পাতা:মিবার-গৌরব-কথা - হেমলতা দেবী.pdf/২২: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

Abtmasd (আলোচনা | অবদান)
 
পাতার অবস্থাপাতার অবস্থা
-
মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে
+
মুদ্রণ সংশোধন করা হয়নি
পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
{{rh||{{xx-larger|হামিরের জননী কৃষকবালা।}}|}}
{{c|{{xx-larger|হামিরের জননী কৃষকবালা।}}}}


{{gap}}পাঠক পাঠিকাগণ, ইতিপূৰ্ব্বেই রাণা লক্ষ্ণ সিংহ এবং তাঁহার একাদশটী পুত্র চিতোরের অধিষ্ঠাত্রী দেবীর প্রীতির জন্য কিরূপে মুসলমানদিগের সহিত যুদ্ধে প্রাণ দিয়াছিলেন তাহার বিবরণ পাঠ করিয়াছ। লক্ষ্মণ সিংহের দ্বিতীয় পুত্র অজয় সিংহ কেবল পিতার অনুরোধে যুদ্ধক্ষেত্রে প্রাণ দান করিতে পারেন নাই। অজয় সিংহ চিতোর উদ্ধার করিতে অনেক চেষ্টা করিয়াও বিফল হন। কিন্তু অবশেষে তাঁহার ভ্রাতৃ-তনয় অরিসিংহের পুত্র হামির শত্রু হস্ত হইতে চিতোর উদ্ধার করেন। হামিরের জন্মবৃত্তান্ত অতি চমৎকার। একদিন অরিসিংহ কতিপয় বন্ধুর সহিত অন্দাবারণ্যে মৃগয়া করিতে গিয়াছিলেন। শীকার করি বার সময় একটী বন্য বরাহের পশ্চাতে ছুটিতে ছুটিতে এক বিশাল জনার ক্ষেত্রের ভিতর আসিয়া পড়িলেন। সেই ক্ষেত্রের মধ্যে এক মঞ্চের উপর দাড়াইয়া এক কৃষকবালা পশুপক্ষিদিগকে তাড়াইয়া দিতেছিল। রাণা উর্দ্ধশ্বাসে ছুটিয়া আসিয়া কৃষকবালাকে জিজ্ঞাসা করিলেন, “কুমার, তোমার এই ক্ষেত্রের ভিতর একটি বন্য বরাহকে ছুটিয়া আসিতে দেখিয়াছ কি? সেটা কোন দিকে গিয়াছে বলিতে পা?”
{{gap}}পাঠক পাঠিকাগণ, ইতিপূৰ্ব্বেই রাণা লক্ষ্ণ সিংহ এবং তাঁহার একাদশটী পুত্র চিতোরের অধিষ্ঠাত্রী দেবীর প্রীতির জন্য কিরূপে মুসলমানদিগের সহিত যুদ্ধে প্রাণ দিয়াছিলেন তাহার বিবরণ পাঠ করিয়াছ। লক্ষ্মণ সিংহের দ্বিতীয় পুত্র অজয় সিংহ কেবল পিতার অনুরোধে যুদ্ধক্ষেত্রে প্রাণ দান করিতে পারেন নাই। অজয় সিংহ চিতোর উদ্ধার করিতে অনেক চেষ্টা করিয়াও বিফল হন। কিন্তু অবশেষে তাঁহার ভ্রাতৃ-তনয় অরিসিংহের পুত্র হামির শত্রু হস্ত হইতে চিতোর উদ্ধার করেন। হামিরের জন্মবৃত্তান্ত অতি চমৎকার। একদিন অরিসিংহ কতিপয় বন্ধুর সহিত অন্দাবারণ্যে মৃগয়া করিতে গিয়াছিলেন। শীকার করি বার সময় একটী বন্য বরাহের পশ্চাতে ছুটিতে ছুটিতে এক বিশাল জনার ক্ষেত্রের ভিতর আসিয়া পড়িলেন। সেই ক্ষেত্রের মধ্যে এক মঞ্চের উপর দাড়াইয়া এক কৃষকবালা পশুপক্ষিদিগকে তাড়াইয়া দিতেছিল। রাণা উর্দ্ধশ্বাসে ছুটিয়া আসিয়া কৃষকবালাকে জিজ্ঞাসা করিলেন, “কুমার, তোমার এই ক্ষেত্রের ভিতর একটি বন্য বরাহকে ছুটিয়া আসিতে দেখিয়াছ কি? সেটা কোন দিকে গিয়াছে বলিতে পা?”