পাতা:জয়তু নেতাজী.djvu/১০৯: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

পাতার অবস্থাপাতার অবস্থা
-
মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে
+
বৈধকরণ
পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
আচ্ছা তাহাই হইবে, কিন্তু আগে ঐ কাজটি কর দেখি? অবোধ বালককে এমনই করিয়া ভুলাইতে হয়, নহিলে তাহাদের মঙ্গলসাধন করা যে অসম্ভব! ইহার পর, তিনি ইংরেজ ও মুসলিম লীগের সঙ্গে যে প্রেমের বা অহিংসার যুদ্ধ করিয়াছেন তাহাতে পদে পদে কী ফললাভ হইয়াছে তাহা আমরা দেখিয়াছি। গান্ধীজী ক্রমে তাঁহার দাবি বাড়াইয়াছেন বটে, এমন কি শেষ পর্য্যন্ত একটা পাকে পড়িয়া ইংরেজকে ‘কুইট ইণ্ডিয়া’ বলিয়া ধমকও দিয়াছেন, তবু তিনি যে সত্যই তাহার সবটুকু আশা করেন নাই, আমার এই আলোচনা এবং গান্ধীজীর সদ্যতম আচরণ হইত, তাহা বুঝিতে কাহারও বিলম্ব হইবে না।
আচ্ছা তাহাই হইবে, কিন্তু আগে ঐ কাজটি কর দেখি? অবোধ বালককে এমনই করিয়া ভুলাইতে হয়, নহিলে তাহাদের মঙ্গলসাধন করা যে অসম্ভব! ইহার পর, তিনি ইংরেজ ও মুসলিম লীগের সঙ্গে যে প্রেমের বা অহিংসার যুদ্ধ করিয়াছেন তাহাতে পদে পদে কী ফললাভ হইয়াছে তাহা আমরা দেখিয়াছি। গান্ধীজী ক্রমে তাঁহার দাবি বাড়াইয়াছেন বটে, এমন কি শেষ পর্য্যন্ত একটা পাকে পড়িয়া ইংরেজকে ‘কুইট ইণ্ডিয়া’ বলিয়া ধমকও দিয়াছেন, তবু তিনি যে সত্যই তাহার সবটুকু আশা করেন নাই, আমার এই আলোচনা এবং গান্ধীজীর সদ্যতম আচরণ হইত, তাহা বুঝিতে কাহারও বিলম্ব হইবে না।


{{gap}}গান্ধীজীর ধর্ম্মতত্ত্ব ও অধ্যাত্মবাদের কথা পূর্ব্বে বলিয়াছি, গান্ধীজীর ত’ কথাই নাই ব্যক্তিমাত্রেরই ব্যক্তিগত বিশ্বাসে অধিকার আছে —ভারতবর্ষে সেই অধিকার আরও অব্যাহত। ব্যক্তির আত্ম-মানসে মিথ্যাও সত্য হইতে পারে― যদি বিশ্বাসের জোর থাকে, তবে জগতের দিকে চক্ষু বুজিয়া, একটা নিজস্ব ভিন্ন জগৎ মনে মনে সৃষ্টি করিয়া, আত্ম-সাধনায় সিদ্ধিলাভ করা আদৌ অসম্ভব নয়, আলনস্করেব মনোরাজ্যও সত্য―যদি সেই দিবাস্বপ্ন ভাঙ্গিয়া দিবার মত কোন শক্তি বাহিরে না থাকে। কিন্তু ইংবেজ-শাসন ও তাহার সেই ক্রূর-কঠিন নীতি একটা বড় সত্য, তাহার সহিত রফা যে চলে না। গান্ধীজী এ পর্য্যন্ত যে সকল উপায় অবলম্বন করিয়াছেন তাহার প্রত্যেকটি ইংরেজের ঐ নীতির দ্বারা খণ্ডিত হইয়াছে এবং ভবিষ্যতেও হইতে বাধ্য,<ref>{{smaller|এখনও অর্থাৎ এই তথাকথিত স্বাধীনতা-লাভের পরেও, ইংরেজের সেই নীতি জয়ী হইয়া আছে।}}</ref>
{{gap}}গান্ধীজীর ধর্ম্মতত্ত্ব ও অধ্যাত্মবাদের কথা পূর্ব্বে বলিয়াছি, গান্ধীজীর ত’ কথাই নাই ব্যক্তিমাত্রেরই ব্যক্তিগত বিশ্বাসে অধিকার আছে―ভারতবর্ষে সেই অধিকার আরও অব্যাহত। ব্যক্তির আত্ম-মানসে মিথ্যাও সত্য হইতে পারে―যদি বিশ্বাসের জোর থাকে, তবে জগতের দিকে চক্ষু বুজিয়া, একটা নিজস্ব ভিন্ন জগৎ মনে মনে সৃষ্টি করিয়া, আত্ম-সাধনায় সিদ্ধিলাভ করা আদৌ অসম্ভব নয়, আলনস্করেব মনোরাজ্যও সত্য―যদি সেই দিবাস্বপ্ন ভাঙ্গিয়া দিবার মত কোন শক্তি বাহিরে না থাকে। কিন্তু ইংরেজ-শাসন ও তাহার সেই ক্রূর-কঠিন নীতি একটা বড় সত্য, তাহার সহিত রফা যে চলে না! গান্ধীজী এ পর্য্যন্ত যে সকল উপায় অবলম্বন করিয়াছেন তাহার প্রত্যেকটি ইংরেজের ঐ নীতির দ্বারা খণ্ডিত হইয়াছে এবং ভবিষ্যতেও হইতে বাধ্য,<ref>{{smaller|এখনও অর্থাৎ এই তথাকথিত স্বাধীনতা-লাভের পরেও, ইংরেজের সেই নীতি জয়ী হইয়া আছে।}}</ref>