পাতা:জয়তু নেতাজী.djvu/৯৮: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

 
পাতার অবস্থাপাতার অবস্থা
-
মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে
+
বৈধকরণ
পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
শিক্ষিত ও অর্দ্ধশিক্ষিত প্রসাদজীবী। নিয়মিত নির্ম্মম শোষণের ফলে একদিকে কদন্ন ও নিরন্নতার বীভৎস অবস্থা, আর একদিকে সেই অবস্থা হইতে অল্পাধিক মুক্ত ও কৃতজ্ঞ একটি দাস-সম্প্রদায়। এই দাস-সম্প্রদায়ের সহিত জনসাধারণের কোন সম্বন্ধ থাকিবে না; সহানুভূতি ত’ পরের কথা, একজাতিবোধের আত্মীয়তাও থাকবে না। ইহা কেমন করিয়া সম্ভব হইয়াছে তাহা পূর্ব্বে বলিয়াছি; দেশীয় সামাজে উচ্চনীচভেদ থাকিলেও, একটা সামাজিক অন্যোন্য-নির্ভরতা ছিল— সহানুভূতি ছিল, তাহাও আর রহিল না; ইংরেজী-শিক্ষিত চাকুরিয়ার দল দেশকে, সমাজকে পর করিয়া দিল। একদিকে ইংরেজের আইন যেমন সেইরূপ স্বাতন্ত্র্যবোধের সহায়তা করিল, অপরদিকে তেমনই বড় বড় চাকুরীর প্রলোভন এবং খেতাব-খিলাতের বদান্য বিতরণ তাহাদিগকে ‘প্রভুর পদে সোহাগমদে দোদুল কলেবর’ করিয়া তুলিল। এই যে প্রভুভক্ত চাকুরিয়া-সম্প্রদায় ইহারাও যাহাতে কোনরূপ সামাজিক ঐক্য অনুভব করিতে না পারে, প্রভুর মনোরঞ্জনের জন্য পরস্পরের প্রতিযোগিতা করে, একে অপরের প্রতি ঈর্ষান্বিত হয়,—সে জন্য চাকুরীতেও, বেতন ও পদমর্য্যাদা অনুসারে কৌলীন্যের নানা মেল-বন্ধন অত্যাবশ্যক হইয়াছে। এইরূপে একটা জাতির সংঘ-বুদ্ধি বা সামাজিক চেতনা ক্রমে লোপ পাইয়াছে। পুলিশ ও সৈন্যদলভুক্ত অগণিত ক্রীতদাসকে যে কি উপায়ে জাতি ও সমাজ হইতে বিচ্ছিন্ন করিয়া রাখা হইয়াছে, তাহাও এই
শিক্ষিত ও অর্দ্ধশিক্ষিত প্রসাদজীবী। নিয়মিত নির্ম্মম শোষণের ফলে একদিকে কদন্ন ও নিরন্নতার বীভৎস অবস্থা, আর একদিকে সেই অবস্থা হইতে অল্পাধিক মুক্ত ও কৃতজ্ঞ একটি দাস-সম্প্রদায়। এই দাস-সম্প্রদায়ের সহিত জনসাধারণের কোন সম্বন্ধ থাকিবে না; সহানুভূতি ত’ পরের কথা, একজাতিবোধের আত্মীয়তাও থাকিবে না। ইহা কেমন করিয়া সম্ভব হইয়াছে তাহা পূর্ব্বে বলিয়াছি; দেশীয় সামাজে উচ্চনীচভেদ থাকিলেও, একটা সামাজিক অন্যোন্য-নির্ভরতা ছিল―সহানুভূতি ছিল, তাহাও আর রহিল না; ইংরেজী-শিক্ষিত চাকুরিয়ার দল দেশকে, সমাজকে পর করিয়া দিল। একদিকে ইংরেজের আইন যেমন সেইরূপ স্বাতন্ত্র্য-বোধের সহায়তা করিল, অপরদিকে তেমনই বড় বড় চাকুরীর প্রলোভন এবং খেতাব-খিলাতের বদান্য বিতরণ তাহাদিগকে ‘প্রভুর পদে সোহাগমদে দোদুল কলেবর’ করিয়া তুলিল। এই যে প্রভুভক্ত চাকুরিয়া-সম্প্রদায় ইহারাও যাহাতে কোনরূপ সামাজিক ঐক্য অনুভব করিতে না পারে, প্রভুর মনোরঞ্জনের জন্য পরস্পরের প্রতিযোগিতা করে, একে অপরের প্রতি ঈর্ষান্বিত হয়,―সে জন্য চাকুরীতেও, বেতন ও পদমর্য্যাদা অনুসারে কৌলীন্যের নানা মেল-বন্ধন অত্যাবশ্যক হইয়াছে। এইরূপে একটা জাতির সংঘ-বুদ্ধি বা সামাজিক চেতনা ক্রমে লোপ পাইয়াছে। পুলিশ ও সৈন্যদলভুক্ত অগণিত ক্রীতদাসকে যে কি উপায়ে জাতি ও সমাজ হইতে বিচ্ছিন্ন করিয়া রাখা হইয়াছে, তাহাও এই