পাতা:মিবার-গৌরব-কথা - হেমলতা দেবী.pdf/২৪: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

Abtmasd (আলোচনা | অবদান)
(কোনও পার্থক্য নেই)

০৫:৩১, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২১ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৬
মিবার-গৌরব-কথা

কুমারী আপনার অপকার্য্য বুঝিতে পারিয়া, ব্যস্ত সমস্ত হইয়া মাচা হইতে নামিয়া, রাণার নিকট ষোড় হস্তে বারম্বার বলিতে লাগিল, “মহাশয়, আমি না জানিয়া আপনার ঘোড়াটিকে মারিয়াছি, বোধ করি আপনার ঘোড়া আর চলিতে পারিবে না। আপনি দয়া করিয়া আমায় ক্ষমা করুন।” রাণা মিষ্টকথায় কৃষকবালাকে আশ্বস্ত করিয়া বিদায় দিলেন। কিছুক্ষণ পরে তাঁহারা গৃহে ফিরিবার উদ্যোগ করিতে লাগিলেন, এবং কিছুদুর যাইতে না যাইতেই পথে দেখিলেন, আবার সেই কৃষকবালা। এবার তাহার মস্তকে দুগ্ধের কলস। কুমারী দুই হস্তে দুটী মহিষশাবক তাড়াইয়া লইয়া চলিয়াছে, রাণা ও তাঁহার বন্ধুগণ এই দৃশ্য দেখিয়া হাসিতে লাগিলেন। রাণার বন্ধুগণ পরস্পর বলাবলি করিতে লাগিলেন “ওহে, রাণা এই কৃষকবালার অব্যর্থ লক্ষ্য ও বাহুবল দেখিয়া একেবারে মোহিত হইয়াছেন। জানিনা, তাঁহার মুগ্ধ হইবার আরও কোন কারণ আছে কিনা। দেখা যাক্‌ কৃষকবালার বল কত।” এই বলিয়া একজন হঠাৎ বেগে অশ্ব লইয়া কুমারীর উপর আসিয়া পড়িল, বালিকা চক্ষের একপলকে অশ্বারোহীর দুরভিসন্ধি বুঝিতে পারিল এবং তৎক্ষণাৎ মহিষশাবকদিগের গলরজ্জ ঘোড়ার