পাতা:জয়তু নেতাজী.djvu/৮৮: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

পাতার অবস্থাপাতার অবস্থা
-
মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে
+
বৈধকরণ
পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
তাহাদিগকে সেই চক্ষেই দেখিয়াছিলাম, সেই পূর্ব্ব রাজগণের উত্তর-পুরুষ বলিয়াই মনে করিয়াছিলাম, ভিন্ন জাতি বলিয়া শঙ্কিত হইবার কোন কারণ তখন ঘটে নাই। তার কারণ, বিদেশী রাজবংশ জাতিহিসাবে যতই স্বতন্ত্র হউক, তাহাদের সেই ‘জাতি’—ধর্ম্ম ও সমাজঘটিত একটা পার্থক্যের কারণ হইলেও, তাহাতে কোন বাজনৈতিক বৈষম্য-বিষ বেশিদিন টিকিয়া থাকত না,—সেই জাতিও দেশেই একটা জাতিতে পরিণত হইয়া যাইত। এইজন্যই, ভারতবাসী, ইংরেজ-রাজ ও তাহার রাজত্বের আসল রূপ অনেকদিন চিনিতে পারে নাই— তার কারণ, ধূর্ত্ততা ও কূটনীতিতে সেই জাতি জগতে অগ্রগণ্য—ভারতবাসী এখনও তাহার নিকটে বালক মাত্র। ইংরেজ এখানে কোন রাজধর্ম্ম পালন করতে আসে নাই—সে-ধর্ম্ম সে পালন করে নিজের দেশে, এ দেশ তাহার বিদেশ, এখানে সে বাস করে না—কখনো করিবে না। সে আসিয়াছিল বাণিজ্য করতে, পরে যখন একচ্ছত্র ক্ষমতা লাভ করিল, তখন সে তাহার বাণিজ্যের আবরণেই বেপরোয়া ভাবে লুঠ করিতে আরম্ভ করিল। ঐ লুণ্ঠন-নীতিই তাহার রাজনীতি, সেই রাজনীতির সম্যক অনুষ্ঠান-কল্পে সে পুলিশ-বাহিনী, আদালত ও জেলখানা, এবং সেই সকলের খরচপত্র-নির্ব্বাহের জন্য অনেক গুলি দপ্তর—ভারত-গবর্ণমেন্ট নামে প্রতিষ্ঠা করিয়াছে; একদিকে তাহাতে তাহার সেই আসল অভিপ্রায় যেমন সিদ্ধ হইতেছে, অপরদিকে তেমনই শান্তি-শক্ষা ও বিচার প্রভৃতির রাজকর্ত্তব্যও সুন্দর অভিনীত হইতেছে।
তাহাদিগকে সেই চক্ষেই দেখিয়াছিলাম, সেই পূর্ব্ব রাজগণের উত্তর-পুরুষ বলিয়াই মনে করিয়াছিলাম, ভিন্ন জাতি বলিয়া শঙ্কিত হইবার কোন কারণ তখন ঘটে নাই। তার কারণ, বিদেশী রাজবংশ জাতিহিসাবে যতই স্বতন্ত্র হউক, তাহাদের সেই ‘জাতি’―ধর্ম্ম ও সমাজঘটিত একটা পার্থক্যের কারণ হইলেও, তাহাতে কোন রাজনৈতিক বৈষম্য-বিষ বেশিদিন টিকিয়া থাকিত না,―সেই জাতিও দেশেরই একটা জাতিতে পরিণত হইয়া যাইত। এইজন্যই, ভারতবাসী, ইংরেজ-রাজ ও তাহার রাজত্বের আসল রূপ অনেকদিন চিনিতে পারে নাই―তার কারণ, ধূর্ত্ততা ও কূটনীতিতে সেই জাতি জগতে অগ্রগণ্য―ভারতবাসী এখনও তাহার নিকটে বালক মাত্র। ইংরেজ এখানে কোন রাজধর্ম্ম পালন করিতে আসে নাই―সে-ধর্ম্ম সে পালন করে নিজের দেশে, এ দেশ তাহার বিদেশ, এখানে সে বাস করে না―কখনো করিবে না। সে আসিয়াছিল বাণিজ্য করিতে, পরে যখন একচ্ছত্র ক্ষমতা লাভ করিল, তখন সে তাহার বাণিজ্যের আবরণেই বেপরোয়াভাবে লুঠ করিতে আরম্ভ করিল। ঐ লুণ্ঠন-নীতিই তাহার রাজনীতি, সেই রাজনীতির সম্যক অনুষ্ঠান-কল্পে সে পুলিশ-বাহিনী, আদালত ও জেলখানা, এবং সেই সকলের খরচপত্র-নির্ব্বাহের জন্য অনেক গুলি দপ্তর―ভারত-গবর্ণমেন্ট নামে প্রতিষ্ঠা করিয়াছে; একদিকে তাহাতে তাহার সেই আসল অভিপ্রায় যেমন সিদ্ধ হইতেছে, অপরদিকে তেমনই শান্তি-রক্ষা ও বিচার প্রভৃতির রাজকর্ত্তব্যও সুন্দর অভিনীত হইতেছে।