পাতা:জয়তু নেতাজী.djvu/৯০: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

 
পাতার অবস্থাপাতার অবস্থা
-
মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে
+
বৈধকরণ
পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
হইবে, একাধারে গুরু ও প্রভু হইয়া সে পূর্ণভক্তি আদায় করিতে পারিবে। রাজ্যশাসন-নীতি ও আইন-প্রণয়ণ সম্বন্ধে সে প্রথম দিকে যেটুকুও অসতর্ক হইয়াছিল, তাহাও রহিল না,―সিপাহী-বিদ্রোহ তাহার চক্ষু এমন খুলিয়া দিল যে, সেই হইতে সে আর ভুল করে নাই; তখন হইতেই সে ভারত-শাসন-নীতিকে এমন পাকা কবিয়া লইযাছে যে, এ পর্য্যন্ত সেই নীতিই তাহাকে সর্ব্বশক্তিমান করিয়া রাখিয়াছে; পবে শাসনব্যবস্থার যতকিছু সংস্কার, যতকিছু নূতন আইন সে প্রবর্ত্তন করিয়াছে, তাহাতে সেই এক নীতিই আজও অবিচলিত আছে।
হইবে, একাধারে গুরু ও প্রভু হইয়া সে পূর্ণভক্তি আদায় করিতে পারিবে। রাজ্যশাসন-নীতি ও আইন-প্রণয়ণ সম্বন্ধে সে প্রথম দিকে যেটুকুও অসতর্ক হইয়াছিল, তাহাও আর রহিল না,―সিপাহী-বিদ্রোহ তাহার চক্ষু এমন খুলিয়া দিল যে, সেই হইতে সে আর ভুল করে নাই; তখন হইতেই সে ভারত-শাসন-নীতিকে এমন পাকা করিয়া লইয়াছে যে, এ পর্য্যন্ত সেই নীতিই তাহাকে সর্ব্বশক্তিমান করিয়া রাখিয়াছে; পরে শাসনব্যবস্থার যতকিছু সংস্কার, যতকিছু নূতন আইন সে প্রবর্ত্তন করিয়াছে, তাহাতে সেই এক নীতিই আজও অবিচলিত আছে।


{{gap}}ইংরেজীশিক্ষার যতই বিস্তার হইতে লাগিল, ততই একদিকে যেমন আমাদের দাসত্ব করিবার প্রবৃত্তি ও সুযোগ দুই-ই বাড়িতে লাগিল, তেমনি এক নূতন ধরণের বাসনা প্রবল হইয়া উঠিল। ইহার নাম, ব্যক্তিগত স্বাধীনতা বা স্বৈরাচারের আকাঙক্ষা। শুনিতে অদ্ভুত বটে, কিন্তু আদৌ অসম্ভব নয়। ইংরেজের দাসত্বও গৌরবজনক—তাহাতে বিবেকের সম্মতি আছে, আত্মার পৌরুষ আছে। কারণ, ইংরেজ সভ্য, এবং ইংরেজ গুরু; সেই ইংরেজীশিক্ষা তাহার বহু কুসংস্কার মোচন করিয়াছে, সে চিন্তার স্বাধীনতা লাভ করিয়াছে। ইংরেজের চেয়ে সে কত ছোট, এই জ্ঞান তাহার যত বাড়িয়াছে, ততই তাহার উপরে ইংরেজের প্রভুত্ব করিবার দাবী সে অন্তরে অন্তরে স্বীকার করিয়াছে। সেই অধীনতায় অগৌরব নাই, বরং সেই অধীনতারূপ তপস্যার তারা সে সত্যতার উচ্চতর ধাপে আরোহণ
{{gap}}ইংরেজীশিক্ষার যতই বিস্তার হইতে লাগিল, ততই একদিকে যেমন আমাদের দাসত্ব করিবার প্রবৃত্তি ও সুযোগ দুই-ই বাড়িতে লাগিল, তেমনি এক নূতন ধরণের বাসনা প্রবল হইয়া উঠিল। ইহার নাম, ব্যক্তিগত স্বাধীনতা বা স্বৈরাচারের আকাঙক্ষা। শুনিতে অদ্ভুত বটে, কিন্তু আদৌ অসম্ভব নয়। ইংরেজের দাসত্বও গৌরবজনক―তাহাতে বিবেকের সম্মতি আছে, আত্মার পৌরুষ আছে। কারণ, ইংরেজ সভ্য, এবং ইংরেজ গুরু; সেই ইংরেজীশিক্ষা তাহার বহু কুসংস্কার মোচন করিয়াছে, সে চিন্তার স্বাধীনতা লাভ করিয়াছে। ইংরেজের চেয়ে সে কত ছোট, এই জ্ঞান তাহার যত বাড়িয়াছে, ততই তাহার উপরে ইংরেজের প্রভুত্ব করিবার দাবী সে অন্তরে অন্তরে স্বীকার করিয়াছে। সেই অধীনতায় অগৌরব নাই, বরং সেই অধীনতারূপ তপস্যার দ্বারা সে সভ্যতার উচ্চতর ধাপে আরোহণ