পাতা:জয়তু নেতাজী.djvu/১০৮: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

 
পাতার অবস্থাপাতার অবস্থা
-
মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে
+
বৈধকরণ
পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
ইংরেজের রাজশক্তির সঙ্গে যে বিরোধে প্রবৃত্ত হইয়াছিলেন―ইংরেজ-শাসন হইতে মুক্তিলাভই তাহার মুখ্য উদ্দেশ্য ছিল না; ইংরেজ রাজাই থাকুক, তাহাতে তাঁহার আপত্তি নাই, সে কেবল ভারতের দরিদ্র দুঃস্থ জনসাধারণের জন্য অন্নবস্ত্রের সচ্ছলতা এবং শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের কিঞ্চিৎ সুব্যবস্থা করিয়া দিক, ইহার অধিক তিনি দাবী করেন নাই। আদি-কংগ্রেস যে স্বাধীনতার ভাব-বিলাস করিত, এবং পরে এই বাংলাদেশে ও মহারাষ্ট্রে স্বাধীনতার যে আদর্শ ও আবেগ কিছুকালের জন্য প্রকাশ পাইয়াছিল, তিনি প্রথম হইতে তাহার বিরুদ্ধে দাঁড়াইলেন। রাষ্ট্রীয় অর্থে ঐ স্বাধীনতালাভ চিরদিন তাঁহার চিন্তায় গৌণ―ইংরেজের নিকট হইতে ঐ কয়েকটি অধিকার আদায় করিয়া লওয়াই ছিল তাঁহার একমাত্র লক্ষ্য। তাহার জন্য ইংরেজকে তাড়াইতে হইবে না, সে আপনিই তাহা দিবে; তাহার ভিতরে যে মনুষ্যত্ব ও মহত্ত্ব আছে তাহাকে জাগাইতে পারিলেই হইল, এবং তাহা জাগিবেই। ইহার জন্য ভারতবাসীকে তপস্যা করিতে হইবে—ইংরেজের চরম অত্যাচার ও পাশবিক নিষ্ঠুরতাকেও হাসিমুখে সহ্য ও ক্ষমা করিতে হইবে—যেন এতটুকু হিংসার উদ্রেক না হয়; ধর্ণা ও প্রায়োপবেশন ত আছেই। এই একটি উপায় ছাড়া অন্য উপায় নাই। যদি ইহা কঠিন বা দুঃসাধ্য হয়, তবে বুঝিতে হইবে তোমরাই এখনও উপযুক্ত হও নাই; ইংরেজের দোষ নয়, দোষ তোমাদেরই। তবু সকলেই স্বাধীনতার নামে পাগল। গান্ধীজী যেন মৃদুহাস্যে বলেন,
ইংরেজের রাজশক্তির সঙ্গে যে বিরোধে প্রবৃত্ত হইয়াছিলেন―ইংরেজ-শাসন হইতে মুক্তিলাভই তাহার মুখ্য উদ্দেশ্য ছিল না; ইংরেজ রাজাই থাকুক, তাহাতে তাঁহার আপত্তি নাই, সে কেবল ভারতের দরিদ্র দুঃস্থ জনসাধারণের জন্য অন্নবস্ত্রের সচ্ছলতা এবং শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের কিঞ্চিৎ সুব্যবস্থা করিয়া দিক, ইহার অধিক তিনি দাবী করেন নাই। আদি-কংগ্রেস যে স্বাধীনতার ভাব-বিলাস করিত, এবং পরে এই বাংলাদেশে ও মহারাষ্ট্রে স্বাধীনতার যে আদর্শ ও আবেগ কিছুকালের জন্য প্রকাশ পাইয়াছিল, তিনি প্রথম হইতেই তাহার বিরুদ্ধে দাঁড়াইলেন। রাষ্ট্রীয় অর্থে ঐ স্বাধীনতালাভ চিরদিন তাঁহার চিন্তায় গৌণ―ইংরেজের নিকট হইতে ঐ কয়েকটি অধিকার আদায় করিয়া লওয়াই ছিল তাঁহার একমাত্র লক্ষ্য। তাহার জন্য ইংরেজকে তাড়াইতে হইবে না, সে আপনিই তাহা দিবে; তাহার ভিতরে যে মনুষ্যত্ব ও মহত্ত্ব আছে তাহাকে জাগাইতে পারিলেই হইল, এবং তাহা জাগিবেই। ইহার জন্য ভারতবাসীকে তপস্যা করিতে হইবে―ইংরেজের চরম অত্যাচার ও পাশবিক নিষ্ঠুরতাকেও হাসিমুখে সহ্য ও ক্ষমা করিতে হইবে―যেন এতটুকু হিংসার উদ্রেক না হয়; ধর্ণা ও প্রায়োপবেশন ত আছেই। এই একটি উপায় ছাড়া অন্য উপায় নাই। যদি ইহা কঠিন বা দুঃসাধ্য হয়, তবে বুঝিতে হইবে তোমরাই এখনও উপযুক্ত হও নাই; ইংরেজের দোষ নয়, দোষ তোমাদেরই। তবু সকলেই স্বাধীনতার নামে পাগল। গান্ধীজী যেন মৃদুহাস্যে বলেন,