পাতা:জয়তু নেতাজী.djvu/৭৫: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

 
পাতার অবস্থাপাতার অবস্থা
-
মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে
+
বৈধকরণ
পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
{{C|৩}}
{{C|৩}}
{{gap}}আমি এ পর্য্যন্ত স্বামীজীর কথাই বলিয়াছি―কিন্তু নেতাজীর কথা কই? পাঠকপাঠিকারা বোধ হয় একটু অধীর হইয়া উঠিয়াছেন। কিন্তু আমি ত এতক্ষণ আর একজনের জবানিতে নেতাজীর চরিত-কথাই বুঝাইতেছিলাম―আপনারা কি তাহা বুঝিতে পারেন নাই? যদি না পারিয়া থাকেন তবে নেতাজীকে আপনারা কিরূপ চিনিয়াছেন? নেতাজীর চরিত্রের একটু ভিতরে দৃষ্টিপাত করিলে আপনারা কি দেখিতে পান? স্বামীজীর মতই তিনি কি আকুমার ব্রহ্মচারী নহেন? স্বামীজীকে বিদেশীরাও ‘Warrior-Saint’ আখ্যা দিয়াছে, তাঁহার চরিত্রেও ক্ষত্রিয়স্বভাবের প্রাধান্য ছিল—ইহা সকলেই লক্ষ্য করিয়াছেন। স্বামীজীও ঠিক যে কারণে দেশ-প্রেমিক, নেতাজীও কি ঠিক তাহাই নহেন? নেতাজীর দেশপ্রেমে জাতি-ধর্ম্ম-নির্বিশেষে যে এক অপূর্ব্ব “ভারতীয়তা”-বোধ আমরা দেখিয়াছি—দেখিয়া মুগ্ধ হইয়াছি, স্বামীজীর মধ্যে ঠিক তাহাই ছিল, বরং ইহাই বলিলে আরও যথার্থ হইবে যে, স্বামীজীর সেই দেশপ্রেম-মন্ত্রই নেতাজীর সাধনায় বাস্তবে পরিণত হইয়াছে; সে মন্ত্র আর কাহারও নয়—স্বামীজীর। ভগিনী নিবেদিতার গ্রন্থে ইহার সুস্পষ্ট প্রমাণ আছে। তিনি লিখিয়াছেন, স্বামীজীও মোগলসাম্রাজ্যের গৌরবকে ভারতের গৌরব বলিয়া মনে করিতেন; শেরশাহ, আকবরের নামে তাঁহার বক্ষ যেমন স্ফীত হইত,
{{gap}}আমি এ পর্য্যন্ত স্বামীজীর কথাই বলিয়াছি―কিন্তু নেতাজীর কথা কই? পাঠকপাঠিকারা বোধ হয় একটু অধীর হইয়া উঠিয়াছেন। কিন্তু আমি ত এতক্ষণ আর একজনের জবানিতে নেতাজীর চরিত-কথাই বুঝাইতেছিলাম―আপনারা কি তাহা বুঝিতে পারেন নাই? যদি না পারিয়া থাকেন তবে নেতাজীকে আপনারা কিরূপ চিনিয়াছেন? নেতাজীর চরিত্রের একটু ভিতরে দৃষ্টিপাত করিলে আপনারা কি দেখিতে পান? স্বামীজীর মতই তিনি কি আকুমার ব্রহ্মচারী নহেন? স্বামীজীকে বিদেশীরাও ‘Warrior-Saint’ আখ্যা দিয়াছে, তাঁহার চরিত্রেও ক্ষত্রিয়স্বভাবের প্রাধান্য ছিল―ইহা সকলেই লক্ষ্য করিয়াছেন। স্বামীজীও ঠিক যে কারণে দেশ-প্রেমিক, নেতাজীও কি ঠিক তাহাই নহেন? নেতাজীর দেশপ্রেমে জাতি-ধর্ম্ম-নির্বিশেষে যে এক অপূর্ব্ব “ভারতীয়তা”-বোধ আমরা দেখিয়াছি―দেখিয়া মুগ্ধ হইয়াছি, স্বামীজীর মধ্যে ঠিক তাহাই ছিল, বরং ইহাই বলিলে আরও যথার্থ হইবে যে, স্বামীজীর সেই দেশপ্রেম-মন্ত্রই নেতাজীর সাধনায় বাস্তবে পরিণত হইয়াছে; সে মন্ত্র আর কাহারও নয়―স্বামীজীর। ভগিনী নিবেদিতার গ্রন্থে ইহার সুস্পষ্ট প্রমাণ আছে। তিনি লিখিয়াছেন, স্বামীজীও মোগলসাম্রাজ্যের গৌরবকে ভারতের গৌরব বলিয়া মনে করিতেন; শেরশাহ, আকবরের নামে তাঁহার বক্ষ যেমন স্ফীত হইত,