পাতা:জয়তু নেতাজী.djvu/৯৪: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

পাতার অবস্থাপাতার অবস্থা
-
মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে
+
বৈধকরণ
পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
সকল সেদিন পর্য্যন্ত তাহাদের স্বধর্ম ও সংস্কৃতি, তাহাদের জাতীয় বৈশিষ্ট্য রক্ষা করিতে পারিয়াছিল, ইহাতেই প্রমাণ হয়, সে তাহার অন্তরের সেই স্বাধীনতা কখনও হারায় নাই। তাহার আজিকার অবস্থা ও একশত বৎসর পূর্ব্বে অবস্থা তুলনা করিলেই বুঝা যাইবে যে, পূর্ব্বে সে কখনও পরাধীন হয় নাই, সত্যকার যে পরাধীনতা তাহা এইবার ঘটিয়াছে,<ref>{{smaller|{{gap}}অধুনা কংগ্রেস সরকার রাষ্ট্রীত ঐক্যস্থাপনের নামে, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে নিজের প্রভুশক্তিকে নির্বিঘ্নে করিবার জন্য়, সমগ্র ভারতবাসীকে অধীনতার নাগপাশে দৃঢ়বদ্ধ করিবার জন্য উঠিয়া পড়িয়া লাগিয়াছেন। ভারতের যে শাসনতন্ত্র আনয়ন করা হইতেছে, তাহাত ঐ উদ্দেশ্য গােপন করিবার কিছুমাত্র ভাবনা নাই―একটা নকল প্রতিনিধি সভার আজ্ঞাবাহী মেম্বরদিগের দ্বারা জনগণের নামে ঐ আইন বিধিবদ্ধ হইতছে জাতির নেতা, এবং মহাত্মা গান্ধীর শিষ্যরূপে— ইহারা সকলর মুখ বন্ধ করিয়া দিয়াছে। তাহার ফলে এইবার সমাজে, শিক্ষায়, এমন কি ধর্ম্মেও ভারতবাসীর স্বাধীনতা লোপ পাইবে,―এমন অধীনতা ইংরেজের আমলেও ভোগ করিতে হয় নাই। ইহারা আসলে সমগ্র ভারতের আত্মীয় নয়―আর সকল প্রকাশ বিরুদ্ধে একটা বিশেষ অঞ্চলক তাহাদের প্রভুশক্তির কেন্দ্রস্বরূপ গড়িয়া লইতে চায়। প্রাদেশিক জাতি সকলের ভাষা ও সংস্কৃতির উপরেও ঐ প্রভু-জাতির আধিপত্য বা শ্রেষ্ঠতা একজাতিত্বের নামে প্রতিষ্ঠিত করতে চায়; তাহার প্রমাণ প্রতিদিন স্পষ্ট হইয়া উঠিতেছে। ইংরেজর মত ঐ একটা অঞ্চলের অধিবাসীরা রাজার জাতি হইবে; উহাদের ভাষা ইংরেজীর মতই রাজভাষা হইবে, শাসন পরিষদে উহারাই ইংরেজ শাসকবর্গের মত সকল ক্ষমতার অধিকারী হইবে—উহারাই নুতন সিভিল সার্ভিসের শীর্ষস্থানগুলিতে বিরাজ করিবে। উহাদের বিরুদ্ধে কিছু করিলে তাহাই হইবে রাজদ্রোহ, তাহার ছদ্মনাম হইবে anti-national, অর্থাৎ জাতীয়তার বিরােধী।}}</ref> আশাকরি তাহার সহস্র লক্ষণ গণিয়া দেখাইতে হইবে না।
সকল সেদিন পর্য্যন্ত তাহাদের স্বধর্ম ও সংস্কৃতি, তাহাদের জাতীয় বৈশিষ্ট্য রক্ষা করিতে পারিয়াছিল, ইহাতেই প্রমাণ হয়, সে তাহার অন্তরের সেই স্বাধীনতা কখনও হারায় নাই। তাহার আজিকার অবস্থা ও একশত বৎসর পূর্ব্বের অবস্থা তুলনা করিলেই বুঝা যাইবে যে, পূর্ব্বে সে কখনও পরাধীন হয় নাই, সত্যকার যে পরাধীনতা তাহা এইবার ঘটিয়াছে,<ref>{{smaller|{{gap}}অধুনা কংগ্রেস সরকার রাষ্ট্রীয় ঐক্যস্থাপনের নামে, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে নিজের প্রভুশক্তিকে নির্বিঘ্নে করিবার জন্য়, সমগ্র ভারতবাসীকে অধীনতার নাগপাশে দৃঢ়বদ্ধ করিবার জন্য উঠিয়া পড়িয়া লাগিয়াছেন। ভারতের যে শাসনতন্ত্র প্রণয়ন করা হইতেছে, তাহাতে ঐ উদ্দেশ্য গােপন করিবার কিছুমাত্র ভাবনা নাই―একটা নকল প্রতিনিধি সভার আজ্ঞাবাহী মেম্বরদিগের দ্বারা জনগণের নামে ঐ আইন বিধিবদ্ধ হইতেছে জাতির নেতা, এবং মহাত্মা গান্ধীর শিষ্যরূপে―ইহারা সকলের মুখ বন্ধ করিয়া দিয়াছে। তাহার ফলে এইবার সমাজে, শিক্ষায়, এমন কি ধর্ম্মেও ভারতবাসীর স্বাধীনতা লোপ পাইবে,―এমন অধীনতা ইংরেজের আমলেও ভোগ করিতে হয় নাই। ইহারা আসলে সমগ্র ভারতের আত্মীয় নয়―আর সকল প্রদেশের বিরুদ্ধে একটা বিশেষ অঞ্চলকে তাহাদের প্রভুশক্তির কেন্দ্রস্বরূপ গড়িয়া লইতে চায়। প্রাদেশিক জাতি সকলের ভাষা ও সংস্কৃতির উপরেও ঐ প্রভু-জাতির আধিপত্য বা শ্রেষ্ঠতা একজাতিত্বের নামে প্রতিষ্ঠিত করিতে চায়; তাহার প্রমাণ প্রতিদিন স্পষ্ট হইয়া উঠিতেছে। ইংরেজর মত ঐ একটা অঞ্চলের অধিবাসীরা রাজার জাতি হইবে; উহাদের ভাষা ইংরেজীর মতই রাজভাষা হইবে, শাসন পরিষদে উহারাই ইংরেজ শাসকবর্গের মত সকল ক্ষমতার অধিকারী হইবে―উহারাই নূতন সিভিল সার্ভিসের শীর্ষস্থানগুলিতে বিরাজ করিবে। উহাদের বিরুদ্ধে কিছু করিলে তাহাই হইবে রাজদ্রোহ, তাহার ছদ্মনাম হইবে anti-national, অর্থাৎ জাতীয়তার বিরােধী।}}</ref> আশাকরি তাহার সহস্র লক্ষণ গণিয়া দেখাইতে হইবে না।
{{nop}}
{{nop}}