পাতা:জয়তু নেতাজী.djvu/১০৩: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

 
পাতার অবস্থাপাতার অবস্থা
-
মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে
+
বৈধকরণ
পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
{{dhr}}
{{C|৩}}
{{C|৩}}
{{gap}}প্রথম-মহাযুদ্ধের পর যখন ইংরেজের এই নীতি অতিশয় প্রকট, অর্থাৎ নগ্নমূর্তিতে প্রকাশ পাইল, তখন ভারতীয় কংগ্রেস-আন্দোলনকে সম্পূর্ণ ভিন্নপথে চালনা করিয়া মহাত্মা গান্ধী একটা বড় বিস্ময় ও আশ্বাসের সৃষ্টি করছিলেন। সেই আন্দোলনের কোন বিস্তৃত পরিচয়ের প্রয়োজন নাই―এখনও তাহা চোখের সম্মুখেই শেষ অবস্থায় আসিয়া পৌঁছিয়াছে। গান্ধীজী প্রথম হইতেই পুরাতন কংগ্রেসের ভুল বুঝিয়াছিলেন, যাহা সত্য নহে, যে আন্দোলনের কোন অর্থ ই নাই তাহাকে তিনি তৎক্ষণাৎ ত্যাগ করিলেন; অর্থাৎ তিনি ঐ উচ্চশ্রেণীর শিক্ষিত ভারতবাসীর অভিমান-তৃপ্তির জন্য, ইংরেজ-প্রভুর নিকট হইতে কয়েকটা সুবিধালাভকে প্রকৃত সমস্যা বলিয়া স্বীকার করিলেন না, এবং আর একটি যাহা নিশ্চিত বলিয়া স্থির করিলেন তাহা এই যে, স্বাধীনতা নামক কোনরূপ রাষ্ট্রিক মর্য্যাদালাভ—একটা ভাবগত গৌরবেব বস্তুই পরমপুরুষার্থ নয়; দারিদ্র্যনিপীড়িত দুঃস্থ জনগণের যেটুকু দুঃখনিবারণ হয় তাহাই সর্ব্বাগ্রে বাঞ্ছনীয়; এবং যে উপায়ে তাহা ঐ ইংরেজ-শাসন সত্ত্বেও সম্ভব, তাহাই প্রকৃষ্ট উপায়। গান্ধীজী কখনও ভারতের সেই স্বাধীনতা―অর্থাৎ ইংরাজের শাসন-পাশ হইতে আদৌ মুক্তিলাভটাকেই একান্ত প্রয়োজন বলিয়া মনে করেন নাই। ইহা যাহারা বুঝে নাই, তাহারা গান্ধীজীকে ভুল বুঝিবে―ভুল
{{gap}}প্রথম-মহাযুদ্ধের পর যখন ইংরেজের এই নীতি অতিশয় প্রকট, অর্থাৎ নগ্নমূর্ত্তিতে প্রকাশ পাইল, তখন ভারতীয় কংগ্রেস-আন্দোলনকে সম্পূর্ণ ভিন্নপথে চালনা করিয়া মহাত্মা গান্ধী একটা বড় বিস্ময় ও আশ্বাসের সৃষ্টি করছিলেন। সেই আন্দোলনের কোন বিস্তৃত পরিচয়ের প্রয়োজন নাই―এখনও তাহা চোখের সম্মুখেই শেষ অবস্থায় আসিয়া পৌঁছিয়াছে। গান্ধীজী প্রথম হইতেই পুরাতন কংগ্রেসের ভুল বুঝিয়াছিলেন, যাহা সত্য নহে, যে আন্দোলনের কোন অর্থই নাই তাহাকে তিনি তৎক্ষণাৎ ত্যাগ করিলেন; অর্থাৎ তিনি ঐ উচ্চশ্রেণীর শিক্ষিত ভারতবাসীর অভিমান-তৃপ্তির জন্য, ইংরেজ-প্রভুর নিকট হইতে কয়েকটা সুবিধালাভকে প্রকৃত সমস্যা বলিয়া স্বীকার করিলেন না, এবং আর একটি যাহা নিশ্চিত বলিয়া স্থির করিলেন তাহা এই যে, স্বাধীনতা নামক কোনরূপ রাষ্ট্রিক মর্য্যাদালাভ—একটা ভাবগত গৌরবের বস্তুই পরমপুরুষার্থ নয়; দারিদ্র্যনিপীড়িত দুঃস্থ জনগণের যেটুকু দুঃখনিবারণ হয় তাহাই সর্ব্বাগ্রে বাঞ্ছনীয়; এবং যে উপায়ে তাহা ঐ ইংরেজ-শাসন সত্ত্বেও সম্ভব, তাহাই প্রকৃষ্ট উপায়। গান্ধীজী কখনও ভারতের সেই স্বাধীনতা―অর্থাৎ ইংরাজের শাসন-পাশ হইতে আদৌ মুক্তিলাভটাকেই একান্ত প্রয়োজন বলিয়া মনে করেন নাই। ইহা যাহারা বুঝে নাই, তাহারা গান্ধীজীকে ভুল বুঝিবে―ভুল