পাতা:হেক্‌টর বধ - মাইকেল মধুসূদন দত্ত.pdf/৬৭: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

Sumasa (আলোচনা | অবদান)
 
বট পরিষ্কার করছে, কোন সমস্যা?
 
পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
এ অপবিত্র রক্তাক্ত হস্ত দিয়া পাত্রগ্রহণ করতঃ দেবেন্দ্রের তর্পণার্থে সুরা ঢালিয়া দি, ইহা কোন মতেই যুক্তিযুক্ত নহে। এই উদ্দেশেই নগর প্রবেশ করি নাই। আমি তোমার নিকট এই যাচ্ঞা করিতেছি, যে তুমি, হে রাজমাতঃ, অবিলম্বে ট্রয়স্থ বৃদ্ধা অতি মাননীয়া কুলবধূদলের সহিত দুর্গশিরস্থ সুকেশিনী মহাদেবী আথেনীর মন্দিরে গিয়া নানাবিধ উপহারে দেবীর পূজা করিয়া এই বর প্রার্থনা কর, যে তিনি যেন রণদুর্ম্মদ দ্যোমিদের পরিক্রমাগ্নি হইতে আমাদিগকে রক্ষা করেন। আমি ইত্যবসরে একবার স্কন্দরের সুন্দর মন্দিরে যাই, দেখি, যদি সে ভীরু কাপুরুষের হৃদয়ে রণপ্রবৃত্তি জন্মাইতে পারি, হায়, মাতঃ! তুমি যখন এ কুলাঙ্গারকে প্রসব করিয়াছিলে তখন বসুমতী দ্বিধা হইয়া কেন তাহাকে গ্রাস করেন নাই। তাহা হইলে কখনই এ বিপুল রাজকুলের এতাদৃশী দুর্গতি ঘটিত না। রাজ কুলতিলক এই কহিলে, দেবী হেকাবী দ্রুতগতিতে আপন সুগন্ধময় মন্দির হইতে বহুবিধ পূজোপহারের আয়োজন করিলেন। এবং দূতীদ্বারা বৃদ্ধা ও মান্যা কুলবতীদলকে আহ্বান করতঃ মহাদেবীর মন্দিরাভিমুখে চলিলেন। তেয়ানীনাম্নী কিসীশনামক কোন এক মাননীয় ব্যক্তির ইক্ষুনিভাননা দুহিতা, যিনি মহাদেবীর নিত্য সেবিকা ছিলেন, মন্দির-দ্বার উদ্‌ঘাটন করিলে রমণীদল ক্রন্দনধ্বনিতে মন্দির পরিপূর্ণ করিলেন। এবং মনে মনে নানা মানসিক করিয়া এই বর প্রার্থনা করিলেন, যে দেবকুলেন্দ্রবালা রণদুর্ম্মদ দ্যোমিদের এবং অন্যান্য গ্রীক্‌যোধের বাহুবল দুর্ব্বল করিয়া ট্রয়নগরস্থ কুলবধূ ও শিশুকুলের মান ও প্রাণ
এ অপবিত্র রক্তাক্ত হস্ত দিয়া পাত্রগ্রহণ করতঃ দেবেন্দ্রের তর্পণার্থে সুরা ঢালিয়া দি, ইহা কোন মতেই যুক্তিযুক্ত নহে। এই উদ্দেশেই নগর প্রবেশ করি নাই। আমি তোমার নিকট এই যাচ্ঞা করিতেছি, যে তুমি, হে রাজমাতঃ, অবিলম্বে ট্রয়স্থ বৃদ্ধা অতি মাননীয়া কুলবধূদলের সহিত দুর্গশিরস্থ সুকেশিনী মহাদেবী আথেনীর মন্দিরে গিয়া নানাবিধ উপহারে দেবীর পূজা করিয়া এই বর প্রার্থনা কর, যে তিনি যেন রণদুর্ম্মদ দ্যোমিদের পরিক্রমাগ্নি হইতে আমাদিগকে রক্ষা করেন। আমি ইত্যবসরে একবার স্কন্দরের সুন্দর মন্দিরে যাই, দেখি, যদি সে ভীরু কাপুরুষের হৃদয়ে রণপ্রবৃত্তি জন্মাইতে পারি, হায়, মাতঃ! তুমি যখন এ কুলাঙ্গারকে প্রসব করিয়াছিলে তখন বসুমতী দ্বিধা হইয়া কেন তাহাকে গ্রাস করেন নাই। তাহা হইলে কখনই এ বিপুল রাজকুলের এতাদৃশী দুর্গতি ঘটিত না। রাজ কুলতিলক এই কহিলে, দেবী হেকাবী দ্রুতগতিতে আপন সুগন্ধময় মন্দির হইতে বহুবিধ পূজোপহারের আয়োজন করিলেন। এবং দূতীদ্বারা বৃদ্ধা ও মান্যা কুলবতীদলকে আহ্বান করতঃ মহাদেবীর মন্দিরাভিমুখে চলিলেন। তেয়ানীনাম্নী কিসীশনামক কোন এক মাননীয় ব্যক্তির ইক্ষুনিভাননা দুহিতা, যিনি মহাদেবীর নিত্য সেবিকা ছিলেন, মন্দির-দ্বার উদ্‌ঘাটন করিলে রমণীদল ক্রন্দনধ্বনিতে মন্দির পরিপূর্ণ করিলেন। এবং মনে মনে নানা মানসিক করিয়া এই বর প্রার্থনা করিলেন, যে দেবকুলেন্দ্রবালা রণদুর্ম্মদ দ্যোমিদের এবং অন্যান্য গ্রীক্‌যোধের বাহুবল দুর্ব্বল করিয়া ট্রয়নগরস্থ কুলবধূ ও শিশুকুলের মান ও প্রাণ


{{nop}}