পাতা:খৃষ্ট - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৮৫: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

মানবপুত্র

মৃত্যুর পাত্রে খৃষ্ট যেদিন মৃত্যুহীন প্রাণ উৎসর্গ করলেন

রবাহত অনাহতের জন্তে, তার পরে কেটে গেছে বহুশত বৎসর। আজ তিনি একবার নেমে এলেন নিত্যধাম থেকে মর্তধামে ।

চেয়ে দেখলেন, সে কালেও মানুষ ক্ষতবিক্ষত হত যে-সমস্ত পাপের মারে— যে উদ্ধত শেল ও শল্য, যে চতুর ছোরা ও ছুরি,

যে ক্রুর কুটিল তলোয়ারের আঘাতে, বিদ্যুদবেগে আজ তাদের ফলায় শান দেওয়া হচ্ছে

হিসহিস শব্দে ফুলিঙ্গ ছড়িয়ে বড়ো বড়ে মসী ধূমকেতন কারাখানাঘরে।

কিন্তু দারুণতম যে মৃত্যুবাণ নূতন তৈরি হল,

ঝক ঝক ক’রে উঠল নরঘাতকের হাতে,

পূজারি তাতে লাগিয়েছে তারই নামের ছাপ

তীক্ষ্ণ নখে আঁচড় দিয়ে। 衅 খৃষ্ট বুকে হাত চেপে ধরলেন— বুঝলেন, শেষ হয় নি তার নিরবচ্ছিন্ন মৃত্যুর মুহূর্ত,

নূতন শূল তৈরি হচ্ছে বিজ্ঞানশালায়,

○"