পাতা:মাঝির ছেলে - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৬: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
অ বট পরিষ্কার করছে, কোন সমস্যা? |
Bodhisattwa (আলোচনা | অবদান) সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে): | পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে): | ||
১ নং লাইন: | ১ নং লাইন: | ||
{{gap}}বেলা কম হয় নি, নদীর ঠাণ্ডা বাতাসেও রোদের তেজ টের পাওয়া যায় না। এবার নৌকা ছাড়া দরকার। কিন্তু চাঁদ আর বাঁকার বদলে অন্ততঃ একজন মাঝি তো চাই। যাদববাবু নাগার দিকে তাকালেন। ইতিমধ্যে হারু মাঝি বাড়ি গিয়ে ভাত খেয়ে এসেছে, এবার নাগার যাওয়ার কথা। কিন্তু পেটের ব্যাকুল তাগিদ সত্ত্বেও সে মশগুল হয়ে ও নৌকার সকলের কথা শুনছিল। |
<section begin="A" />{{gap}}বেলা কম হয় নি, নদীর ঠাণ্ডা বাতাসেও রোদের তেজ টের পাওয়া যায় না। এবার নৌকা ছাড়া দরকার। কিন্তু চাঁদ আর বাঁকার বদলে অন্ততঃ একজন মাঝি তো চাই। যাদববাবু নাগার দিকে তাকালেন। ইতিমধ্যে হারু মাঝি বাড়ি গিয়ে ভাত খেয়ে এসেছে, এবার নাগার যাওয়ার কথা। কিন্তু পেটের ব্যাকুল তাগিদ সত্ত্বেও সে মশগুল হয়ে ও নৌকার সকলের কথা শুনছিল। |
||
{{gap}}‘নাগা শোন!’ |
{{gap}}‘নাগা শোন!’ |
||
১১ নং লাইন: | ১১ নং লাইন: | ||
{{gap}}কিন্তু যাওয়ার আগে কিছু না খেলে তো চলবে না নাগার! এ সমস্যার মীমাংসা খুব সহজেই হয়ে গেল। খোকার মা লুচি, আলুর দম আর মিষ্টি তার সামনে ধরে দিলেন, খানিকটা আগে যে খাবার সে প্রত্যাখ্যান করেছিল এখন সেই খাবারে পেট ভরিয়ে নাগা বৈঠা নিয়ে বসল। |
{{gap}}কিন্তু যাওয়ার আগে কিছু না খেলে তো চলবে না নাগার! এ সমস্যার মীমাংসা খুব সহজেই হয়ে গেল। খোকার মা লুচি, আলুর দম আর মিষ্টি তার সামনে ধরে দিলেন, খানিকটা আগে যে খাবার সে প্রত্যাখ্যান করেছিল এখন সেই খাবারে পেট ভরিয়ে নাগা বৈঠা নিয়ে বসল। |
||
<section end="A" /> |
|||
⚫ | |||
⚫ | |||
নাগাকে যাদববাবুর খুব পছন্দ হয়ে গেল। নাগার সুগঠিত জোরালো শরীর দেখে নিজের কুস্তির নেশার দিনগুলির কথা তাঁর মনে পড়তে লাগল। দেহ-চৰ্চার দিকে কি ঝোঁকটাই তখন তাঁর ছিল! নাগার বয়সে তিনি ছিলেন পাকাটির মত রোগা, ক্রমাগত অসুখেই ভুগতেন। আরও বেশী বয়সে আরম্ভ করে কয়েক বছর কুস্তি চালানোর পরে তাঁর গায়ে যতটুকু জোর হয়েছিল, জীবনে হয়তো একটা দিন ডন বৈঠক না দিয়েও আপনা থেকেই নাগা তার চেয়ে বড় পালোয়ান হয়ে উঠেছে। মাঝির কাজও নাগা ভালই জানে। আটখামার থেকে রামতলা পর্যন্ত তার ঘণ্টাচারেকের মাঝিগিরির মধ্যেই তার প্রমাণ মিলেছে। |
নাগাকে যাদববাবুর খুব পছন্দ হয়ে গেল। নাগার সুগঠিত জোরালো শরীর দেখে নিজের কুস্তির নেশার দিনগুলির কথা তাঁর মনে পড়তে লাগল। দেহ-চৰ্চার দিকে কি ঝোঁকটাই তখন তাঁর ছিল! নাগার বয়সে তিনি ছিলেন পাকাটির মত রোগা, ক্রমাগত অসুখেই ভুগতেন। আরও বেশী বয়সে আরম্ভ করে কয়েক বছর কুস্তি চালানোর পরে তাঁর গায়ে যতটুকু জোর হয়েছিল, জীবনে হয়তো একটা দিন ডন বৈঠক না দিয়েও আপনা থেকেই নাগা তার চেয়ে বড় পালোয়ান হয়ে উঠেছে। মাঝির কাজও নাগা ভালই জানে। আটখামার থেকে রামতলা পর্যন্ত তার ঘণ্টাচারেকের মাঝিগিরির মধ্যেই তার প্রমাণ মিলেছে। |
||
{{gap}}যাদববাবু তাই ভাবলেন, নাগাকে স্থায়িভাবেই তাঁর নৌকার মাঝি করা যাক। চাঁদ মাঝি কবে ভাল হবে কে জানে; মাঝি তো একজন তাঁর |
{{gap}}যাদববাবু তাই ভাবলেন, নাগাকে স্থায়িভাবেই তাঁর নৌকার মাঝি করা যাক। চাঁদ মাঝি কবে ভাল হবে কে জানে; মাঝি তো একজন তাঁর |
||
<section end="B" /> |