পাতা:জয়তু নেতাজী.djvu/৭৩: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

সম্পাদনা সারাংশ নেই
পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):
১০ নং লাইন: ১০ নং লাইন:


{{gap}}―এই বাণী কোন্ অবস্থায় কাহার মুখের বাণী? ইহা কি অতিশয় বর্ত্তমানে সারা ভারতের তথা বাংলার―আত্মত্রাণের মন্ত্র-বাণী নয়? কিন্তু সে সময়ের সেই দারুণ যন্ত্রণার উপশমের জন্য স্বামীজী যে সান্ত্বনাবাক্য খুঁজিয়া পাইয়াছিলেন, তাহার মত উদাস অথচ করুণ আর কি হইতে পারে? ইহার কয়েকদিন পরে হঠাৎ একদিন সন্ধ্যাকালে কতকগুলি ফুল হাতে লইয়া তিনি আবার দেখা দিলেন (স্বামীজী একখানি পৃথক হাউস-বোটে থাকিতেন; কোথায় কখন যাইতেন তাহাও কেহ জানিত না); কোন কথা না বলিয়া সেই ফুলগুলি সকলের মাথায় স্পর্শ করাইয়া শেষে এই বলিয়া মৌন ভঙ্গ করিলেন―“আমি এই ফুলগুলি মার পায়ে দিয়াছিলাম”। কিছুক্ষণ আর কিছু কহিতে পারিলেন না, আর সকলেও স্তব্ধ হইয়া রহিল। অবশেষে অতি ধীরে শান্ত কণ্ঠে বলিলেন, “দেশকে ভালবাসা, দেশের জন্য সর্ব্বপ্রকার
{{gap}}―এই বাণী কোন্ অবস্থায় কাহার মুখের বাণী? ইহা কি অতিশয় বর্ত্তমানে সারা ভারতের তথা বাংলার―আত্মত্রাণের মন্ত্র-বাণী নয়? কিন্তু সে সময়ের সেই দারুণ যন্ত্রণার উপশমের জন্য স্বামীজী যে সান্ত্বনাবাক্য খুঁজিয়া পাইয়াছিলেন, তাহার মত উদাস অথচ করুণ আর কি হইতে পারে? ইহার কয়েকদিন পরে হঠাৎ একদিন সন্ধ্যাকালে কতকগুলি ফুল হাতে লইয়া তিনি আবার দেখা দিলেন (স্বামীজী একখানি পৃথক হাউস-বোটে থাকিতেন; কোথায় কখন যাইতেন তাহাও কেহ জানিত না); কোন কথা না বলিয়া সেই ফুলগুলি সকলের মাথায় স্পর্শ করাইয়া শেষে এই বলিয়া মৌন ভঙ্গ করিলেন―“আমি এই ফুলগুলি মার পায়ে দিয়াছিলাম”। কিছুক্ষণ আর কিছু কহিতে পারিলেন না, আর সকলেও স্তব্ধ হইয়া রহিল। অবশেষে অতি ধীরে শান্ত কণ্ঠে বলিলেন, “দেশকে ভালবাসা, দেশের জন্য সর্ব্বপ্রকার