop}} |