পাতা:ত্রৈলোক্যনাথ রচনাসংগ্রহ.djvu/২৯: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বট পরিষ্কার করছে, কোন সমস্যা?
বট পরিষ্কার করছে, কোন সমস্যা?
পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
{{gap}}খেতুর মা বলিলেন,— “আহা! কি সুন্দর মেয়েটি বোন! যেমন মুখ, তেমনি চুল, তেমনি রং।"
{{gap}}খেতুর মা বলিলেন,— “আহা! কি সুন্দর মেয়েটি বোন! যেমন মুখ, তেমনি চুল, তেমনি রং।”


{{gap}}তনু রায়ের স্ত্রী বলিলেন,— “হাঁ! সকলেই বলে, এ কন্যাটি তোমার গর্ভের সুন্দর। তা দিদি! এ পোড়া পেটে কেন যে এরা আসে? মেয়ে হইলে ঘরের মানুষটি আহ্লাদে আটখানা হন; কিন্তু আমার মনে হয় যে, আঁতুর ঘরেই মুখে লুণ দিয়া মারি। গ্রীষ্মকালে একাদশীর দিন, মেয়ে দুইটির যখন মুখ শুকাইয়া যায়, যখন একটু জলের জন্য বাছাদের প্রাণ টা-টা করে, বল দেখি, দিদি! মার প্রাণ তখন কিরূপ হয়? পোড়া নিয়ম! যে এ নিয়ম করিয়াছে, তাহাকে যদি একবার দেখিতে পাই, তো ঝাঁটাপেটা করি। মুখপোড়া যদি একটু জল খাবারও বিধান দিত, তাহা হইলে কিছু বলিতাম না!”
{{gap}}তনু রায়ের স্ত্রী বলিলেন,— “হাঁ! সকলেই বলে, এ কন্যাটি তোমার গর্ভের সুন্দর। তা দিদি! এ পোড়া পেটে কেন যে এরা আসে? মেয়ে হইলে ঘরের মানুষটি আহ্লাদে আটখানা হন; কিন্তু আমার মনে হয় যে, আঁতুর ঘরেই মুখে লুণ দিয়া মারি। গ্রীষ্মকালে একাদশীর দিন, মেয়ে দুইটির যখন মুখ শুকাইয়া যায়, যখন একটু জলের জন্য বাছাদের প্রাণ টা-টা করে, বল দেখি, দিদি! মার প্রাণ তখন কিরূপ হয়? পোড়া নিয়ম! যে এ নিয়ম করিয়াছে, তাহাকে যদি একবার দেখিতে পাই, তো ঝাঁটাপেটা করি। মুখপোড়া যদি একটু জল খাবারও বিধান দিত, তাহা হইলে কিছু বলিতাম না!”
১১ নং লাইন: ১১ নং লাইন:
{{gap}}খেতুর মা উত্তর করিলেন,— “চুপ কর বোন! ছিঃ। ছিঃ! ও কথা মুখে আনিও না! বিদ্যাসাগরের কথা শুনিয়া সাহেবরা যদি বলেন যে, দেশে আর বিধবা থাকিতে পারে না, সকলেই বিবাহ করিতে হইবে, ছি ছি! ও মা! কি ঘৃণার কথা! এই বৃদ্ধ বয়সে তাহা হইলে যাব কোথা? কাজেই তখন গলায় দড়ি দিয়া কি জলে ডুবিয়া মরিতে হইবে!”
{{gap}}খেতুর মা উত্তর করিলেন,— “চুপ কর বোন! ছিঃ। ছিঃ! ও কথা মুখে আনিও না! বিদ্যাসাগরের কথা শুনিয়া সাহেবরা যদি বলেন যে, দেশে আর বিধবা থাকিতে পারে না, সকলেই বিবাহ করিতে হইবে, ছি ছি! ও মা! কি ঘৃণার কথা! এই বৃদ্ধ বয়সে তাহা হইলে যাব কোথা? কাজেই তখন গলায় দড়ি দিয়া কি জলে ডুবিয়া মরিতে হইবে!”


{{gap}}তনু রায়ের স্ত্রী হাসিয়া বলিলেন,— “দিল্লি তুমি কলিকাতায় ছিলে, কিন্তু তুমি কিছু জান না। বিদ্যাসাগর মহাশয় বুড়োহাবড়া সকলেই ধরিয়া বিবাহ দিতে চান নাই। অতি অল্পবয়সে যাহারা বিধবা হয়, কেবল সেই বালিকাদিগের বিবাহের কথা তিনি বলিয়া ছিলেন। তাও যাহার ইচ্ছা হবে, সে দিবে; যাহার ইচ্ছা না হবে, না দিবে।"
{{gap}}তনু রায়ের স্ত্রী হাসিয়া বলিলেন,— “দিল্লি তুমি কলিকাতায় ছিলে, কিন্তু তুমি কিছু জান না। বিদ্যাসাগর মহাশয় বুড়োহাবড়া সকলেই ধরিয়া বিবাহ দিতে চান নাই। অতি অল্পবয়সে যাহারা বিধবা হয়, কেবল সেই বালিকাদিগের বিবাহের কথা তিনি বলিয়া ছিলেন। তাও যাহার ইচ্ছা হবে, সে দিবে; যাহার ইচ্ছা না হবে, না দিবে।”


{{gap}}খেতুর মা বলিলেন,— “কি জানি, ভাই। আমি অতশত জানি না।”
{{gap}}খেতুর মা বলিলেন,— “কি জানি, ভাই। আমি অতশত জানি না।”