পাতা:দেবী রাবিয়া - রাহাতুন্নেছা খাতুন.pdf/৬৩: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

GAZI SHAHABUDDIN SIRAJI (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
GAZI SHAHABUDDIN SIRAJI (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):
২ নং লাইন: ২ নং লাইন:




আমাকে লবণাক্ত সমুদ্র করিও না; আমাকে দুঃখ তাপপূর্ণ ধরিত্রীতলে প্রস্রবণ করিয়া দাও, তৃষিত যেন আমাতে জল পায়। আমাকে বীরের হাতের তীক্ষ্ণধার তরবারি করিও না, আমাকে সামান্য যষ্টি করিয়া দাও, যেন দুর্ব্বল আমাতে অবলম্বন এবং পতিত আমাতে আশ্রয় পায় ।”
আমাকে লবণাক্ত সমুদ্র করিও না; আমাকে

দুঃখ তাপপূর্ণ ধরিত্রীতলে প্রস্রবণ করিয়া দাও,
{{gap}}সামান্য দাসীর একনিষ্ঠ প্রেমময় প্রাণের স্বার্থহীন ঈশ্বর-সাধনা দর্শনে গৃহস্বামীর ধনৈশ্বর্য্যের অহঙ্কার চূর্ণ হইয়া গেল, অন্তর হইতে যশোলিপ্সার বাসনা তিরোহিত হইল, প্রভুত্ব স্বামীত্ব ভাব দূরীভূত হইল। সেদিন আর তাঁহার আহার হইল না। আরও এক দিন কাটিল। পূর্ব্ব দুই রজনীর ন্যায় সপ্নাবিষ্টের প্রায় যাইয়া শুনিলেন, রাবিয়ার প্রার্থনা মর্ম্মান্তিক করুণ স্বরে কাঁপিয়া কাঁপিয়া উঠিতেছে,—
তৃষিত যেন আমাতে জল পায়। আমাকে বীরের
হাতের তীক্ষ্ণধার তরবারি করিও না, আমাকে
সামান্য যষ্টি করিয়া দাও, যেন দুর্ব্বল আমাতে
অবলম্বন এবং পতিত আমাতে আশ্রয় পায় ।”


{{gap}}সামান্য দাসীর একনিষ্ঠ প্রেমময় প্রাণের
স্বার্থহীন ঈশ্বর-সাধনা দর্শনে গৃহস্বামীর ধনৈশ্বর্য্যের
অহঙ্কার চূর্ণ হইয়া গেল, অন্তর হইতে যশোলিপ্সার
বাসনা তিরোহিত হইল, প্রভুত্ব স্বামীত্ব
ভাব দূরীভূত হইল। সেদিন আর তাঁহার আহার
হইল না। আরও এক দিন কাটিল। পূর্ব্ব দুই
রজনীর ন্যায় সপ্নাবিষ্টের প্রায় যাইয়া শুনিলেন,
রাবিয়ার প্রার্থনা মর্ম্মান্তিক করুণ স্বরে কাঁপিয়া
কাঁপিয়া উঠিতেছে,—


{{rh||৫৫|}}
{{rh||৫৫|}}